somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হাসান মশহুদ চৌধুরীর আমলনামা

০৩ রা এপ্রিল, ২০০৯ রাত ৯:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

নিয়োগের প্রায় দুই বছর এক মাস পর বৃহস্পতিবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন সাবেক সেনা প্রধান হাসান মশহুদ চৌধূরী।
দায়িত্ব পালনকালে দুর্নীতি দমন অভিযানে দেশের সাবেক দুই প্রধানমন্ত্রীসহ প্রায় তিন শতাধিক রাজনীতিক, ব্যবসায়ী, সরকারি কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসব কারণে বহুল আলোচিত ছিলেন এই অবসরপ্রাপ্ত লে. জেনারেল
২০০৭ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি সাবেক সেনা প্রধান ও ইয়াজউদ্দীন সরকারের পদত্যাগী উপদেষ্টা হাসান মশহুদকে দুদক চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয় ফখরুদ্দীন সরকার। ২৫ ফেব্রুয়ারি তিনি কাজে যোগ দেন। একই সময় তার সঙ্গে কমিশনার হিসাবে যোগ দেন অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ মো. হাবিবুর রহমান ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক সদস্য আবুল হাসান মনজুর মান্নান।
২০০৪ সালের ২১ নভেম্বর তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো বিলুপ্ত করে কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে বিচারপতি সুলতান হোসেন খাঁন এবং কমিশনার পদে নিয়োগ পান অধ্যাপক মনিরুজ্জামান মিঞা ও মনিরউদ্দিন আহমেদ। দৃশ্যত তখন থেকেই যাত্রা শুরু হয় স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশনের। তবে সাধারণ মানুষের মাঝে কমিশন সম্পর্কে ছিল নেতিবাচক ধারণা। মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার আগেই ২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে তারা চাপের মুখে পদত্যাগ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
তাদের পদত্যাগের পর
৭ থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি কমিশনহীন ছিল দুদক। ২৫ ফেব্রুয়ারি নতুন কমিশন গঠনের আগ পর্যন্ত তালিকা প্রকাশসহ দুদকের সব কাজ হয়েছে তৎকালীন সচিব দেলোয়ার হোসেনের নিদের্শে। কিন্তু দুদক আইন অনুযায়ী কমিশনের সিদ্ধান- ছাড়া কোনো কাজ অন্যরা করতে পারে না। সচিব শুধু সাচিবিক দায়িত্ব পালন করবেন। সচিবের ওই সময়ের কর্মকাণ্ডে বিতর্ক দেখা দিলে মার্চ মাসে দুদক বিধিমামলায় ভূতাপেক্ষ বৈধতা দিয়ে তা বৈধ করা হয়।
এই ছিল দুর্নীতি দমন কমিশনের ফলহীন একটি অধ্যায়। এরপরের অধ্যায়টি কেবল হাসান মশহুদ চৌধূরীর। তার দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিনই সম্পদের হিসাব দিতে এসে গ্রেপ্তার হন প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন নেতা।

দুদকে এসে আটক
‘সম্পদের হিসাব দিতে এলে কাউকে দুদক থেকে আটক করা হবে না’- এমন ঘোষাণার পরও অনেকেই সম্পদের হিসাব দিতে এসে যৌথ বাহিনীর হাতে আটক হলে নড়েচড়ে বসেন দুর্নীতিগ্রস্থ রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে আমলা, ব্যবসায়ীরা।
হাসান মশহুদ কাজে যোগ দেওয়ার প্রথম দিন হিসাব দাখিল করে বেরিয়ে যাওয়ার সময় গ্রেপ্তার হন- আওয়ামী লীগ নেতা এবং সাবেক মন্ত্রী মোশাররফ হোসেন, বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস, ঢাকা সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কমিশনার মো. আব্দুল কাইয়ুম, সাবেক বিদ্যুৎ সচিব আ ন হ আখতার হোসেন, বিএনপি’র সাবেক সাংসদ হাফিজ ইব্রাহিম।
হাসান মশহুদ সবচে আলোচিত হন হাসিনা-খালেদার সম্পত্তির হিসাব চেয়ে নোটিশ পাঠিয়ে।
একটি চাঁদাবাজি মামলায় ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারের পরের দিনই তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির হিসাব চেয়ে নোটিশ পাঠায় দুদক। ১৮ জুলাই আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ারও সম্পত্তির হিসাব চেয়ে নোটিশ পাঠানো হয়।

