somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ওবায়দুল কাদের মঞ্চ ভেংগে পড়ে যাওয়াতে দেশ যেভাবে উপকৃত হলো

০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



গত ৬ জানুয়ারি বিকালে ছাত্রলীগের অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের ছাত্রলীগের অন্যান্য হাই প্রোফাইল নেতাকর্মী সহ মঞ্চ ভেংগে পড়ে যান। পড়া থেকে উঠে দাড়িয়েছেন কিনা সন্দেহ, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশের বদৌলতে সেটা সারাদেশে নয়, বরং সারাবিশ্বের সমস্ত বাংলা ভাষাভাষীদের মাঝে ভাইরাল হয়ে গেলো। আর যায় কোথায়, শুরু হলো হাস্যরস, নানান ট্রল ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু কেও একটিবারের জন্যও খেয়াল করলোনা, উনি পড়ে গিয়ে দেশের জন্য কতবড় উপকার করেছেন। আরও সুনির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে দেশের অর্থনৈতিক দুরাবস্থা থেকে উত্তরনে কি পরিমান অবদান রেখেছেন, সেটা কেওই খেয়াল রাখলেন না। বুঝিয়ে বলছিঃ

উনার মঞ্চ ভেংগে পড়ে যাওয়া পরপরই দেশের প্রতিটি নিউজ চ্যানেল এবং ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিওটি প্রচারিত হয়। বলতে গেলে এই ভিডিও আপলোডের ঝড় বয়ে যায়। সেই ভিডিও আপলোডের পরে আবার ফলোআপ ভিডিওও আপলোড হয়েছে। উনি কোন এংগেল থেকে পড়েছেন, মঞ্চে কে কে ছিলো, পড়ার আগে স্মার্ট বাংলাদেশ এর কতটুকু উচ্চারন করেছেন, পড়ে গিয়ে ব্যথা পেলেন কিনা, এখন কেমন আছেন ইত্যাদি ইত্যাদি নানান ভিডিও। এসব ভিডিও আপলোডও যেমন হয়েছে পাবলিক হুমড়ি খেয়ে দেখেছেও প্রচুর। আগ্রহ সহকারে এক চ্যানেলের ভিডিও দেখার পরে অন্য এংগেল থেকে দেখার খায়েশে আরেক চ্যানেলের ভিডিওও দেখেছে। এসব ভিডিওর ভিউ যেমন বেড়েছে, সেইসাথে ফেসবুক, ইউটিউবে গুগল এডসেন্স এর বিজ্ঞাপনের মাত্রাও লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। যত ভিউ, তত বিজ্ঞাপন, তত ইনকাম। এই একটা ইস্যুতে চ্যানেলগুলোর ব্যাংক একাউন্টগুলো ডলারে ডলারে ফুলেফেপে একাকার। দেশের অর্থনৈতিক এই দুরাবস্থার সময় এই মূল্যবান ডলার তথা রেমিট্যান্স দেশের উন্নয়নে কি ভূমিকা রাখবে, সেটাতো আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। এই দিক দিয়ে কি ওবায়দুল কাদের মহোদয় কি অবদান খাটো করে দেখার সুযোগ আছে?

ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি, হাতি মরলে নাকি লাখ টাকা। হাতি মরলে লাখ টাকা কিনা সেটা জানিনা, কিন্তু এটা স্বচক্ষে দেখলামঃ ওবায়দুল কাদের পড়লে কোটি টাকা।

উনি দেশের জন্য কোটি টাকার রেমিট্যান্স এনেছেন, সেটা নিয়ে একটা মানুষকেও তো কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করতে দেখলাম না। বরং আপনারা কি করলেন?

