somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আধেক খোয়াব কিংবা তীব্র উপাস ।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


সাদা মসৃণ টাইলসের মেঝে , চকচকে দেয়াল, হলঘরের মত বিশাল এক ড্রয়িংরুম,ঢাউস আকারের সুরক্ষিত শয্যাকক্ষসহ আরও বিবিধ বিলাসী উপকরণে ভরপুর এক ফ্ল্যাটে আমি পায়চারি করছি কোন রকম জড়তা ছাড়াই। অবলীলায় ঢুকে পড়ছি শয্যাকক্ষে। এক প্রিয়দর্শিনী সেখানে ওয়ারড্রবে কাপড় গোছাচ্ছেন। শয্যাকক্ষে আমার প্রবেশে তাকে বিচলিত হতে দেখা যায় না। বরং একটা মুচকি হাসি দিয়ে যৌথ জীবনযাপনকে যেন নতুন এক মাত্রায় নিয়ে গেলেন তিনি।আমি কি তবে জড়িয়ে পরেছি কারও চিরঋণে?
কিছুক্ষণ বাদেই ড্রইংরুমে রাখা মিনি শয্যায় নিজেকে শায়িত দেখি। দেয়ালের সাথে সংযুক্ত হাল আমলের এলইডি টিভিতে হরর সিনেমা চলছে। প্রিয়দর্শিনী এবার দেখা দিলেন এইখানে ।
'তোমার হরর সিনেমা পছন্দ? বলনি তো আগে?'
আগে বলিনি মানে? তবে কি তার সাথে অনেক দিনের পরিচয় আমার ?দেখেছি আগে ? না মনে হয় । আমি কি তার অর্ধাঙ্গ ?
'আমার ক্লাসিক সিনেমা পছন্দ। ' আমি বলি ।
'আচ্ছা। তুমি কি ফরাসি ‘সুইমিংপুল’ সিনেমাটা দেখেছো?'
'না। '
'সিনেমাটায় একজন লেখিকা নিভৃতে লেখালেখি করার জন্য একটা বাংলো বাড়ি ভাড়া নেয়। একরাতে বাংলোর মালিকের মেয়ে তার বয়ফ্রেন্ড নিয়ে এসে মাতলামি শুরু করে লেখিকার পাশের রুমে । তারপর কি হয় জানো? শেষরাতের দিকে কয়েক দফা সঙ্গমের পর কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বয়ফ্রেন্ড মদের বোতল ছুড়ে মারে মেয়েটির দিকে। আচানক আঘাতে স্পট ডেড হয়ে যায় মেয়েটি ।পালিয়ে যায় ছেলেবন্ধুটি।লেখিকা বুঝতে পারে তিনি ফেসে যেতে পারেন।পুলিশ এসে তাকেই ধরবে । ঝামেলা এড়াতে নৈশ প্রহরীর সহায়তায় বাংলোর নির্জন প্রান্তে ডেডবডি মাটিচাপা দেন তিনি। প্রহরীর মুখ বন্ধ করার জন্য লেখিকা কি করেছিল জানো?'
