somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

একটি মিসকল
আমি কিন্তু কেউ না। সময়ে অসময়ে পাওয়া কতগুলো মিসকল শুধু। যে মিসকল হয়তো আপনার কাছের কেউ দিয়েছিল, কিংবা আপনার অপরিচিত। ভালো থাকুক আমার শত্রুরা আর সুস্থ থাকুক আমার প্রিয়জনেরা। - একটি মিসকল

তোর জন্য একটা চরমপত্র...

২০ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একটা প্রেমপত্র লিখবো, আসলে ঠিক প্রেমপত্র না সেটা হবে আমার চরমপত্র! তোকে দেয়ার জন্য। তাইতো সকল কথা জমা করছি, নিশ্চুপ থেকে। আরো কিছু সময় লাগবে। সবকিছু গুছিয়ে নিয়েই লেখা শুরু করবো। যাতে মাঝপথে শব্দেরা ফুরিয়ে না যায়। তারপর হঠাৎ একদিন তোর সামনে এসে দাঁড়াবো। তুই ভূত দেখার মত থমকে যাবি, নিষ্পলকে চেয়ে থাকবি আমার দিকে। আমার নোংরা জামা-কাপড় আর অজত্নে বেড়ে ওঠা গোঁফ-চুল গুলো দেখে বিষ্মিত হয়ে যাবি। একি সত্যিই আমি? নিজের চোখকেই বিশ্বাস করাতে পারবি না সেদিন। হ্যাঁ, আমিই। তোকে নিয়ে বসবো কোন রেস্টুরেন্টে কিংবা কফিশপে। ৬০ টাকা দরের দুটো হোয়াইট কফি ধোঁয়া উড়াবে আমাদের চোখের সীমায়। তুই অপলকে চেয়ে থাকবি আমার দিকে। অবাক হয়ে খুঁজতে থাকবি আমার সেই পুরোনো আমিত্বকে। আসলে এই শান্ত-শিষ্ট আর নোংরা-অজত্নে ভরা ছেলেটিকে যে তোর একদম অচেনা লাগবে। কিছুতেই মেলাতে পারবি না সময়ের সমীকরণ। অস্হির হয়ে উঠবি আমার বাকরুদ্ধতায়। অনেক কিছুই যে শুনতে চাইবি, জানতে চাইবি ওই নোংরা-অজত্নে ভরা আমিকে। কিন্তু আমি নির্বাক থাকবো। কিছুই বলবো না। একটি শব্দও না। কফিটা শেষ করা হবে না আমার সেদিন। টেবিলের উপর একটা খাম রেখে বিলটা চুকিয়ে যাবো আমি। তুই হতবাক হয়ে চেয়ে থাকবি আমার পথের শেষ সীমায়। হঠাৎ তোর চোখ পড়বে খামের দিকে। খামটা খুলতেই দেখবি ভেতরে একটা শুকনো চ্যাপ্টা গোলাপ। সহস্র মণ ওজন চাপানো ছিল যার উপর। তারপর নজর পড়বে ভেতরের চিঠিটার দিকে। অল্প কিছু শব্দজট, কিন্ত খুব ধাঁরালো। হঠাৎ তোর চারপাশের পৃথিবীটা দুমড়ে-মুচড়ে আসবে। মনে হবে, কেউ যেন দু-হাতে সর্বশক্তিতে তোর গলাটা টিপে ধরেছে। বোবা আর্তনাদে বুকটা ফেঁটে যাবে তোর। তবুও কাঁদতে পারবি না তুই, চাইলেও কাঁদতে পারবি না। সেদিন তুই বুঝবি, একতরফা ভালবাসা যায় না।

তোকে নিয়ে একদিন আমাবস্যা দেখবো কোন এক সমুদ্র সৈকতে। কাছাকাছি বসবো না সেদিন, দূরে-দূরে বসে থাকবো। কাঠ-কয়লার আগুন জ্বালাবো সেদিন তোর আমার মাঝখানে। অন্ধকারের সেই মৃদু আলোয় আমি চিৎকার করবো সেদিন। আমার এই চিৎকার শুনতে পারবি না তুই। আমাকে চিনতে পারবি না। বুঝতে চেস্টা করতে গিয়ে এক চাপা আর্তনাদ আসবে তোর মুখ দিয়ে। চিৎকার থামিয়ে আমি তোকে দেখে হাসবো। আমার নিষ্ঠুর আচরনে তুই নিজেকে বিলিয়ে দিবি অমাবস্যার কাছে। সেই কালো অন্ধকার তোকে চিরে-খুঁটে খাবে। নিজেকে তোর মনে হবে কাঠ কয়লার ছাঁই। তোর দিকে আমি ফিরেও দেখবো না। না আমি তোকে দেখবোই না। রাতটা শেষ হবার আগেই তোকে একা ফেলে চলে যাবো আমি, তুই তোর অসহায়ত্বকে নিয়ে পরে থাকবি বালুচরে। হঠাৎ একটা খাম দেখবি তোর পাশে। তোর চোখ পড়তেই খামটা খুলে দেখবি ভেতরে একটা শুকনো চ্যাপ্টা গোলাপ। সহস্র মণ ওজন চাপানো ছিল যার উপর। তারপর নজর পড়বে ভেতরের চিঠিটার দিকে। অল্প কিছু শব্দজট, কিন্ত খুব ধাঁরালো। হঠাৎ তোর চারপাশের পৃথিবীটা দুমড়ে-মুচড়ে আসবে। মনে হবে, কেউ যেন দু-হাতে সর্বশক্তিতে তোর গলাটা টিপে ধরেছে। বোবা আর্তনাদে বুকটা ফেঁটে যাবে তোর। তবুও কাঁদতে পারবি না তুই, চাইলেও কাঁদতে পারবি না। সেদিন তুই বুঝবি, একতরফা ভালবাসা যায় না।


একদিন একটা প্রেমপত্র লিখবো, আসলে ঠিক প্রেমপত্র নয়। চরমপত্র! তোকে দেয়ার জন্য.....
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:৪০
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

মামুনুলের মুক্তির খবরে কাল বৃষ্টি নেমেছিল

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৯


হেফাজত নেতা মামুনুল হক কারামুক্ত হওয়ায় তার অনুসারীদের মধ্যে খুশির জোয়ার বয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ তো বলল, তার মুক্তির খবরে কাল রাতে বৃষ্টি নেমেছিল। কিন্তু পিছিয়ে যাওয়ায় আজ গাজীপুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×