প্রথম তিন মামলা
নতুন কমিশন দায়িত্ব গ্রহণের পর ওই বছরের ৬ মার্চ কমিশন তেজগাঁও থানায় মহিউদ্দিন খান আলমগীর, কাফরুল থানায় মীর মো. নাছিরউদ্দিন, তার ছেলে মীর হেলাল উদ্দিন, গুলশান থানায় আমানউল্লাহ আমান ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে আলাদা তিনটি মামলা দায়ের করে।

দ্রুত বিচারের জন্য বিশেষ আদালত
সন্দেহভাজন দুর্নীতিবাজদের বিচার দ্রুত শেষ করতে জাতীয় সংসদ ভবনের এমপি হোস্টেলে সস্থাপন করা হয় পাঁচটি বিশেষ জজ আদালত। ৬ মে থেকে চারটি আদালত কাজ শুরু করলেও পরে আরও ৬ টি আদালতসহ মোট ১০ টি আদালত কাজ শুরু করে।

প্রথম তালিকা
২০০৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি ৫০ জন শীর্ষ রাজনীতিবিদ, আমলা ও ব্যবসায়ীর তালিকা প্রকাশের পাশাপাশি তাদেরকে ‘শীর্ষ দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসী ও গডফাদার’ হিসাবে উল্ল্লেখ করে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সব স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির হিসাব দিতে বলে দেশকে চমকে দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। শুধু তাই নয় তালিকাভুক্তরা নিজেদেরকে নির্দোষ প্রমাণে ব্যর্থ হলে আইনানুযায়ী ১৩ বছরের কারাদণ্ডসহ তাদের সম্পদও বাজেয়াপ্ত করা হবে বলে জানানো হয় সেসময়।

দ্বিতীয় তালিকা
ওই তালিকা প্রকাশের ঠিক একশ’ দিন পর ২৯ মে দুদক প্রকাশ করে দ্বিতীয় তালিকা। এতে খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ ২১ জনকে অন্ত:ভুক্ত করে তাদের সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ জারি করে দুদক।
তৃতীয় তালিকা
দুদক তার তৃতীয় তালিকা প্রকাশ করে ২৮ জুন। দ্বিতীয় তালিকার এক মাস পর প্রকাশিত ওই তালিকায় সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদসহ ১৩ জনের নাম অন্ত: ভুক্ত ছিল।

চতুর্থ তালিকা
তিন মাস বিরতি দিয়ে ২৬ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত হয় দুদকের চতুর্থ তালিকা। এতে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির প্রয়াত নেতা নাজিউর রহমান মঞ্জুরসহ ১০ জনের নাম ছিল।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত তালিকা
দুদকের চতুর্থ তালিকা প্রকাশের পরের দিন ২৭ সেপ্টেম্বর বিভিন্ন গণমাধ্যমে সন্দেহভাজন দুর্নীতিবাজ হিসেবে ৮০ জনের একটি তালিকা পাঠানো হয়। গণমাধ্যমে প্রকাশিত এ তালিকায় কোনো সূত্রের উল্লেখ ছিল না। তবে গুরুতর অপরাধ দমন অভিযান সংক্রান্ত জাতীয় সমন্বয় কমিটির (এনসিসি) একটি সূত্র দাবি করে তালিকাটি তাদের পাঠানো।
রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, আমলাসহ ৮০ জনের নাম ছিল ওই তালিকায়। তালিকায় ঢাকার মেয়র সাদেক হোসেন খোকা, আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ, সাজেদা চৌধুরীসহ ৩৫ জন রাজনীতিবিদ, ২৭ জন আমলা ও চাকরিজীবী এবং ট্রান্সকম গ্রুপের মালিক লতিফুর রহমান, ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক মীর কাশেম আলী, নিটল গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুল মাতলুব আহমেদসহ ১৬ জন ব্যবসায়ী ও এনজিও ব্যক্তিত্ব ছিল। এছাড়াও ওই তালিকায় ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক আইন উপদেষ্টা বিচারপতি ফজলুল হকের নামও ছিল।