'না'
'শরীর দিয়েছিল ।এক সপ্তাহ প্রতি রাতেই ডেকে নিতেন শয্যাকক্ষে। রক্ত টগবগ তরুণ প্রহরীও তার কল্পনার বাইরের আকাঙ্ক্ষিত নারী শরীরের স্বাদ পেয়ে লেখিকার কথা মত চেপে যায় সবকিছু। '
এইটুকু বলার পর তার চোখে মাদকতা দেখা যায়। বুঝতে পারি তার শরীর জেগেছে। উত্তেজক গল্পের ছলে কামের বাসনা প্রবল হয়ে দেখা দেয় তার মাঝে । ধীরে ধীরে সে মিশে যেতে থাকে আমার শরীরে। ঘন ঘন নিঃশ্বাস নিতে থাকে। আমাকে এক প্রকার অবরুদ্ধ করে তার হাত ভ্রমন করতে থাকে আমার শরীরের পৌরুষ অঞ্চলে। নানাবিধ কসরতে আমাকে জাগিয়ে তুলতে থাকে সে। তার ক্লাসিক নিপুন বক্ষদেশ আমার বক্ষদেশে পতিত হলে শরীরে বিদ্যুৎ খেলে যায় আমার। উদীয়মান অবস্থায় দেখি স্বীয় পুরুষযন্ত্র। মুখে হাসি খেলে যায় তার। মাথা একটু উচিয়ে আমিও দেখতে চেষ্টা করি উত্থিত সম্পদ। শেষ কবে এইরুপ উত্থানের ঘটনা ঘটেছিল মনে পড়ে না। চোখে ঘোর লাগে আমার। উত্থান যন্ত্রের এমন দৃঢ়তা এবং রুক্ষমূর্তি আগে দেখিনি। মনে হয় সম্মুখ সমরে কচুকাটা করতে যাচ্ছে শত্রুপক্ষকে। অল্পক্ষন পরে সব পোশাক ছুড়ে ফেলে প্রিয়দর্শিনী আদিম বেশ ধারন করে। এক পরিপূর্ণ নগ্ন নারীদেহ এখন আমার অধিকারে। অনেক উপাস দিন গেছে আমার। নারীদেহের সাথে উত্তাপ বিনিময়ের ক্ষুধা লালন করেছি সবসময়। তার চোখের মাদকতা তাই আমাকে হিংস্র করে তুলে । মধ্যবিত্তের জড়তা এড়িয়ে তার নারীস্থানে জিহবা দিয়ে প্রলয় শুরু করি । তীব্র শীৎকারে সে খামচে ধরে আমার চুল। আমাকে তার রহস্যপুরীতে প্রবেশের আকুতি জানায় কাতর ভঙ্গিমায় । কিন্ত প্রবেশে ধীরে চলো নীতিতে আগাতে চাই আমি । তার বিলম্ব সয় না। এক প্রবল উচাটন তার শরীর ভেঙ্গেচুরে দিচ্ছে । ক্ষানিক পরে আমাকে ভুপাতিত করে নিজেই চড়ে বসে ।নারী পক্ষের সঞ্চালকের ভুমিকায় উত্তীর্ণ হয়ে সঙ্গমের এই পশ্চিমা ভঙ্গিমায় তার দারুন আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। বেশ পটু সে। অথচ আমাকে নিজের অভ্যন্তরে প্রবেশ করানোর মিনিট না পেরোতেই বিকট চিৎকারে মেঝেতে উল্টে পড়ে যায় সে । তাকিয়ে দেখি তার নারীস্থান দিয়ে রক্তের স্রোত বয়ে যাচ্ছে। ছোপ ছোপ রক্ত দেখি আমার পুরুষযন্ত্রেও। পরখ করে দেখি আমার পুরুষযন্ত্রটি আসলেই একটি নিরেট ধাতব বস্তুতে পরিনত হয়েছে। দীর্ঘ উপাসের ফলে এর সমগ্র অঞ্চল ধাতব কাঁটায় পূর্ণ । ত্বরিত নিঃশ্বাস প্রশ্বাসের প্রকোপে প্রিয়দর্শিনীর বুক উঠানামা করছে দ্রুত গতিতে । চোখ বন্ধ । নগ্ন শরীরের এখানে সেখানে রক্তের দাগ । বেহুশ প্রিয়দর্শিনীকে দেখে মনে হয় কোন ক্ষুধার্ত নেকড়ে খাবলে খেয়েছে ।
মোবাইলে কর্কশ অ্যালার্ম বেজে উঠে তখন।ভোর হয়ে গেছে । ছয়টা ত্রিশ বাজে । ইঁদুর দৌড়ে শামিল হওয়ার সময় হয়ে গেছে আমার ।আচানক নিদ্রাভঙ্গ আর বিহ্বল খোয়াবের জেরে বিধ্বস্ত লাগে কিছুক্ষন। তথাপি উঠে দাড়াই। ছুটতে হবে শহরের আরেক প্রান্তে । তবে তার আগে গরম পানি দিতে হবে চুলায় । স্নান আবশ্যক হয়ে গেছে এই তীব্র শীতেও ।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:০৭
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×