গত বছরের সেপ্টেম্বরে অস্ট্রেলিয়াতে বুশ ফায়ার শুরু হয়েছিল যা নভেম্বরে তীব্রতর হয়েছিল।এরপর কমবেশি সবাই জানি কি ঘটেছে ওখানে। বুশফায়ার অস্ট্রেলিয়াতে খুবই স্বাভাবিক একটা বিষয় ছিল। কিন্তু এবারের ঘটনাটি সম্পূর্ন আলাদা।পরিবেশবিদদের মতে, অস্ট্রেলিয়ার এবারের এই ভয়ঙ্কর বুশ ফায়ার মূলত তীব্র তাপদাহ, দীর্ঘ খরা এবং ঝড়ো বাতাসের কারণে এমন ভয়ঙ্কর রুপ ধারণ করেছিল। দেশটিতে অনেকদিন ধরেই তাপদাহ চলছিল। বিগত তিন মাসের উষ্ণতা ভেঙে দিয়েছিল ১২০ বছরের রেকর্ড।
ক্ষয়ক্ষতিঃ
এখন পর্যন্ত অন্তত ৪০ জনের অধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে, পুড়ে ধ্বংস হয়ে গেছে ১৫০০ এরও বেশি বসত বাড়ি ও ৭৫ লাখ হেক্টর বনভূমি। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রানীকূল। প্রায় ষাট কোটি প্রাণী জ্বলেপুড়ে মরেছে।
এমন ঘরবাড়ি পুড়েছে শতশত...
কোয়েলা আর ক্যাংগারুগুলো এভাবেই বন্য আগুনে নিথর হয়েছে....
অস্ট্রেলিয়ায় দাবানল থামছিল না কেন?
এই ছবিতেই উত্তর লুকিয়ে আছে....
আগুন ছড়াতে সা্হায্য করেছিল এই ব্ল্যাক কাইটসগুলো...
এরা এক এলাকার দাবানলের মধ্যে জ্বলতে থাকা লাকড়ি কুড়িয়ে এনে আরেক এলাকার ঝোপে ফেলে আগুন লাগাত। কারন ঝোপের মধ্যে ইঁদুরের গর্ত ছিল যাতে প্রচুর ইদুর থাকত।
আগুনের তাপে ইদুর বেড়িয়ে এলেই ব্ল্যাক কাইটস তার দলবল নিয়ে ভুড়িভোজ করত।
আগুন নেভাতে অস্ট্রেলিয়ান সরকারের তৎপরতা
লোক দেখানো লড়েছিল...
কিছু ফায়ার ফাইটার জীবন বাজি রেখেছিল
কিছু শো অফ করেছে
তেমন সফলতা পায়নি। কিছু করার ছিল না। এই দাবানল নিয়ন্ত্রণ ওদের সক্ষমতার বাইরে। তা বহু আগেই প্রমাণিত।
বড় বড় শহর গুলো অল্পতে বেচে গেছে
শেষ খবর, অবশেষে প্রকৃতির হাতেই মুক্তি। এবারের মত বৃষ্টিতে বেচে গেল অস্ট্রেলিয়া। গত সপ্তাহে প্রবল বর্ষনে দাবানল নিভে এসেছে।
ছবিসূত্রঃ অন্তর্জাল
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:০৩