জায়গাটির নাম দিয়ার মানিক চর। অবস্থান দেশের একদম উত্তরে, পদ্মা নদীর ওপারে। যেতে হলে প্রমত্ত পদ্মা পাড়ি দিতে হয়।
দিয়ার মানিক চরের দৃশ্য যেমন সুন্দর, চলাফেরা, বসবাস তত কঠিন।
চরের অন্যপাশ ভারত। রাস্তা অনেকটাই কাচা, কিছু পাকা। সেখানে আছে বর্ডার গার্ডস বাংলাদেশের এক আউট পোস্ট। ১৯৭৪ সালে এই পোস্ট বসানো হয়। রাত নেই, দিন নেই বর্ডার গার্ডস বাংলাদেশের সদস্যরা প্রহরা দিয়ে যাচ্ছেন এই সীমান্ত।
প্রশ্ন করে জানলাম মূলত হেরোইন, ফেন্সিডিল, গরু আর অস্ত্র আসে এই রুটে। তাই এই পোস্টে কর্মরত বর্ডার গার্ডস বাংলাদেশের সদস্যদের তটস্থ থাকতে হয়। পাচারের সময় মূলত সন্ধ্যা এবং রাত ৩ টা থেকে ভোর পর্যন্ত। ধাওয়া দিলে পাচারকারীরা অনেক সময় দৌড়ে যেয়ে পানিতে ঝাপিয়ে পরে। এজন্য এখানকার কমান্ডিং অফিসার সম্প্রতি একটি all terrain vehicle ডিপ্ল্যয় করেছেন।
আমরা শহরে থাকি, স্বাধীনতার মানে কপচাই, সার্বভৌমত্ব নিয়ে টকশোর সোফা গরম করি, দেশ রসাতলে গেল বলে মোবাইলের ডাটা উড়াই, ফেসবুক ভিত্তিক 'হিরো' তৈরি করি আর বর্ডার গার্ডস বাংলাদেশের সদস্যরা পরিবার পরিজন ছেড়ে, সর্বনিম্ন সুযোগ সুবিধার মধ্যে থেকে, নিজেদের উজার করে দেশের সীমান্ত প্রহরা দেয়।
'তুমি হায় বুঝবে কি হায়, ফুরফুরে দিন কেটে যায়
বোঝাচ্ছ স্বাধীনতার মানে!
যে অধীন দিনে রাতে। বুলেটে যে বুক পাতে
সে বুঝেছে স্বাধীনতার মানে!
সে বুঝেছে খাঁচায় থেকে, গরাদ ভাঙায় কী দম লাগে
লাগে কতো রক্ত কতো ঘাম..."
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:২৪