সত্য ঘটনাঃ জনৈক ‘সহিহ আকিদা’র আইন পেশাজীবী আমাদের এক হাফেজের সাথে মাসজিদে দেখা করতে এলেন তার ছেলেকে পড়াবেন বলে। কথা প্রসঙ্গে তিনি জানালেন, দু-একটি বাসাইকৃত মসজিদ ছাড়া তিনি নামাজ আদায় করেন না। হাফেয সাহেব কারণ জানতে চাইলে তিনি জানালেন, অধিকাংশ মাসজিদের ইমাম ওযু করার সময় ঘাড় মাসেহ করেন তাই তাদের ওযু হয় না। আর ওযু না হলে নামাজও হয় না। তাই এদের পিছনে নামাজ আদায় করে তিনি তার নামাজকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে চান না।
হাফেয সাহেব সুন্দরভাবে আইনজীবী ভাইকে জানালেন, আল্লাহ্ যা নাযিল করেননি বা মানব রচিত আইন দিয়ে বিচারকারীদের সম্পর্কে কোরআনে কি বলা হয়েছে । তাদেরকে আল্লাহ্ কাফির, যালিম, ফাসিক বলে আখ্যায়িত করেছেন। (আল-মাইদাহঃ ৪৪,৪৫,৪৭)। আর জানালেন যারা সেচ্ছায় এই আইন বাস্তবায়নকে নিজেদের পেশা হিসাবে নিয়েছেন তাদের কি অবস্থাই না হবে! কথাগুলি শুনে ভদ্রলোক চুপসে গেলেন। বেশ কিছুক্ষণ এভাবে বসে থেকে নীরবে প্রস্থান করলেন।
এখন মুল বিষয়ে চলে আসি। আমরা প্রায়ই আকিদাহ আরা আমালের পার্থক্যগুলিকে গোলমাল পাকিয়ে ফেলি। বাহ্যিক কিছু আমাল দেখে কাউকে ‘সহিহ আকিদা’র অনুসারী মনে করি। যদিও তিনি হয়তো লাত, মানাতের আদলে কোন ‘ইসম’এর ধারক-বাহক হয়ে আছেন।
আকিদাহ হলো এমন বিষয় যা শুধু বিশ্বাসের সাথে জরিত, যার কোন বাহ্যিক কার্যরুপ নেই। উদাহরন স্বরূপ আল্লাহ্ হলেন বিশ্বজগতের স্রস্টা, প্রতিপালক, বিধানদাতা এবং তাঁর ইবাদাত করা বাধ্যতামূলক – এ বিশ্বাস পোষণ করা একটি আকি্দাহগত বিষয়। আরা যে বিষয়গুলোকে ফলিত ও ব্যবহারিক বাস্তবায়নের কাজে পরিণত করা যায় সেগুলিকে বলা হয় ‘আমালি বিষয়। যেমন, সলাত প্রতিষ্ঠা, যাকাত আদায়, সওম পালন ‘আমালি বিধান হিসাবে পরিচিত। এগুলোকে ফুরুঈ আনুষঙ্গিক বিষয় হিসাবে গণ্য করা হয়। মৌলিক আকিদাহগত বিষয়গুলো যদি বিশুদ্ধ না হয় তবে আনুষঙ্গিক এ ‘আমালগুলো যতই সুন্দর হোক না কেন তা কোন কাজে আসবে না। এ বিষয়ে জানা প্রত্যেক মুসলিমের জন্য অপরিহার্য্য। তাই ডঃ সালিহ আল ফাওযান রচিত ‘আকিদাহ আত-তাওহীদ’ বইটি সংগ্রহ করে অধ্যায়ন করতে পারেন। সিয়ান পাবলিকেশন বইটি প্রকাশ করেছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৪২