বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে। গতকাল সন্ধ্যারাত থেকে একটানা হয়ে যাচ্ছে এখনো।
পাশের নারকেল গাছে দুইটা কাকের বাসা। সারারাত কিভাবে এই বৃষ্টির মাঝে কাটিয়েছে আল্লাহ্ জানে! সকাল থেকে দেখি না, এই দুর্যোগে বাসা ছেড়ে গেল নাকি!
রাস্তার মোড়ে সবসময় একটা নেড়িকুকুর দেখা যেত। এখন আছে তিনটা। বৃষ্টির পানি সবাইকে হয়ত একজায়গায় থাকতে বাধ্য করছে। আবার এমনও হতে পারে এরা একে অপরের দোস্ত। আড্ডা দেওয়ার জন্য এই বৃষ্টিতে মিলিত হইছে। কুকুরদের মাঝে দোস্ত ব্যপারটা আছে কিনা জানা নেই। থাকলেও খুব অবাক হব না। মানুষের থেকে কুকুর কিছু কিছু দিক দিয়ে ভাল। তাদের স্ত্রী-সন্তান থাকা অসম্ভব নয়!
বিজ্ঞানীরা হাতি সম্পর্কে বলেছেন, হাতিরা নিজেদের কেউ মারা গেলে তার জন্য শোক প্রকাশ করে এবং মৃতদেহের যথাযথ সৎকার করে। নিজেদের ভিতরে কথা বলার জন্যও তারা এক ধরনের তরঙ্গ ব্যবহার করে। কুকুরের ক্ষেত্রেও এমন থাকতে পারে।
ইতমধ্যে নারকেল গাছের কাক দুইটা ফিরে এসেছে। বৃষ্টি মাথায় নিয়ে ফিরে আসা ঠিক হইছে কিনা এটা নিয়ে কেমন যেন ইতস্তত করতেছে।
হয়ত মহিলা কাঁকটা বলতেছে- তোমার জন্যি এখন বৃষ্টিতে ভেজা লাগছে! আর কিছুসময় ছাদের কার্নিশে দাড়ালে কি হত! এখন ভিজতে হত না!
পুরুষ কাকটা কাচুমাচু হয়ে স্ত্রীর কথার জবাব খুজতেছে!
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:২৮