মহৎ আত্মা যাহার – মহাত্মা, বাল্যকালে ব্যকরণে পড়েছিলাম। আমাদের এই ভারতীয় উপমহাদেশের একজন মহাত্মার কাহিনী নিয়েই আজকের এই লিখা ।
ছাত্র জীবনে অনেক ক্ষেত্রেই অনেক সময় জনাব মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীকে শ্রদ্ধাভরে মহাত্মা গান্ধী বলে সম্বোধন করেছি । তার কর্মকাণ্ড কি আদৌ মহাত্মার মত ছিল ।
এধরণের অনেক মহাত্মা আছেন, আমাদের মুকুট মনি হয়ে । এই বদ খাসলতী মহাত্মাদের কুরুপ (স্বরূপ?) উন্মোচন এবং উন্মোচিত স্বরূপ দৃশ্যমান হওয়া অতিব জরুরী ভবিষ্যৎ প্রজম্মের জন্য ।
নাম তার মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী ( গুজরাটি ভাষায়: મોહનદાસ કરમચંદ ગાંધી মোহান্দাস্ কারাম্চান্দ্ গান্ধী ) বা মহাত্মা গান্ধী (২রা অক্টোবর, ১৮৬৯ - ৩০শে জানুয়ারি, ১৯৪৮) অন্যতম প্রধান ভারতীয় রাজনীতিবিদ, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্রগামী ব্যক্তিদের একজন এবং প্রভাবশালী আধ্যাত্মিক নেতা। তিনি ছিলেন সত্যাগ্রহ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা।
গান্ধী ভারতে এবং বিশ্ব জুড়ে মহাত্মা (মহান আত্মা) এবং বাপু (বাবা) নামে পরিচিত। ভারত সরকারীভাবে তাঁর সম্মানার্থে তাকে ভারতের জাতির জনক হিসেবে ঘোষণা করেছে । ২রা অক্টোবর তাঁর জন্মদিন ভারতে গান্ধী জয়ন্তী হিসেবে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় ছুটির দিন হিসেবে পালিত হয়। ২০০৭ সালের ১৫ই জুন জাতিসংঘের সাধারণ সভায় ২রা অক্টোবর-কে আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস হিসেবে ঘোষণা করা। জাতিসংঘের সকল সদস্য দেশ এ দিবস পালনে সম্মতি জ্ঞাপন করে।
"গান্ধীজীর অপকর্ম" নামক বইতে গবেষক অলোক কৃষ্ণ চক্রবর্তী বলেন,
“ আমাদের দেশের আসল জাতির জনক হল নেতাজী সুভাষচন্দ্র বোস। কিন্তু কিছু রাজৈতিক দল ফায়দা লুটার জন্য মহাত্মা গান্ধীকে সুপারস্টার বানিয়ে রেখেছে। গান্ধীকে আমাদের দেশে এত মহান করে রাখা হয়েছে যেন তিনি বিশ্বের শ্রেষ্ঠ পুরুষ। তিনিই দেশ স্বাধীন করেছেন। আমি ছোটতে ভাবতাম গান্ধী মনে হয় দেবতা। কিন্তু অনেকেই গান্ধীর ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে জানেন না। তিনি ব্রহ্মচর্য পরীক্ষার নামে কিরকম বিকৃত যৌনাচার করতেন তা অনেকেই জানেন না। তিনি প্রত্যেক দিন রাতে আশ্রমের নগ্ন মেয়েদের নিয়ে ঘুমাতেন নিজের ব্রহ্মচার পরীক্ষা করার জন্য। এমনকি নিজ নাত্নি মনুর সাথেও নগ্ন হয়ে তিনি ঘুমাতেন। তিনি পরীক্ষা করতেন পাশে ২-৩ জন নগ্ন মেয়ে থাকলেও তার ‘কাম’ নিয়ন্ত্রনে থাকছে কিনা।“
নিজের নাতনি মনু গান্ধীর সাথে উলঙ্গ হয়ে শুয়ে থাকতেন জনাব মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী । মনু একদিন বলেছিলেন, তুমি আমাকে একদম শেষ করে দিয়েছ ।
অনেকেই কুপিত হতে পারেন কিন্তু কথাগুলো আমার না ।
সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল বলেছেন –
‘আপনি ব্রহ্মচারী নন, অধর্মচারী। ব্রহ্মচারী হলে এমন পরীক্ষার প্রয়োজন নেই। আর ব্রহ্মচারী না হলে এই কাজ অধর্মের।
বিনোবাভাব বলেছেন –
‘তিনি যদি ব্রহ্মচারী হন তবে এই পরীক্ষার প্রয়োজন নেই। আর তিনি যদি ব্রহ্মচারী না হন তবে এই পরীক্ষা অকারণ ঝুকিপুর্ণ। … এযেন কৃষ্ণলীলা।
ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু মোহনদাস গান্ধীর যৌনাচারকে ‘অস্বাভাবিক ও অপ্রাকৃতিক’ বলে অভিহিত করেছিলেন। তবে এ নিয়ে গান্ধী ছিলেন অবিচল। কারণ, তিনি একে তাঁর নীতি-আদর্শ ও ধর্মাচরণের অংশ বলেই বিশ্বাস করতেন।
‘গান্ধী: ন্যাকেড অ্যাম্বিশন’ বইয়ের লেখক জাড অ্যাডামসের মতে, যখন মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীকে ‘মহাত্মা’ ও ‘জাতির পিতা’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার প্রয়োজন দাঁড়াল, তখন তাঁর বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকাণ্ড তো বটেই, ‘অদ্ভুত খেয়াল’ নিয়েও আলোচনার দ্বার সংকুচিত হয়েছে।
গান্ধীর কৌমার্যব্রত-চর্চার সঙ্গী মানু গান্ধীর ডায়েরির কিছু তথ্য প্রকাশিত হয়েছে ‘ইন্ডিয়া টুডে’ সাময়িকীতে। এসব ডায়েরির প্রকাশ ‘নিষিদ্ধ’ ছিল। গান্ধীর পরিবার কখনোই চায়নি এসব তথ্য বাইরে প্রকাশিত হোক। এমনকি মানু গান্ধী যেন এসব তথ্য বাইরের কাউকে না জানান, সেজন্য গান্ধীর পরিবারের লোকেরা তাঁকে বিশেষভাবে ‘আদেশ’ করেছিলেন।
কিন্তু কেন এমন আদেশ? কেমন ছিল গান্ধীর কৌমার্যব্রত? যে চর্চা গান্ধী সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চেয়েছিলেন, সেটি নিয়ে প্রচার দূরে থাক, আলাপ করাই নিষিদ্ধ হয়ে দাঁড়াল কেন?
মানু গান্ধীর আসল নাম মৃদুলা গান্ধী। মানু বা মনু ছিল তাঁর ডাকনাম। এখন পর্যন্ত তাঁর ১০টি ডায়েরির সন্ধান মিলেছে। গুজরাটি ভাষায় লেখা ডায়েরির প্রথম অন্তর্ভুক্তি ১৯৪৩ সালের ১১ এপ্রিল। মানু ছিলেন গান্ধীর ভাতিজা জয়সুখলালের কন্যা। মানু তাঁর ডায়েরি গান্ধীকে নিয়মিত দেখাতেন। তিনি প্রয়োজনে ডায়েরির পাশে মন্তব্য লিখতেন।
পাপাত্মা গান্ধীর লাম্পট্যের এসব ইতিহাস নিয়ে ভারতে, ব্রিটেনে ও আন্তর্জাতিক স্তরে বহু বই লেখা হয়েছে। জ্যাড এডামসের লেখা gandhi: naked ambition, জোসেফ লেলিভেল্ডের লেখা great soul প্রভৃতি হলো গান্ধীর বদচরিত্রের প্রামাণ্য ইতিহাস নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তর-পর্যায়ের লেখা বই, যেগুলো বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রকাশিত হয়েছে। ভারত থেকে প্রকাশিত হয়েছে গোলাম আহমদ মোর্তজার লেখা ‘এ এক অন্য ইতিহাস’, অলোককৃষ্ণ চক্রবর্তীর লেখা ‘গান্ধীজির অপকর্ম’ ইত্যাদি বই।
কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো, আন্তর্জাতিক স্তরে গান্ধীর এই বদ-খাসলতের বিষয়টি মশহুর হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশের কোনো লেখক আজ পর্যন্ত পাপাত্মা গান্ধীর অপকর্ম নিয়ে একটি বইও লিখেননি। বরং এদেশে গান্ধীর স্তাবকদলের উপস্থিতি দেখা যায়, যারা গান্ধীর নামে সভা-সেমিনার করে, পাপাত্মা গান্ধীর নানাবিধ প্রশংসাসূচক লেখা লিখে এদেশের মানুষের মনে তাঁকে দেবতার আসনে অধিষ্ঠিত করার নিরন্তর প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন ।
তথ্যসূত্র:
* গান্ধীজীর অপকর্ম - অলোক কৃষ্ণ চক্রবর্তী/
* Click This Link
* https://bn.wikipedia.org/wiki
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:০৫