somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

উত্তর মেরুতে নিশি রাতে সূর্য দর্শন - পর্ব ৪

০৫ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিভিন্ন ঋতুতে ল্যাপল্যান্ড: শীত, বসন্ত, গ্রীষ্ম ও শরৎ

রেন্ট-এ-কার' কোম্পানীর সেই মেয়েটি কুশলাদি জিজ্ঞাসা করে আগে থেকেই পূরন করা একটা ফরমে আমার দস্তখত নিয়ে কিরুনা স্টেশনের পাশের পার্কিং এরিয়াতে নিয়ে গেলেন। সেখানে একটি volkswagen golf গাড়ি চাবিসহ আমাকে বুঝিয়ে দিলেন। তারপর ওদের রিজার্ভ পার্কিংয়ের জায়গাগুলো দেখিয়ে বললো, আমি ট্রেনে কিরুনা থেকে চলে যাওয়ার সময় গাড়িটি এই পার্কিং-এ রেখে চলে গেলেই হবে। পাশেই একটি খুঁটিতে আটকানো একটি কাঠের বক্স দেখিয়ে বললো, আর গাড়ির চাবিটি এই বক্সে ফেলে দিলে হবে। আমি ওকে আমাদের ভাড়া করা কটেজের ঠিকানাটা দেখিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম কোনদিকে যেতে হবে। রাস্তা দেখিয়ে দিয়ে বললো, খুব দূরে নয়, কাছেই। এরপর আমার ভ্রমণের শুভকামনা করে মেয়েটি চলে গেল।


মেয়েটি বিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার পর গাড়ি নিয়ে ১০ - ১৫ মিনিটের মধ্যে কটেজের সামনে এসে হাজির হলাম। ঘুরে দেখলাম, কটেজের এরিয়াতে রিসেপশন বা তত্ত্বাবধায়কের কোনো অফিস নেই। এমনকি তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্বে আছে এমন কোনো লোকজনও নেই! অনলাইনে বুক দেয়ার সময় পাওয়া ইমেইলের একটি প্রিন্টকপি আমার সাথে ছিল। সেটা দেখে ফোন করলাম। ফোনে উত্তর পেলাম আমার কটেজ নাম্বার ২২, রুম নাম্বার ৩ এবং রুমের চাবি কটেজের সামনে লেটার বক্সের ভেতরে আছে। ওরা বিস্তারিত জানিয়ে আমাকে ইমেইল করেছিল। গত দুদিন আমি ইমাইল চেক করিনি, তাই মিস। যা-ই হোক, কটেজে ঢুকে দেখলাম সবকিছু সাজানো গোছানো পরিষ্কার। তিনটি বেডরুমের একটি আমাদের। তিন রুমের জন্য কমন ড্রয়িং-কাম-কিচেন। আমরা রুমের মধ্যে আপাতত ব্যগ গুলো রেখে গোসল করে ফ্রেস হয়ে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে গেলাম। সময় নষ্ট করা যাবে না, কম সময়ে যত বেশি জায়গা দেখতে পারি।


প্রথমে শহরের প্রধান সড়কগুলোতে একটা চক্কর দিলাম। ছিমছাম ছোট শহর। লোকজন খুব কম, রাস্তাগুলোতে গাড়িও কম। উল্লেখ্য, কিরোনা শহরের মধ্যে দেখার তেমন কিছু নাই, তাই বেশিরভাগ পর্যটক শহরের বাহিরেই ঘুরে। বেড়ানোর সুবিধার্থে আমি আগে থেকেই কিরোনা ও আশাপাশের এলাকার মানচিত্র সাথে করে নিয়েছিলাম। প্রথমেই গেলাম শহরের কেন্দ্রে (রেল স্টেশন থেকে দুই কিলোমিটার দূর) কিরুনা টুরিস্ট সেন্টারে। সেখান থেকে কিছু তথ্য জেনে নিলাম এবং কাছের ও দূরের বিভিন্ন পর্যটন এলাকার তথ্য সম্পর্কিত কাগজপত্র সংগ্রহ করলাম। এরপর প্রয়োজনীয় কিছু কেনাকাটা করে কটেজে চলে আসলাম।


