করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত চীন ও তার পার্শ্ববর্তীদেশগুলো। এই পর্যন্ত অর্ধশতাধীক লোক মারা গেছে এই ভাইরাসে। এখনো পর্যন্ত সনাক্ত করা যায়নি কোথা থেকে করোনা ভাইরাস ছাড়িয়েছে বা এর প্রতিকার কি! এমনকি চীনের পক্ষে ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ সম্ভব না বলে জানিয়েছে কিছু চীন বিজ্ঞানী। এটি একটি ভয়ংকর ব্যাপার!!!
ব্যবসা, পড়াশুনা, ভ্রমন ও কাজের জন্য চীনে অনেক বাংলাদেশী বসবাস করছে। বিশেষ করে পড়াশুনার জন্য বড় একটি সংখ্যা চীনে বসবাস করছে। তাই বাংলাদেশ সরকারের উচিৎ অন্তত চীনে অবস্থানরত ছাত্রদের দিকে একটু বিশেষ নজর দেওয়া। ভারত, শ্রীলংকা সহ কিছু দেশ নিজ উদ্ধ্যোগে বিশেষ বিমান সার্ভিস চালু করে ফ্রি তে নিজ দেশে ছাত্রদের ফেরৎ নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারেরও উচিৎ ছিল অন্তত ফ্রি তে না হোক ছাত্রদের সুস্থভাবে দেশে ফেরানোর একটা ভাল ব্যাবস্থা করে দেওয়া। যদিও আমাদের ব্লগার চাঁদগাজী সাহেব চীন থেকে বর্তমানে কাওকে দেশে আনার পক্ষে নন।
করোনা ভাইরাস আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ার পর বাংলাদেশ সরকার একটি হট লাইন নাম্বার ও চালু করেছে। বাংলাদেশী ছাত্ররা জানিয়েছে হট লাইন নাম্বার কিছু সময় বন্ধ, কিছু সময় ব্যাস্ত, কিছু সময় কল হলেও রিসিভ হয় না, আর রিসিভ হলেও তাদেরকে মাস্ক ব্যবহার করতে, ঘরের বাইরে বের না হতে, দরজা জানালা বন্ধ করে রাখতে, নিয়মিত প্যারাসিটামল ট্যাবলেট ক্যাপসুল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। উহান প্রভিন্স বন্ধ থাকায় কোন স্টুডেন্ট নিজ দায়িত্বে দেশেও ফিরে যেতে পারছে না। এমনকি এম্বাসি থেকে ছাত্রদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে বলা হলেও এই ব্যাপারে ছাত্ররা কিছুই জানে না! হটলাইনে বার বার যোগাযোগ করার পরও মেইলে জানানো হচ্ছে যে, এই অবস্থায় কোন সাহায্য করা সম্ভব না!
বাংলাদেশ সরকারের উচিৎ এম্বাসি থেকে প্রতিটা ছাত্রর সাথে নিয়মিত যোগযোগ রাখা। সম্ভব হলে চীন থেকে দ্রুত ছাত্রদের মেডিকেল চেকআপ করে দেশে ফেরৎ নিয়ে আসা। এমনকি চীন বা চীনের পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে কোন ফ্লাইট আসলে প্রতিটা মানুষকে ভালভাবে চেকআপ করার পর তাদেরকে ছাড়া।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:০৯