রূপের পসর মেলে শহরে নগরে,
পৃথিবী পেতেছে মায়াজাল বিলোভন।
সময়ের পাকে বাধা কুহেলি জীবন
খেয়ালী নেশায় ক্ষয়ে যায় অগোচরে।
খ্যাপাটে ষাঁড়ের মত দিশা-হীন ঘোরে,
আলেয়ার পিছে ছুটে চলা আমরণ।
ক্ষণিক সুখের এই রঙ্গিন স্বপন
ধূলায় মিলাবে কোন অজানা প্রহরে।*
হিসেব মেলানো ভার গোধূলির ক্ষণে,
বিষাদ হৃদয় ফেরে আকাশের পানে;
পূবাকাশে বুড়ো চাঁদ স্মিত হেসে বলে,
‘হৃদয় প্রশান্ত হয় খোদার স্মরণে, **
শাশ্বত কিতাবে খোঁজ জীবনের মানে,
পথ হারা ফরিয়াদ যায় না বিফলে।’***
*
‘‘বস্তুতঃ আমরা পৃথিবীকে তার উপর যা আছে তা দিয়ে সুশোভিত করেছি যাতে করে আমরা পরীক্ষা করতে পারি এদের মধ্যে ভালো কাজে কারা সবচাইতে সেরা।এবং নিশ্চয়ই আমরা এর উপরের সবকিছুকে শুষ্ক প্রান্তরে পরিণত করব।’’ (সূরা কাহফ ১৮:৭-৮)
‘‘ধনসম্পদ এবং সন্তান সন্ততিরা এই পার্থিব জীবনের শোভামাত্র,কিন্তু অনিঃশেষ ভালো কাজগুলোই আল্লাহর দৃষ্টিতে উত্তম প্রতিফলদায়ক এবং উত্তম আশাদায়ক।’’
(সূরা কাহফ ১৮:৪৬)
**
‘‘যারা বিশ্বাস করেছে এবং যাদের হৃদয় প্রশান্ত হয় আল্লাহকে স্মরণ করে।হ্যাঁ,আল্লাহর স্মরণে হৃদয় প্রশান্ত হয়।’’(সূরা আর রা’দ ১৩:২৮)
***
‘এবং যখন আপনার কাছে সেসব লোকেরা আসে যারা আমাদের নিদর্শনগুলোকে বিশ্বাস করে,বলুন,‘তোমাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক।তোমাদের প্রতিপালক তাঁর নিজের উপর দয়া অধ্যারোপ করে দিয়েছেন যদি তোমাদের মধ্যে কেউ অজ্ঞানতাবশতঃ খারাপ কাজ করে এবং তারপর তাওবা করে নিজেকে সংশোধন করে-প্রকৃতই তিনি ক্ষমাশীল এবং পরম দয়ালু।’ (সূরা আনা’ম ৬:৫৪)
‘বলুন,‘হে বান্দারা যারা নিজেদের উপর জবরদস্তি করেছ,আল্লাহর দয়ার ব্যাপারে নিরাশ হয়োনা।বস্তুতই তিনি সকল পাপ ক্ষমা করেন।প্রকৃতপক্ষে তিনিই তো ক্ষমাশীল এবং পরম দয়ালু।’’(সূরা জুমার ৩৯:৫৩)
‘হে লোকেরা যারা বিশ্বাস কর,আল্লাহ্র কাছে আন্তরিকভাবে তাওবা কর।হয়তো তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের খারাপ কাজগুলো সরিয়ে দিবেন এবং তোমাদেরকে বেহেশতে প্রবেশ করাবেন যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত হয়।’ (সূরা আত-তাহরিম ৬৬:৮)