এক নজরে কিরুনা শহর ও এর আশাপাশের দর্শনীয় স্থানসমূহ:
1. Kiruna Church
2. Abisko National Park
3. Kebnekaise (Mountain)
4. Aurora Sky Station
5. Ice Hotel
6. Sarek National park
7. Red Cross War Museum
8. Laponia – Lapland’s world heritage area
9. Activities in Abisko
10. Muddos National Park
11. Husky Tours (Sled dog) & sami Siida (Sami Activities)
12. Naturum Laponia
13. Kungsleden (Hiking trail)

সময় এবং পূর্বপ্রস্তুতির অভাবে সব জায়গা দেখা সম্ভব হবে না। রুমে জিনিসপত্র ঘুছিয়ে খাওয়া-দাওয়া করে কিরুনা পর্যটন কেন্দ্রের তথ্য এবং আমার পূর্ব সংগৃহীত তথ্যগুলো সামনে নিয়ে চার দিনের একটা পরিকল্পনা করে ফেললাম। কিরুনা গীর্জা আমাদের কটেজ থেকে কাছে। আজকে প্রথমে যাবো কিরুনা গীর্জা পরিদর্শনে তারপর আইস হোটেল। যাত্রা শুরু করার আগে একটু জেনে নিই সুমেরু অঞ্চলের প্রকৃতিক সৌন্দর্যের ল্যাপল্যান্ড এবং অত্র এলাকার আদিবাসী স্যামিদের কিছু ঐতিহাসিক ও ভৌগোলিক তথ্য।

ল্যাপল্যান্ডের মানচিত্র

ল্যাপল্যান্ড উত্তর ইউরোপের মূলত আর্কটিক সার্কেলের মধ্যে অবস্থিত বিশেষ প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যের একটি অঞ্চল। এটি নরওয়ে, সুইডেন এবং ফিনল্যান্ডের উত্তরাংশ জুড়ে রাশিয়ার কোলা উপদ্বীপ পর্যন্ত প্রসারিত। এটি পশ্চিমে নরওয়েজিয়ান সমুদ্র, উত্তরে বেরেন্টস সাগর এবং পূর্ব দিকে শ্বেত সাগর দ্বারা আবদ্ধ। অঞ্চলটির প্রচলিত নাম ল্যাপল্যান্ড। এই অঞ্চলটিতে কয়েক হাজার বছর ধরে অল্প সংখ্যক স্থানে বসবাস করে আসছে সামি নামে একটি জাতি। এরা হাজার হাজার বছর ধরে উত্তর স্ক্যান্ডিনেভিয়াতে বসবাসকারী যাযাবর লোকদের বংশধর। এদের রয়েছে নিজস্ব ভাষা, ধর্ম ও সংস্কৃতি। কালের প্রবাহে এবং রাজনৈতিক ও ভৌগোলিক পরিবর্তনে ল্যাপল্যান্ডও স্থায়ীভাবে ভাগ হয়ে উল্লেখিত দেশগুলোর অধীনে চলে যায় এবং সেইসাথে স্থানীয় আদিবাসী সামিগণও নরওয়ে, সুইডেন, ফিনল্যান্ড ও রাশিয়ার নাগরিকে পরিণত হয়। ল্যাপল্যান্ডের যে অংশ সুইডেনের অন্তর্ভুক্ত সেটিকে বলা হয় সুইডিশ ল্যাপল্যান্ড। এটি বিরাট একটি অঞ্চল, তাই এর জলবায়ু, তাপমাত্রা এবং ভূমিরূপ এলাকা বিশেষে কিছু পার্থক্য রয়েছে। কিরুনাতে শীতকালে (ডিসেম্বর - এপ্রিল) গড় তাপমাত্রা থাকে -14.3 °C এবং গ্রীষ্মকালে (জুন - আগস্ট) 11.5 °C।

