ভালোবাসা, ভালোবাসা এমন একটা
বিষয় যা মানুষকে সুখী যেমন করতে
পারে ঠিক তেমনই ভাবে দুঃখের
কালো মেঘও দিতে পারে। জেনে
রাখা ভালো যে আমি ভালোবাসা
বলতে শুধু একটা ছেলে-একটা মেয়ের
সম্পর্ককে বলছি না। বাবা-মায়ের
সাথে সন্তানের প্রেম থাকে, থাকে
ভালোবাসা, যার গভীরত্ব স্বয়ং
স্রষ্টা নিজেও মাপ্তে পারবেন না
হয়ত। আর যদি কেউ মাপতে পারেন তাহ
শুধু মাত্র তাঁর দ্বারাই সম্ভব। আমাদের
অনেকের কাছে ভালোবাসা
বেপারটা কোন মানে রাখে না,
আবার অনেকেই ভালোবাসার জন্য
নিজের জীবন দিচ্ছেন। আরে ভাই
ভালোবাসার জন্য বাঁচতে শিখুন।
তাহলেই ভালোবাসার মর্ম বুঝবেন।
আমি নিজেই ৭-৮ বার মৃত্যুর জন্য
পদক্ষেপ নিয়েছি, তবে টা ছিল সম্পূর্ণ
অর্থহীন, বলা যেতে পারে meaningless.
যদিও আমার জন্য কেউ কান্না করবে
না আমি সেটা ভাল করেই জানি।
ভাল থাকা-ভালোবাসা সম্পূর্ণ মনের
বেপার। আসলে কেউ পাশে নাহ
থাকলেই যে সুইসাঈড করতে হবে
কিংবা কেউ ভালো না বাসলেই
মরা উচিত এমন না। মানুষ মরবে, যখন
সময়ের গল্প বলা শেষ হবে। আসলে মানুষ
সময়ের গল্পের একটা চরিত্র মাত্র।
গল্পের কাহিনী স্রষ্টার হাতে, সময়
script পড়ে আমরা পুতুলের মতো নাচি,
তারপর চরিত্র শেষ আমরাও শেষ...
ভালোবাসা জিনিসটা এখন হয়ে
গেছে একটা
দৈহিক বিষয়। মানুষ ভালোবাসার
কোন অর্থ দিতে পারবে না। তাই বলে
সে অনুভব করতেই যদি নাহ পারে
তাহলে কিভাবে ?? অনুভব করাই
ভালোবাসার কাজ। ভালোবাসলে
ভালোবাসার মানুষের সুখ-দুঃখ সব
কিছু অনুভূত হতো। অনুভূত হতো জীবনের
স্বাদ, জীবনের মর্ম কিংবা জীবনের
মানে... যাদের বাবা-মা বেঁচে
আছেন তাদের বলছি দাঁত থাকতে
দাঁতের মর্যাদা দিন। যার নাই সেই
বুঝে না থাকার কষ্ট। বাবা-মায়ের
ভালোবাসার কোন স্বার্থ থাকে না।
থাকে না কোন লোক দেখানো
প্রেম। সেই ভালোবাসা আত্মিক, সেই
ভালোবাসায় কোন লোভ নেই। আমি
কোন সম্পর্ককে বিশ্বাস করি না। তবে
আমার আশে-পাশের কত গুলো মানুষের
সম্পর্ক গুলো দেখলে ভাল লাগে, অনাথ
মানুষের এই রকমই হয় বোধয়। এই পৃথিবীটা
অনাথদের জন্য না। তাদের কোন স্থান
থাকাই উচিত না।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জুন, ২০১৫ রাত ৯:০৩