চালাকেরা অভিমান করে না। তারা পেয়ে যায় সব। অভিমান করে বোকারা। অভিমান করে সব কিছু খুইয়ে ফেলে। সময়ের জিনিষ সময়ে না পাওয়ায় তারা অভিমানে ছেড়ে আসে। ছিন্ন করে সব সম্পর্ক, নিজের রক্তকেও। কি প্রচন্ড অভিমান! তারা খুইয়ে ফেলে সব। ভালোবাসা, আনন্দ, সুখ, মুহূর্ত। অভিমান জমায় তারা, ছোটবেলার ছোট ছোট অভিমান, বড় হয়ে কিছু না পাবার অভিমান।
এতে লাভ কি, তারা নিজেরাও জানে না। তবুও ছাই চাপা দেয়া আগুনের মত পুষে যাচ্ছে অভিমান। চালাকেরা ভুলে যাচ্ছে সব, গতকালের হাত ধরা মানুষ চলে গেলেও আজ খুঁজে নিচ্ছে নতুন হাতকে। বোকা ও অভিমানীরা আর কারো হাত ধরবে না বলে বাড়ি ফিরছে। সবচেয়ে বড় দু:খের জিনিষ, অভিমানীদের অভিমান বোঝার কেউ নেই। একরাশ অভিমান নিয়ে চুপচাপ হেটে যায় তারা। কেউ মান ভাঙায় না, কেউ বোঝায়ও না। অনেকে ভুল বোঝে, কেউ বা এদেরকে ভাবে প্রচন্ড অহংকারী! এইটা বেশি, স্বার্থপর ইত্যাদি! অদ্ভুত প্যারাডক্স!
জন্মান্ধের দৃষ্টিশক্তির প্রতি যেমনটা অভিমান, ঠিক তেমন অভিমান। যা সে সারা জীবন পুষে যায়। নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের ছোট্ট ছেলেটির খেলনা গাড়ি না কিনতে পেরে ফোঁপাতে ফোঁপাতে বাড়ি ফেরার মত যেমন অভিমান, ঠিক তেমনটি। কৈশরের প্রেমে একসাথে জীবন কাটানো মিথ্যে হওয়ার মত অভিমান। কিংবা বৃদ্ধাশ্রমে বসে কোন বৃদ্ধের পুরো জীবনের প্রতি অভিমান। কি গাঢ় সব অভিমানেরা!!!!!!
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৩