সামি আদিবাসী

দীর্ঘ শীতকাল, শূন্য ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা, বৈরি আবহাওয়া এবং কাজকর্মের অভাবে অন্যান্য অঞ্চলের লোকজন ল্যাপল্যান্ডে এসে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে চাই না। তাই সুইডেনের অতীতের রাজারা সামিদেরকে সেখানে স্থায়ীভাবে থাকার জন্য উৎসাহিত করেছে। সুইডেনের বর্তমান প্রশাসনও এদেরকে কিছু ক্ষেত্রে পূর্ণ স্বাধীনতাসহ বিভিন্নভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করে আসছে যাতে এরা এদের নিজস্ব ভাষা-সংস্কৃতি-পেশা বজায় রেখে এখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে পারে। বর্তমান সুইডেনের উত্তরের দুই জেলার (Norrbottens, Vasterbottens) প্রায় ৯০% এলাকা বৃহত্তর ল্যাপল্যান্ডের অংশ। সুইডিশ ল্যাপল্যান্ডের আয়তন ১,১০,০০০ বর্গকিলোমিটার (বাংলাদেশের চার ভাগের তিন ভাগ) ও জনসংখ্যা মাত্র ৯০,০০০। বর্তমানে বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা এদের মোট লোকসংখ্যা আনুমানিক ১ লক্ষ। এর মধ্যে নরওয়েতে ৬০,০০০, সুইডেনে ৩০,০০০, ফিনল্যান্ডে ৮,০০০ এবং রাশিয়ায় ২০০০ জনের আবাস।

১। কিরুনা গির্জা

কিরুনা গির্জা - গ্রীষ্ম ও শীতকালে

কিরুনার আকর্ষনীয় গির্জা ভবনটি ১৯০৯ থেকে ১৯১২ সালের মধ্যে নির্মিত হয়েছিল। এটি নির্মান করেছিল সুইডেনের সরকারী মালিকাধীন খনিজ সম্পদ উত্তোলনকারী কোম্পানীএলকেএবি। স্থপতি গুস্তাভ উইকম্যান এবং ম্যানেজার হজলমার লুন্ডবোহম উভয়ই সক্রিয়ভাবে নির্মাণ সংস্থায় অংশ নিয়েছিলেন। নির্মাতা ছিলেন কিরুনার অলিফ এডফাস্টসন নাইগ্রেন। চিত্রকলার কাজটি করেছেন চিত্রশিল্পী ইমানুয়েল উস্টবার্গ। এটির ডিজাইন করা হয়েছিল ল্যাপল্যান্ডের আদিবাসী সামিদের কাঠের নির্মিত বাড়ির অনুকরণে। ডিসেম্বর ৮, ১৯১২ সালে আটজন পুরোহিতের সহায়তায় বিশপ অলোফ বার্গকভিস্ট চার্চের উদ্বোধন করেন। গির্জার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ৩িন হাজার মানুষকে আমন্ত্রণ করা হয়েছিল এবং তাদেরকে কফি ও রুটি পরিবেশনের জন্য বিশেষ ডিজাইনে বানানো হয়েছিল কাপ ও প্লেট। অনুষ্ঠানের শেষে বিশপ ঘোষণা দিলেন যে প্রত্যেকে নিজের কাপ ও প্লেট গীর্জার স্যুভেনির হিসাবে বাড়িতে নিয়ে যেতে পারবে। গির্জা ভবনটির পাশে রয়েছে গাছগাছালি ও লতাপাতায় সাজানো সুন্দর একটি কবরস্থান।

