এক লোক বাজারে কলা বিক্রি করতে গেছে।
বিক্রি ভালই হচ্ছিল।
সে হঠাত্ চিন্তা করল
আহা..!
মানুষে কলা কিনে তা কষ্ট করে ছিলে খাবে!
তারচে বরং আমি এক কাজ করি,
কলাগুলোর খোসা(আবরণ) ফেলে দিয়ে বিক্রি করি,
এতে ভালো দামে বেঁচা যাবে,
আবার খেতেও মানুষের কষ্ট কম হবে।
যেই ভাবা সেই কাজ।
লোকটি তার কলাগুলোর
খোসা ফেলে দিয়ে একটি ডালা সাজিয়ে রাখল।
এবার যে কিনতে আসে সে এক নজর
দেখেই চলে যায়। কলা কেউ কিনে না।
ইতোমধ্যে খোসাবিহীন নগ্ন কলার
ঘ্রাণ পেয়ে, একদল বখাটে মাছি কলার উপর
হামলে পড়ল।
ভন ভন করতে লাগল কলার উপর। সেই
সাথে ধুলোবালি পড়তেও লাগল।
এসব দেখে ক্রেতারা কলা না কিনে সিঁটকে চলে যায়।
কলা বিক্রেতা ক্রেতাদের চেঁচিয়ে জিজ্ঞেস করল-
ওই মিয়ারা! তোমার কলা কিনছোনা ক্যান?
কলায় কি দোষ করল?
এক ক্রেতা জবাব দিল ধুর মিয়া!
আপনার কলা কেউ কিনবে না।
কারণ আপনি কলার খোসা (আবরণ)
ফেলে দিয়েছেন। যার জন্য
কলা মূল্যহীন হয়ে পড়েছে। কলা বিক্রেতা তার
ভুল বুঝতে পেরে বলল-
আচ্ছা ঠিক আছে, কলা মাগনা, ফ্রী দিচ্ছি, নিয়ে যান।
ক্রেতাঃকাম নাই আর খায়া লয়া! এই কলা মাগনা,
ফ্রী দিলেও নিমু না। ধুলা-বালি, মাছি, পিপড়া পইরা কলাগুলা খাবার অযোগ্য অইয়া গ্যাছে গা।
কলা বিক্রেতা দেখল কলা এখন কেউ
মাগনাও নিচ্ছে না। এখন উপায়?
কলা ফেলেও দেয়া যাচ্ছে না,
লোকে হাসবে। আবার বাড়িতেও
ফিরিয়ে নিতে গেলে নষ্ট হয়ে যাবে। তাই সে এবার জোর
আওয়াজে বলতে লাগল ওই মিয়ারা!
কলা নিবেন কলা! মাগনা দিমু, ফ্রী দিমু,
সাথে সাথে টেকাও দিমু। এইবার কিছু লোক টাকার লোভে কলা বিক্রেতার কাছ থেকে কলা এবং টাকা নিল!
অতঃপর কিছু দুরে গিয়ে কলা ফেলে দিয়ে, টাকা রেখে দিল।
>>> মন্তব্যঃ প্রিয় পাঠক!!!
সমাজে আধুনিক বেপর্দা নারীদেরকে,
বাজারের অই খোসা বিহীন কলার সাথে একটু মিলিয়ে দেখুনতো।
তাদের অবস্থা ঠিক ওই খোসা বিহীন
কলার মতই মূল্যহীন হয়ে পড়েছে কিনা?
একটা পুরুষ যতই খারাপ হোক,
সেও চায় একজন সতী-সাধ্বী,
পর্দানশীল-নারীকে বিয়ে করতে।
বর্তমানে যৌতুক ছাড়া এসব
বেপর্দা নারীকে বিয়ে দেয়া কঠিন
হয়ে যাচ্ছে!
তাইতো বিপদে পড়ে কলা বিক্রেতার
সাথে সুর মিলিয়ে অনেক মেয়ের বাপ বলতে বাধ্য হন-"মাইয়াও দিমু, যৌতুকও
দিমু"।
প্রিয়_বোনঃ আপনার সতর্কতার জন্য এর
চেয়ে ভালো উপমা আমার জানা নেই।