somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ঈগল পাখীর ৪০, মানুষের ৪০

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মানুষের মতনই ঈগল পাখী নাকি ৭০ বছরের মতো সময় বেঁচে থাকে। কিন্তু ৪০ বছরে তার শরীরের প্রধান অঙ্গগুলো দুর্বল হয়ে পড়ে। তখন তার ডানা ভারী হয়ে যায়, পায়ের নখ লম্বা ও নরম হয়ে যায় এবং ঠোঁট সামনের দিকে মুড়িয়ে যায়। এসবের ফলে ঈগলের উড়াউরি সীমিত হয়ে যায়, শিকার করতে বেগ পেতে হয়, খাবার ছিড়ে খেতে কষ্ট হয়। উড়তে না পারে, শিকার করতে না পেরে, খেতে না পেরে ঈগল পাখী নাকি তিনটি পথ বিবেচনা করে - আত্নহত্যা করা, শকুনের মত মৃতদেহ খেয়ে বেচে থাকা অথবা কষ্টদায়ক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিজেকে পুনরূদ্ধার করা।

বাঁচার মতন বাঁচার প্রয়াসে ঈগল তৃতীয় পথ বেছে নেয়। সে যায় উচু কোন পাহাড়ে। কয়েক মাসের জন্য সেখানে সে নীড় বাধে। প্রথমে ঈগল তার ঠোঁট অনবরত পাথরে ঠোকরাতে থাকে যতক্ষণ না পর্যন্ত তা ভেঙ্গে যায়। এরপর সে অপেক্ষা করে নতুন ঠোঁট গজানোর। নতুন ঠোঁট গজালে সে দুই থাবার নখ গুলো উপড়ে ফেলে। এবার অপেক্ষা নতুন নখ গজাবার। নখ গজালে সে ডানার সমস্ত পালক গুলো ছিড়ে ফেলে। এবার অপেক্ষা নতুন পালকের। ডানায় নতুন পালক আসলে ঈগলের নিজেকে পুনরূদ্ধার করার প্রক্রিয়া শেষ হয়। সে তখন শক্তিধর হয়ে, গতিশীল হয়ে, ক্ষিপ্র হয়ে পাহাড় থেকে ফিরে আসে। পাঁচ মাসের কষ্টের মধ্য দিয়ে সে নিজেকে পরের ৩০ বছরের জন্য তৈরি করে। বাঁচার মতন বাঁচে সেই ৩০ বছর।

মানুষকে ঈগল পাখীর মতন এত কষ্টকর প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয় না। তবে মানুষ পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানিয়ে চলার জন্য নিজেকে তৈরি করতে পারে। ৪০ একটা ভাইটাল বয়েস। অনেক কিছু বদলে যায়। বদল যে গ্রহণ করতে পারে তার জন্য এগিয়ে যাওয়া সহজ হয়। মনের মধ্য উৎসাহ, আকাঙ্খা পুনরায় জাগ্রত করে এগিয়ে যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:০৭
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় পণ্য বয়কটের কেন এই ডাক। একটি সমীক্ষা-অভিমত।।

লিখেছেন সাইয়িদ রফিকুল হক, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:১৫



ভারতীয় পণ্য বয়কটের কেন এই ডাক। একটি সমীক্ষা-অভিমত।।
সাইয়িদ রফিকুল হক

বিএনপি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে দেশে অনুষ্ঠিত “দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে”-এ অংশগ্রহণ করেনি। তারা এই নির্বাচনের বহু আগে থেকেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×