কেও কেও বললেন স্মার্ট মঞ্চ ভেংগে পড়েছে, কেও আবার বলছেন স্মার্ট বাংলাদেশের আইডিয়া ভেংগে পড়েছে, আবার কাওকে দেখলাম সব ট্রলের সকল সীমানা ছাড়িয়ে আহত কাক এর ছবি দিয়ে ইংগিতপুর্ন পোস্ট করেছেন, "কাউয়া আহত"।

হে স্মার্ট বাংলাদেশের আনস্মার্ট মানুষেরা, মানুষ কি বুঝেনা, আপনারা কাকে উদ্দেশ্য করে এই কাকের ছবি পোস্ট করেছেন? মানুষের বিপদে এভাবে হাস্যরস নেওয়া কি ঠিক? এরকম বিব্রতকর পরিস্থিতি তো আপনার আমারও হতে পারে । আর তাছাড়া উনি একটা রাজনৈতিক দলের দ্বিতীয় প্রধান ব্যক্তি। উনার প্রতিটি কথা কিংবা ঘটনাকে এরকম হাস্যরসাত্মকভাবে উপস্থাপন করা মানেতো ওই দলটাকে তথা দেশের প্রতি এই দলের অবদানকেও খাটো করে দেখা। রাজনীতি একটা সিরিয়াস বিষয়। আর দেশের এরকম গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে নিয়ে আপনারা যা করেন, যেভাবে হাসির পাত্র বানান, সেটা আর যাই হোক আমি মন থেকে মেনে নিতে পারিনা।

আপনাদের বুঝতে হবে, এসব মানুষেরা প্রতিটি মুহুর্তে, প্রতিটি কর্মকান্ডে দেশের উন্নয়নে ব্যতিব্যস্ত থাকেন। উনাদের প্রতিটি কথায় যেমন দেশ ও জাতি যেমন উপকৃত হয়, তেমনি উনারা খেলে, ঘুমালে, এমনকি পড়ে গেলেও পরোক্ষভাবে দেশের উন্নয়ন তরান্বিত হয়। সরকার যতই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চেষ্টা করুকনা কেন, এরকম যোগ্য ব্যক্তির সম্মান যতদিন দিতে না পারবেন, খাটি সোনার কদর যতদিন করতে না পারবেন, ততদিন এ জাতিকে আনস্মার্ট হয়েই থাকতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:১৪
১১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত যেসব বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ পাওয়া গেছে…

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:০৭




মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত যেসব বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ পাওয়া গেছে…
১. প্রথমে বলেছেন মৃতদের পেটে কাটাছেড়ার ডাহা মিথ্যা। পরে স্বীকার করেছেন দাগ থাকে।
২. আশ্রমে বৃদ্ধদের চিকিৎসা দেয়া হয় না। কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের (সা.) পক্ষ নিলে আল্লাহ হেদায়াত প্রদান করেন

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:৪২



সূরা: ৩৯ যুমার, ২৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৩। আল্লাহ নাযিল করেছেন উত্তম হাদিস, যা সুসমঞ্জস্য, পুন: পুন: আবৃত। এতে যারা তাদের রবকে ভয় করে তাদের শরির রোমাঞ্চিত হয়।অত:পর তাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগটা তো ছ্যাড়াব্যাড়া হয়ে গেলো :(

লিখেছেন সাখাওয়াত হোসেন বাবন, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৫৭



আমি আমার ব্লগিং শুরু করি প্রথম আলো ব্লগে লেখালেখির মাধ্যমে। ব্লগটির প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। কারণ প্রথম আলো ব্লগ আমায় লেখালেখিতে মনোযোগী হতে শিখিয়েছে । সে এক যুগ আগের কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

লুঙ্গিসুট

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:২৪



ছোটবেলায় হরেক রঙের খেলা খেলেছি। লাটিম,চেঙ্গু পান্টি, ঘুড়ি,মার্বেল,আরো কত কি। আমার মতো আপনারাও খেলেছেন এগুলো।রোদ ঝড় বৃষ্টি কোনো বাধাই মানতাম না। আগে খেলা তারপর সব কিছু।
ছোটবেলায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

লিখেছেন নতুন নকিব, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:২৫

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

ছবি কৃতজ্ঞতা: অন্তর্জাল।

একবার শাইখুল হাদিস মুফতি তাকি উসমানী দামাত বারাকাতুহুম সাহেবকে জিজ্ঞেস করা হল, জীবনের সারকথা কী? উত্তরে তিনি এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×