পঞ্চম তালিকা
৪ অক্টোবর দুদক ওই তালিকা প্রকাশ করে। এতে ৩৫ জন সন্দেহভাজন দুর্নীতিবাজের নাম অনর্-ভুক্ত ছিল।
মশহুদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ও তার পদত্যাগ
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর সরকার ও বিরোধী দলের বেশ কয়েকজন সাংসদ বিগত দুই বছরের কর্মকাণ্ডের জন্য দুদক চেয়ারম্যানের বিচার দাবি করেন।
এর আগে হাসান মশহুদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে ট্রাস্ট ব্যাংকের অর্থ পাচার ও আত্মসাতের অভিযোগ তোলেন বিগত জোট সরকারের জ্বালানি উপদেষ্টা মাহমুদুর রহমান। গত বছরের ২৫ অক্টোবর তিনি দুদক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এ জন্য মামলা করারও চেষ্টা করেন।
মাহমুদুর রহমান অভিযোগ করেন, ট্রাস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান থাকার সময় হাসান মশহুদ বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন খাতে লোকসান দেখিয়ে ব্যাংকের প্রায় ২২ কোটি ৪১ লাখ ৭১ হাজার ১৪০ টাকা বিদেশে পাচার করার মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন।
কোনো থানা অভিযোগটি গ্রহণ না করায় রেজিষ্ট্রি ডাকের মাধ্যমে তা তদন্তের জন্য দুদকের কাছেই পাঠিয়ে দেন মাহমুদুর রহমান।
তবে তার আনা অভিযোগ অস্বীকার করে পরের দিনই এক সংবাদ সম্মেলনে এর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছিলেন হাসান মশহুদ।
গত ২৫ জানুয়ারি হাসান মশহুদের বিরুদ্ধে আনা অর্থ পাচারের অভিযোগ যাচাই করার জন্য দুই কমিশনার মো. হাবিবুর রহমান এবং আবুল হাসান মনয়ূর মান্নানকে নিয়ে একটি বিশেষ যাচাই কমিটি করে দুদক।
১৯ মার্চ এ সংক্রান্ত বিশেষ যাচাই কমিটি একটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে।
এতে বলা হয়, হাসান মশহুদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছিল তা মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যমূলক।
তদন্ত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আমার দেশ পাবলিকেশন্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমানকে তার অভিযোগের প্রমাণপত্র নিয়ে দুদক কার্যালয়ে এসে বক্তব্য দেওয়ার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি দুদক কার্যালয়ে আসেননি এবং তার অভিযোগ সংক্রান্ত কোন প্রমাণও দাখিল করতে পারেননি।
সর্বশেষ, সব আলোচনার অবসান ঘটিয়ে বৃহস্পতিবার দুদক চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করলেন হাসান মশহুদ চৌধূরী।হাসান মশহুদের আমলনামা
নিয়োগের প্রায় দুই বছর এক মাস পর বৃহস্পতিবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন সাবেক সেনা প্রধান হাসান মশহুদ চৌধূরী।
দায়িত্ব পালনকালে দুর্নীতি দমন অভিযানে দেশের সাবেক দুই প্রধানমন্ত্রীসহ প্রায় তিন শতাধিক রাজনীতিক, ব্যবসায়ী, সরকারি কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসব কারণে বহুল আলোচিত ছিলেন এই অবসরপ্রাপ্ত লে. জেনারেল। প্রদীপ চৌধুরীর কলমে বিস্তারিত।
২০০৭ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি সাবেক সেনা প্রধান ও ইয়াজউদ্দীন সরকারের পদত্যাগী উপদেষ্টা হাসান মশহুদকে দুদক চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয় ফখরুদ্দীন সরকার। ২৫ ফেব্রুয়ারি তিনি কাজে যোগ দেন। একই সময় তার সঙ্গে কমিশনার হিসাবে যোগ দেন অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ মো. হাবিবুর রহমান ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক সদস্য আবুল হাসান মনজুর মান্নান।
২০০৪ সালের ২১ নভেম্বর তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো বিলুপ্ত করে কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে বিচারপতি সুলতান হোসেন খাঁন এবং কমিশনার পদে নিয়োগ পান অধ্যাপক মনিরুজ্জামান মিঞা ও মনিরউদ্দিন আহমেদ। দৃশ্যত তখন থেকেই যাত্রা শুরু হয় স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশনের। তবে সাধারণ মানুষের মাঝে কমিশন সম্পর্কে ছিল নেতিবাচক ধারণা। মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার আগেই ২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে তারা চাপের মুখে পদত্যাগ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
তাদের পদত্যাগের পর
৭ থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি কমিশনহীন ছিল দুদক। ২৫ ফেব্রুয়ারি নতুন কমিশন গঠনের আগ পর্যন্ত তালিকা প্রকাশসহ দুদকের সব কাজ হয়েছে তৎকালীন সচিব দেলোয়ার হোসেনের নিদের্শে। কিন' দুদক আইন অনুযায়ী কমিশনের সিদ্ধান্ত ছাড়া কোনো কাজ অন্যরা করতে পারে না। সচিব শুধু সাচিবিক দায়িত্ব পালন করবেন। সচিবের ওই সময়ের কর্মকাণ্ডে বিতর্ক দেখা দিলে মার্চ মাসে দুদক বিধিমামলায় ভূতাপেক্ষ বৈধতা দিয়ে তা বৈধ করা হয়।
এই ছিল দুর্নীতি দমন কমিশনের ফলহীন একটি অধ্যায়। এরপরের অধ্যায়টি কেবল হাসান মশহুদ চৌধূরীর। তার দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিনই সম্পদের হিসাব দিতে এসে গ্রেপ্তার হন প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন নেতা।

