ইট কাঠ পাথরের নিচে একটি শরতের কংকাল..
দেখেছিল বহু আগে হরিপদ পাল..
তখনো সেই কংকালে একটুকরো নীল মেঘ..
বেনামীসব ফুলের দোলা,
কুলুকুলু নদীর জলে একটি নৌকার পালে
বসে ছিল একটি টিয়া আলাভোলা..
অবশ্য কেউ কেউ বলেছিল তারও বহুআগে
দাফন কার্য সম্পন্নে পতিত শরত শুভ্রমালা...
মাটির শতহাত নিচে যত্ন করেই তাকে পুঁতে দিয়েছিল
শহরের কিছু মাল্টিপ্লেক্স দানব আর মেদভুড়িওয়ালা..
সেদিন বৃদ্ধা শরতের মৃত্যুতে শহরের কেউই কাঁদেনি..
জুই চামেলি, বকুল, হেনা, কেউই নয়..
শীততাপনিয়ন্ত্রত ঘরে বসে
বেশ ভালই লাগছিল ক্যামেলিয়ার...
ঘরের নিয়ন্ত্রিত শরতের ফোয়ারায় আহ,কি হাসি মুখ!
আর তাই একটি ঋতুর ময়নাতদন্তে কেউ আসেনি,
সবাই খুঁজেছে উপভোগ্য নগর..
মান্টিপ্লেক্স সুখ..
সাজিয়েছে ইট,কাঠ, এসবেস্টস সীসা ক্রোমিয়াম...
অবশ্য কিছু নামহীন গোত্রহীন বনস্পতির আর্তনাদ অবিরাম...
শুনেছিল হরিপদ পাল ....
হায়রে অভাগা কপাল ..
চেয়ে দেখে ত্রাসে..
একে একে বসন্ত বৈশাখ হেমন্ত সব ভোগের গ্রাসে..
জীয়নকাঠি ছুঁয়ে..
কংকাল জীবিত করার কোন অমৃত কেউ খুঁজে পায়নি..
আর তাই শরতের সাথে সবুজ টিয়াপাখিটিও আজ নিখোঁজ....
তাই হরিপদ ব্যথিত নয়নে চেয়ে থাকে
শরৎ মেঘের তরে..
অসহায় শ্যামলিমার চোখ ফেটে অশ্রুবারি ঝরে...
.
.
.
.
.
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত