নয়ন হাঁটতে হাঁটতে পৌঁছায় বই মেলায়,
অনেক মানুষের পদচারণায় মুখরিত অঞ্চল।
হঠাৎ চোখে পড়ে একটি স্টল, অনেকেই
বই নিচ্ছে। নয়ন এগিয়ে যায় কৌতূহলে,
সেখান থেকে একটি বই নেয়। নাম হিমু,
লেখক হুমায়ূন আহমেদ। বইটি নিয়ে
নয়ন বাসায় ফিরে অবসরে পড়তে শুরু করে।
হঠাৎ হিমু চরিত্রের সঙ্গে তার কথোপকথন
হয়। হিমুকে জিজ্ঞেস করে তুমিই কি
হিমু, না হুমায়ূন, হিমু দৃষ্টি প্রসারিত
করে নয়নের দিকে। হঠাৎ এ প্রশ্ন?
হঠাৎ নয় অনেক দিনের প্রশ্ন। যেদিন
থেকে জানতে পেরেছি হুমায়ূন আহ্মেদ
দ্বিতীয় বিবাহ করেছে, এক ঈশ্বরের
একটি পৃথিবীতে, একটি হৃদয়ের
মানুষ তার দ্বিতীয় জীবন সঙ্গিনী।
লেখক বলে অনেক বড় প্রশ্ন?
যেখানে একটি মাত্র আসন, সেখানে
দুটি রানীর কিভাবে জায়গা হয়?
অতঃপর হিমু বলতে শুরু করে,
নাম হিমালয়, স্থির উচ্চতায়
আমার জন্ম, মেঘেরা আমাকে
ঘিরে পৃথিবীকে আলিঙ্গন করে,
তবে আমি একটি বইয়ের চরিত্র
বলেই অনেক কিছু দেখা হয়নি সত্য।
তাই বিদ্রোহ ভুলে গেছি, ভুলে গেছি
অভিমান, হয়তবা এভাবেই ভুলে যাই
ভালোবাসা। তবু হৃদয়ের এক সূক্ষ্মকোণে
নিজস্বতার আবেশে আমিও তাকে
প্রশ্ন করেছি বারবার, উত্তর মেলেনি।
অংক কষতে আমার লাগেনি ভালো
তবুও অংক কষেছি, হিসেব মেলেনি।
এখন মনে হচ্ছে, শুধু হিমালয় না হয়ে
তোমার মত নয়ন হতে পারলে,
হয়ত উত্তর দিতাম।