২। আইস হোটেল

আইস হোটেল - গ্রীষ্ম ও শীতকালে

কিরুনা থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে পাহাড় এবং অরণ্যে ঘেরা টর্নে নদীর পাশে বিখ্যাত আইস হোটেলটি অবস্থিত। কিরুনা থেকে সেখানে বাসেও যাওয়া যায়। এটি বিশ্বের প্রথম ও সবচেয়ে বড় আবাসিক আইস হোটেল। এই হোটেলটি বরফ আর তুষারের শক্ত গাঁথুনী দিয়ে তৈরি। হোটেলটি প্রতি বছর একবার নতুন করে ডিজাইন করা হয় যাতে পর্যটকরা আবারো আসতে উৎসাহিত হয়। শীতের সময় এই হোটেলের পরিসর অনেক বড়। পর্যটকদের সুবিধার্থে হোটেল কমপ্লেক্সের একটি অংশ 'Ice hotel 365' (যার মধ্যে একটি বার ও বরফ ভাস্কর্যের গ্যালারি রয়েছে) স্থায়ীভাবে নির্মিত এবং এটি ৩৬৫ দিন খোলা থাকে।

আইস হোটেল এরিয়া ম্যাপ

এটি ডিসেম্বরের ১৫ তারিখ থেকে শুরু করে এপ্রিলের ১৫ তারিখ পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গভাবে ও পুরোদমে চালু থাকে। তখন এখানে বরফের তৈরি বিলাসবহুল স্যুইটসহ ৫৫টি আবাসিক রুম থাকে। এগুলোতে খাট থেকে শুরু করে সব ধরনের আসবাবপত্র বরফের তৈরি। এর পাশাপাশি রয়েছে সনাতন হোটেলের মতো ৭২টি উষ্ণ আবাসিক কামরা। এছাড়া রয়েছে একটি আইস বার, দুটি রেস্টুরেন্ট, একটি সেমিনার কক্ষ এবং একটি শিল্পকলা গ্যালারি। বাইরের তাপমাত্রা যাই হোক না কেন হোটেল রুমের তাপমাত্রা সবসময় রাখা হয় মাইনাস পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গ্রীষ্মের দিনে এই তাপমাত্রা ধরে রাখার জন্য সৌর-বিদ্যুৎ চালিত কুলিং প্রযুক্তি ব্যাবহার করা হয়।

বরফের তৈরি শয়নকক্ষ ও ভাস্কর্য

রুম ভাড়া নিয়ে রাত্রিযাপন করতে না চাইলেও পর্যটকদের জন্য টিকেট কিনে গাইডসহ হোটেল পরিদর্শনের ব্যবস্থা আছে। আমরাও তাই করলাম। গ্রীষ্মের দিনে সাধারণত পর্যটকদের কাছে শীতের পোশাক থাকে না। তাই হোটেলটি পরিদর্শনের সময় সবাইকে বিশেষ ধরনের শীতের জ্যাকেট এবং হ্যান্ড গ্লাভস দেয়া হয়। ভিতরে ঢুকার পর মনে হয় সম্পূর্ণ এক ভিন্ন জগৎ! বিভিন্ন রকমের বাতির রঙ্গীন আলো বরফের দেয়ালে প্রতিফলিত হয়ে এক স্বপ্নীল পরিবেশের সৃষ্টি করেছে। তাছাড়া বাইরের ২০ ডিগ্রী সেলসিয়াস থেকে হঠাৎ করে মাইনাস ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসে এসে মনে হয় এক সেকেন্ডে গরমকাল থেকে শীতকালে চলে আসলাম। আইসবারে গিয়ে আমরা ঠান্ডা পানীয় পান করতে চাইলাম। বরফের তৈরি কারুকাজ করা (ওয়ান টাইম ইউজ) গ্লাসে পানীয় পরিবেশন করলো। একটু সাবধানে পান করতে হয়, বরফের গ্লাস ওষ্ঠের সাথে লেগে থাকে। গাইড সুইডিশ/ইংরেজিতে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিয়ে হোটেলের বেশিরভাগ অংশ ঘুরিয়ে দেখায়।

আইস হোটেলে প্রবেশের আগে বিশেষ ধরনের শীতের জ্যাকেট পরিধানে আমরা (পিতা ও কন্যা)

আইসহোটেল সম্পর্কে আরো জানতে দেখুন:
১। Icehotel
২। একটি ক্রিয়েটিভ উপস্থাপনা : আইস হোটেল - ওমেরা

