somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমাদের ব্লগারদের চোখ আর কতদিন সূর্যের আলো দেখবে না?? আসুন গর্জে উঠি!

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

"সবাই তিনজন নিরঅপরাধ ব্লগারের মুক্তি চায়। সবাই স্ট্যাটাস মাইরা ফাটাইয়া ফেলতেছে। ভাই, মুক্তি আমিও চাই। স্ট্যাটাসে মুক্তি চাইয়া কি লাভ, আমি এই নাদান মানুষ ঠিক বুজতে পারছি না। স্ট্যাটাস দিয়া যদি রাজাকারের বিচার পাইতাম তাইলে আমরা শাহবাগে গিয়া কেন বইসা আছি? আমরা সবাই স্ট্যাটাস লেইখা ফাটাইয়া ফেলি। মিডিয়াও এখন আর তাদের নিয়া কথা কয় না, গণজাগরণ মঞ্চ ও কথা কয় না। খালি কয়েকজণ ব্লগার স্ট্যাটাস দিতেছে।
সিডাটিভ হিপনোটিক্স একটা ইভেণ্ট খুলল, আমাদের সবাইকে ৭ই মার্চ প্রোফাইল পিক আর কভার ফটো চেঞ্জ করতে বলল। সে তরুণ প্রজন্মকে ইতিহাস শিখাইল। ২৫ সে মার্চ সারা ঢাকা শহর অন্ধকার কইরা দিল। আমারা সবাই তাকে সাপোর্ট করলাম। তাকে ধন্যবাদ দেয়ার কোন মানে নাই। এই ধরনের মানুষ ধন্যবাদের জন্য কাজ করে না।
সে কী আর একটা ইভেন্ট খুলতে পারে না? এই ইভেন্ট হবে কীবোর্ড ইভেন্ট। প্রতিটা মানুষ একটা করে কীবোর্ড শাহবাগে জমা দিবে। সবার বাসায়ই পুরাতন কীবোর্ড থাকে। আর একটা কীবোর্ডের দাম ও বা কত? চাইলেই একটা কীবোর্ড দেওয়া যায়। নতুন কীবোর্ড রাইখা দিয়া পুরাতন কীবোর্ডটা জমা দিলেই হইল। কোন মতে দশ হাজার কীবোর্ড হইলেই হইল। দশ হাজার কীবোর্ড একসাথে, চিন্তা কইরা দেখেন, রীতিমত একটা টিলা হইয়া যাবে। যেই টিলা হইয়া যাইতে পারে, অবাধ বাক স্বাধীনতার প্রতীক। বাংলাদেশের সকল ব্লগাররা খুশী মনে কীবোর্ড দিবে। আমার মনে হয় না কীবোর্ডের অভাব হবে। কীবোর্ড গুলা একসাথে রাইখা কাঁটাতার দিয়া পেঁচাইয়া রাখলেই হইল। ঠিক যেন একটা ভাস্কর্য।

মিডিয়া পুরা বেপারটা অবশ্যই কভার করবে, সরকারকে বুজাইয়া দেওয়া যাবে, আমাদের বাক স্বাধীনতা দিতে হবে। সোজা কথা, এই কীবোর্ড গুলা হবে প্রতীক। এখন প্রশ্ন এই রকম কীবোর্ড জড়ো করলেই কি ব্লগারদের মুক্তি মিলবে? না। মিলবে না। সবাই বলতেছে আওয়াজ উঠাইতে। কিন্তু স্ট্যাটাসে আওয়াজ তোলার থেকে এই জিনিসটা আমার বেশী ক্রিয়েটিভ মনে হইছে। বাংলাদেশের আবাল সরকার অন্তত বুজতে পারবে আমরা তাদের ভুলি নাই। ওরা জেল থেকে ফিরে এসে কীবোর্ড গুলা কে স্পর্শ করে অন্তত বলতে পারবে, আমারা তাদের মনে রাখছি। অবশ্যই সেইটা তারা স্ট্যাটাস দেইখাও বলবে। কিন্তু সেইটা হবে ক্ষনিকের জন্য। আর কীবোর্ড গুলা অনেকদিন থেকে যাবে। হয়তবা বাক স্বাধীনতার প্রতীক হিসেবেও না হয় থাকলো। চাইলে, সাথে কলম ও রাখা যায়।