দুদকে এসে আটক
‘সম্পদের হিসাব দিতে এলে কাউকে দুদক থেকে আটক করা হবে না’- এমন ঘোষাণার পরও অনেকেই সম্পদের হিসাব দিতে এসে যৌথ বাহিনীর হাতে আটক হলে নড়েচড়ে বসেন দুর্নীতিগ্রস- রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে আমলা, ব্যবসায়ীরা।
হাসান মশহুদ কাজে যোগ দেওয়ার প্রথম দিন হিসাব দাখিল করে বেরিয়ে যাওয়ার সময় গ্রেপ্তার হন- আওয়ামী লীগ নেতা এবং সাবেক মন্ত্রী মোশাররফ হোসেন, বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস, ঢাকা সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কমিশনার মো. আব্দুল কাইয়ুম, সাবেক বিদ্যুৎ সচিব আ ন হ আখতার হোসেন, বিএনপি’র সাবেক সাংসদ হাফিজ ইব্রাহিম।
হাসান মশহুদ সবচে আলোচিত হন হাসিনা-খালেদার সম্পত্তির হিসাব চেয়ে নোটিশ পাঠিয়ে।
একটি চাঁদাবাজি মামলায় ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারের পরের দিনই তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির হিসাব চেয়ে নোটিশ পাঠায় দুদক। ১৮ জুলাই আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ারও সম্পত্তির হিসাব চেয়ে নোটিশ পাঠানো হয়।

প্রথম তিন মামলা
নতুন কমিশন দায়িত্ব গ্রহণের পর ওই বছরের ৬ মার্চ কমিশন তেজগাঁও থানায় মহিউদ্দিন খান আলমগীর, কাফরুল থানায় মীর মো. নাছিরউদ্দিন, তার ছেলে মীর হেলাল উদ্দিন, গুলশান থানায় আমানউল্লাহ আমান ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে আলাদা তিনটি মামলা দায়ের করে।

দ্রুত বিচারের জন্য বিশেষ আদালত
সন্দেহভাজন দুর্নীতিবাজদের বিচার দ্রুত শেষ করতে জাতীয় সংসদ ভবনের এমপি হোস্টেলে সংস্থাপন করা হয় পাঁচটি বিশেষ জজ আদালত। ৬ মে থেকে চারটি আদালত কাজ শুরু করলেও পরে আরও ৬ টি আদালতসহ মোট ১০ টি আদালত কাজ শুরু করে।
৯টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শ্রমিক সংঘ অটুট থাকুক

লিখেছেন হীসান হক, ০১ লা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৮

আপনারা যখন কাব্য চর্চায় ব্যস্ত
অধিক নিরস একটি বিষয় শান্তি ও যুদ্ধ নিয়ে
আমি তখন নিরেট অলস ব্যক্তি মেধাহীনতা নিয়ে
মে দিবসের কবিতা লিখি।

“শ্রমিকের জয় হোক, শ্রমিক ঐক্য অটুট থাকুক
দুনিয়ার মজদুর, এক হও,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪

ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার


(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১




ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।


এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×