ভোরের আকাশে নক্ষত্র দেখা যায়না,
সুর্যদেবের ভ্রমবিলাসিতায় কেটে যায়
এ সবুজবাগের অমূল্য ভোর।
অভিষেক ঘটে নগ্ন গোলাপ কোরকের
আহামরি দাম্ভিকতায়
মোহনীয় মমতায় মোলায়েম মখমলি
আদুরে ভালবাসায় বাতাসে সুবাস উড়ায়।
আফসোস শুধু সে পায়না তো আয়ু
অকালে বড়ই অকালে ঝরে যায়
কোন এক শীতে আড়ালে একাকিনী,
নীরবে অশ্রু ক্ষরে ভ্রমরের অক্ষি জলায়।
শেষমেশ দিন শেষে টলায়মান সুর্যটা মাথা নুইয়ে
ঢলে পড়ে ধীরে ধীরে পশ্চিমঘাটে।
জংলা বনে থেকে থেকে ডেকে উঠে ডাহুকের দল
বনভোজে বের হয় সব হায়েনার ঝাক,
কদাকার লোভী মুখভঙ্গিমায় ভেংচি কাটে,
ডালে ডালে অশুভচিহ্ন একে দেয় আমাবস্যা তিথি।
রাতের আধারে অভিসারে বের হওয়া
চাতকিনীর চোখ ফেটে রক্ত ঝরে নির্মমতার নাগপাশে,
অভিসম্পাতের আর্তনাদ অনুরণিত হয় গহীন বনে।
এভাবে হাজার বর্গমাইল পেড়িয়ে
শত গোলাপের কংকাল, খুলি ভেঙে
ক্রমান্বয়ে রাত শেষে দিন আসে
জেগে উঠে নতুন কোরক, শুরু হয় নতুন চক্রগতি
পুনঃজন্ম নেই বটে, শুধু ফিরে ফিরে আসা।
এই গুলবাগিচার ময়দানে ঘোষনা করে নতুন ইস্তেহার,
আদিম জৌলুশভরা বনেদি শুভ্রতার।
কবিদের সাথে গোলাপের সৌহার্দ্য এতটুকুই
একই পথে পুনঃ পুনঃ হেটে যাবার।
ছবিঃ গুগল
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৪