অন্য কোনো জায়গায় যাওয়ার মতো আর সময় ছিল না। তাই আলোময় রাতকে উপভোগ করার জন্য কিরুনা শহরের আশেপাশে গাড়ি নিয়ে রাত ১১টা পর্যন্ত ঘুরাঘুরি করলাম। এখনও ঘরের বাহিরে কোনো বাতি ছাড়াই কাজ করার মতো পর্যাপ্ত আলো! তাই রাস্তার লাইটগুলো নিভানো। কিরুনাবাসীর জীবন চলে ঘড়ির কাঁটা মেপে। ওরা এখন গভীর নিদ্রায় নিমগ্ন হলেও কিছু কিছু পর্যটক এখনও রাস্তায় ঘুরে ঘুরে পড়ন্ত বিকেলের ধূসর আলোয় আলোকিত রাত উপভোগ করছে। আমাদের কটেজের পাশেই শিশুদের খেলাধুলোর একটি পার্ক। সেখানে ৭-৮ বছরের দুটি শিশু এখনও খেলতেছে। আমার মেয়েও বায়না ধরলো সে পার্কটিতে দোলনায় ছড়বে। তাই আমরাও সেদিকে গেলাম। শিশুদের মা-বাবার সাথে আলাপ করে জানলাম উনারা ইটালি থেকে এসেছেন। তাঁরা শিশু দুটিকে বারবার বলছেন, চলো এখন ঘুমাতে যায়। আর বাচ্চাগুলো অনুনয় করে তাদের মাকে বলছে, "মা, আর কিছুক্ষণ খেলি। এখনো তো সন্ধ্যা হয় নাই।" ঘড়িতে তখন রাত সাড়ে এগারটা। সময় গড়িয়ে যায়, কিন্তু এই শিশুদের চিরচেনা সেই সন্ধ্যা তো আর হয় না! সূর্য ডুবুক আর না ডুবুক এখন রাত - ঘুমাতে হবে। তাই আমরাও কটেজে চলে আসলাম।

রাতে সব জায়গায় আলো দেখা গেলেও দিগন্তরেখায় সূর্য দেখতে হলে উঁচু জায়গায় উঠতে হয় অথবা শহরের বাহিরে উন্মুক্ত প্রাঙ্গনে যেতে হয়। আগামীকাল নিশিরাতে সুর্য দেখার জন্য একটি জায়গাও নির্বাচন করে ফেললাম। আগামীকালের ভ্রমণ পরিকল্পনা তৈরি করে ক্লান্ত শরীর নিয়ে আপাতত ঘুমিয়ে পড়লাম। শুভরাত্রি!

ফটো গ্যালারি:

লৌহ আকরিকের খনি খ্যাত কিরুনা শহর

পাখির চোখে কিরোনা গির্জা

কিরোনা গির্জার পাশে কবরস্থান

আইস হোটেলের শয়নকক্ষ

আইস হোটেলের পানশালা

আইস হোটেলে গীর্জার নিয়মে বিবাহ

২১ জুন, রাত ১২টা ৩০ মিনিট, কিরুনা, সুইডেন - ঘড়ির সময় দেখলে মনে হবে শহরের মানুষগুলো ঘুমাচ্ছে, সূর্যের আলো দেখলে মনে হবে শহরটি এখনো জেগে আছে।

[তথ্য ও বেশিরভাগ ছবি ইন্টারনেট থেকে সংগৃহিত]

     ◄ পর্ব ৩ - উত্তর মেরুতে নিশি রাতে সূর্য দর্শন - পর্ব ৫


সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:২২
২৬টি মন্তব্য ২৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছবির গল্প, গল্পের ছবি

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:১৫



সজিনা বিক্রি করছে ছোট্ট বিক্রেতা। এতো ছোট বিক্রেতা ও আমাদের ক্যামেরা দেখে যখন আশেপাশের মানুষ জমা হয়েছিল তখন বাচ্চাটি খুবই লজ্জায় পড়ে যায়। পরে আমরা তাকে আর বিরক্ত না করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×