অতঃপর তারা ডানাভাঙা আহত পাখি দুটিকে মৃত ভেবে মাটিচাপা দিল;
তাদেরকে আমরা ভুল বলবো না
কারণ পাখি দুটির দৈহিক মৃত্যু না ঘটলেও আত্মিক মৃত্যু ঘটেছিল বহু পূর্বেই।
অথচ তাদের বেঁচে থাকার কথা ছিল এক আটলান্টিক সম ভালোবাসা নিয়ে
তারা পিপীলিকার মত ভালোবাসা জমাতো-
তারা মৌমাছির মতো শুধু শতভাগ বিশুদ্ধ ভালোবাসা আহরন করে স্ফিত করতো তাঁদের পাত্র।
যেটি ছিল হীরে চুনি পান্না খচিত
কেউ কেউ সেটার নাম দিয়েছিল হৃদয়।
তারা চড়ুই, কবুতরের মতো খুঁটে খুঁটে কুড়িয়ে আনতো বাছাইকৃত ভালোবাসা।
তাদের ছিল মাখামাখি রকমের ভালোবাসা।
যেটা জানালা দিয়ে পালিয়ে যাবে কেউ কখনো স্বপ্নেও ভাবতো না।
তারা ভালোবাসার নতুন নতুন সূত্র উদ্ভাবন করতো আর্কিমিডিসের মতো।
তারপর সূত্রগুলো আউড়াতে আউড়াতে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পড়তো।
কিন্তু হায়! সেদেশের স্বৈরাচারী রানী সেটা মানতে পারেনি,
তাই তাদের মৃত্যদন্ড ঘোষণা করা হলো।
তারা সক্রেটিসের মতো হেমলক গিলে নিলো
কারন তাদের ভালোবাসা সক্রেটিসের থিওরির মতো সত্যি ছিল।
ভালোবাসার কাছে হেমলক পানি হয়ে গেলেও,
অতঃপর তাদের মাটিচাপা দেওয়া হলো।
কারণ আগেই বলেছি
তাদের আত্মিক মৃত্যু ঘটেছিল বহু পূর্বেই।