সামু পরিবার বা সামু ব্লগারদের সম্পর্কে কার কেমন ধারনা সেটি জানি না। তবে আমার কাছে মনে হয় সামু আমার আলাদা একটি জগৎ, আলাদা একটি পরিবার। যেখানে এসে নানা প্রকারের মানুষ, নানা মতের মানুষ, নানা পরিবেশ সম্পর্কে জানার মাধ্যমে একটি অপরিচিত পরিবার তৈরি হয়েছে। যেমনটি একটি সন্তান জন্ম নিলে নতুন নতুন অনেক মানুষের সাথে, পরিবেশের সাথে সম্পর্কে তৈরি হয়। সেখান থেকে অনেক কিছু জানতে পারে, শিখতে পারে ইত্যাদি। আর ঐ পরিবারের প্রতি তৈরি হয় ভালবাসা মায়া। সেই ভালবাসার জায়গা যদি হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় তাহলে খারাপ লাগা অস্বাভাবিক না।
দীর্ঘ দিন সামু ব্লক ছিল। ব্লগারেরা মিস করতে থাকলো সামু পরিবার। কেউ কেউ দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর মত প্রক্সি ভিপিএন দিয়ে সামুতে পায়চারী করতে থাকলো, তারপরও দুধের স্বাদ তো দুরের কথা ঘোলের স্বাদও তেমন পাওয়া যাচ্ছিল না। অধিকাংশ ব্লগারা ভাবতে শুরু করলো সামু কোমায় চলে গেছে। এখান থেকে হয়তো আর ফিরে আসতে পারবে না। আসলেও মেরুদন্ড ভাঙ্গা বৃদ্ধর মত পথ চলে সামুর দিন পার করতে হবে ইত্যাদি ইত্যাদি।
কিন্তু মজার ব্যাপার সেই দিন পার করে আজ আবার সামু আগের মত পথ চলতে শুরু করেছে। শুধু পথ চলতে না আগের থেকে অনেক আনন্দমুখর হয়ে পথ চলা শুরু হয়েছে। পুরাতন ব্লগার ও নতুন ব্লগারদের নিয়ে গড়ে ওঠেছে আগের সেই সামু পরিবার। আর এটা সামুর সকল ব্লগারদের জন্য অতি আনন্দের ব্যাপার। সামুর খরতার সময় অনেক ব্লগার দেশ বিদেশ থেকে নানা ভাবে লেখালিখি করে সামনে বাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। ঐ সকল ব্লগারদের ধন্যবাদ দিয়ে শেষ করা যাবে না। তাদের প্রতি শুধুই ভালবাসা।
যদিও এখানে নানা মতের ব্লগার আছেন তারপরও আমি বিশ্বাস করি সবার প্রতি সকলের একধরনের ভালবাসা আছে। যেমন একটি সমাজ বা পরিবারে সবাই এক ধারনের হয় না। ভাল খারাপ মিলেই সমাজ বা পরিবার তৈরি হয়, তারপরও কারো অনুপস্থিতি আমাদের মনে কষ্ট দেয়। কারন মাঠে যতই যুদ্ধ হোক, দিন শেষে আমরা সকলেই এক গোয়ালের গরু। দেখুন আমাদের চাঁদগাজী সাহেবের দুরান্ত পোষ্ট আর রুক্ষ কর্কশ মার্কা কমেন্টে আমি সহ অনেকেই বিরক্ত হলেও আজ ওনার অসুস্থতায় আমরা ওনাকে মিস করছি। অথচ তিনিও সামুর খরতার সময় অন্যতম একজন নিয়মিত ব্লগার ছিলেন। আমরা চাই না কেউ আমাদের থেকে দুরে থাকুক, হারিয়ে যাক, খারাপ থাকুক। সকলেই ফিরে আসুক সামু পরিবারে। ভালবাসা সকল সামু ব্লগারদের জন্য।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৫