আমি সিডাটিভ হিপনোটিক্সকে ট্যাগ দিতে পারি নাই। পারা সম্ভব না। আমি তার একজন ফলওয়ার মাত্র।
তাকে, মেসেজ কইরাও লাভ নাই। সে প্রিতিদিন হাজার হাজার মেসেজ পায়। তার আমার মেসেজ পড়ার সময় কই?
যদি কেউ পারেন, তাকে জানাইয়া দিয়েন। যদি আইডিয়াটা আসলেই ভালো হয়। তাইলে তার কাছে কেউ না কেউ ঠিকই পৌঁছে দিবে।

তবে, এই ইভেন্ট হবে শুধু মাত্র তিন জন নিরাপরাধ ব্লগারের জন্য হবে। আসিফ মহীউদ্দিন এর জন্য না। কেননা বাক স্বাধীনতা মানে এই না, যে তুমি জঘন্য ভাষায় ধর্মকে গালি দিবা। আরিফ আর হোসেনের সাথে আমি একমত। অবশ্যই আল্লাহ সীমা লজ্ঞন কারীকে পছন্দ করে না।
আরিফ আর হোসেন, ডাক্তার আইজু, কবি আক্তারুজ্জামান আজাদ, দূর্বা জাহান, আরিফ জেবতিক, অমি রহমান পিয়াল, সিডাটিভ হিপনোটিক্স, দূর্যোধন দূর্যোধন
এদের হাজার হাজার ফলোয়ার। এরা নিজেরাও ব্লগার। আমি তো ব্লগার না। আমি আবাল মানুষ। আমি আমার কীবোর্ড নিয়া রেডি হইয়া আছি।
আর কীবোর্ড নিয়া আসবে তারা, যারা তিন মিনিটের জন্য বাংলাদেশর সব রাস্তা বন্ধ কইরা দিছে, যারা সন্ধ্যা বেলায় তার শিশুকে নিয়া মোম জ্বালাইছে। যারা বেলুন উড়াইছে। যারা সুন্দর একটা বাংলাদেশ দেখতে চায়।

সিডাটিভ হিপনোটিক্স আপনি বলছেনঃ আমি গুন্ডা, আমি রবিনহুড। আমাকে ব্যান করা হয়েছে দেড় শত বার, ব্যান হবো হাজার বার, তবু আমি গুন্ডামি করবো।
ভাই আর একটু না হয় করেন। আমার খুব খারাপ লাগছে Foring Cameliar
এই কথায়ঃ আমি স্বপ্ন দেখি , তীব্র প্রতিবাদে ফেটে পরেছে পুরা অনলাইন পড়িবারের ২৭ লক্ষ সদস্য ।
আপনার পক্ষেই সম্ভব তার এই সপ্ন সত্যি করার। আপনাকে ৭ই মার্চ, ২৫শে মার্চ, আমরা সাপোর্ট করছি। আজো করবো। আগামীতেও করবো।"

একটি ছোট ভাইয়ের মেসেজ। কথাগুলো রাজন আহমেদের। আমিও সিডাটিভ হিপনোটিক্স বা আরিফ জেবতিক বা পিয়াল ভাই এর কাছে সরাসরি পৌছাতে পারবো না. তাই তো সামুর শরনাপন্ন হওয়া। সামুতে কি কেউ নেই যিনি কথাগুলো তাদের কানে পৌছে দিতে পারে?? দূর্যোধন দূর্যোধন কোথায়?? উনাকে পৌছে দিবে?? আজ আমাদের ব্লগারদের হাত পা বাধার চেষ্টা করা হচ্ছে!! আর কত??

ভ্রান্ত ধারণা ভাংতে হবে। আমরা ব্লগার, আমরা নাস্তিক না। ব্লগার মানেই নাস্তিক না!!

এইটুকু সাহায্য চাচ্ছি আমাদের সহযোদ্ধা ব্লগারদের কাছে। ধন্যবাদ।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৪১
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

সচিব, পিএইচডি, ইন্জিনিয়ার, ডাক্তারদের মুখ থেকে আপনি হাদিস শুনতে চান?

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:৪৫


,
আপনি যদি সচিব, পিএইচডি, ইন্জিনিয়ার, ডাক্তারদের মুখ থেকে হাদিস শুনতে চান, ভালো; শুনতে থাকুন। আমি এসব প্রফেশানেলদের মুখ থেকে দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজনীতি, বাজেট,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×