একটা প্রেমপত্র লিখবো, আসলে ঠিক প্রেমপত্র না সেটা হবে আমার চরমপত্র! তোকে দেয়ার জন্য। তাইতো সকল কথা জমা করছি, নিশ্চুপ থেকে। আরো কিছু সময় লাগবে। সবকিছু গুছিয়ে নিয়েই লেখা শুরু করবো। যাতে মাঝপথে শব্দেরা ফুরিয়ে না যায়। তারপর হঠাৎ একদিন তোর সামনে এসে দাঁড়াবো। তুই ভূত দেখার মত থমকে যাবি, নিষ্পলকে চেয়ে থাকবি আমার দিকে। আমার নোংরা জামা-কাপড় আর অজত্নে বেড়ে ওঠা গোঁফ-চুল গুলো দেখে বিষ্মিত হয়ে যাবি। একি সত্যিই আমি? নিজের চোখকেই বিশ্বাস করাতে পারবি না সেদিন। হ্যাঁ, আমিই। তোকে নিয়ে বসবো কোন রেস্টুরেন্টে কিংবা কফিশপে। ৬০ টাকা দরের দুটো হোয়াইট কফি ধোঁয়া উড়াবে আমাদের চোখের সীমায়। তুই অপলকে চেয়ে থাকবি আমার দিকে। অবাক হয়ে খুঁজতে থাকবি আমার সেই পুরোনো আমিত্বকে। আসলে এই শান্ত-শিষ্ট আর নোংরা-অজত্নে ভরা ছেলেটিকে যে তোর একদম অচেনা লাগবে। কিছুতেই মেলাতে পারবি না সময়ের সমীকরণ। অস্হির হয়ে উঠবি আমার বাকরুদ্ধতায়। অনেক কিছুই যে শুনতে চাইবি, জানতে চাইবি ওই নোংরা-অজত্নে ভরা আমিকে। কিন্তু আমি নির্বাক থাকবো। কিছুই বলবো না। একটি শব্দও না। কফিটা শেষ করা হবে না আমার সেদিন। টেবিলের উপর একটা খাম রেখে বিলটা চুকিয়ে যাবো আমি। তুই হতবাক হয়ে চেয়ে থাকবি আমার পথের শেষ সীমায়। হঠাৎ তোর চোখ পড়বে খামের দিকে। খামটা খুলতেই দেখবি ভেতরে একটা শুকনো চ্যাপ্টা গোলাপ। সহস্র মণ ওজন চাপানো ছিল যার উপর। তারপর নজর পড়বে ভেতরের চিঠিটার দিকে। অল্প কিছু শব্দজট, কিন্ত খুব ধাঁরালো। হঠাৎ তোর চারপাশের পৃথিবীটা দুমড়ে-মুচড়ে আসবে। মনে হবে, কেউ যেন দু-হাতে সর্বশক্তিতে তোর গলাটা টিপে ধরেছে। বোবা আর্তনাদে বুকটা ফেঁটে যাবে তোর। তবুও কাঁদতে পারবি না তুই, চাইলেও কাঁদতে পারবি না। সেদিন তুই বুঝবি, একতরফা ভালবাসা যায় না।
তোকে নিয়ে একদিন আমাবস্যা দেখবো কোন এক সমুদ্র সৈকতে। কাছাকাছি বসবো না সেদিন, দূরে-দূরে বসে থাকবো। কাঠ-কয়লার আগুন জ্বালাবো সেদিন তোর আমার মাঝখানে। অন্ধকারের সেই মৃদু আলোয় আমি চিৎকার করবো সেদিন। আমার এই চিৎকার শুনতে পারবি না তুই। আমাকে চিনতে পারবি না। বুঝতে চেস্টা করতে গিয়ে এক চাপা আর্তনাদ আসবে তোর মুখ দিয়ে। চিৎকার থামিয়ে আমি তোকে দেখে হাসবো। আমার নিষ্ঠুর আচরনে তুই নিজেকে বিলিয়ে দিবি অমাবস্যার কাছে। সেই কালো অন্ধকার তোকে চিরে-খুঁটে খাবে। নিজেকে তোর মনে হবে কাঠ কয়লার ছাঁই। তোর দিকে আমি ফিরেও দেখবো না। না আমি তোকে দেখবোই না। রাতটা শেষ হবার আগেই তোকে একা ফেলে চলে যাবো আমি, তুই তোর অসহায়ত্বকে নিয়ে পরে থাকবি বালুচরে। হঠাৎ একটা খাম দেখবি তোর পাশে। তোর চোখ পড়তেই খামটা খুলে দেখবি ভেতরে একটা শুকনো চ্যাপ্টা গোলাপ। সহস্র মণ ওজন চাপানো ছিল যার উপর। তারপর নজর পড়বে ভেতরের চিঠিটার দিকে। অল্প কিছু শব্দজট, কিন্ত খুব ধাঁরালো। হঠাৎ তোর চারপাশের পৃথিবীটা দুমড়ে-মুচড়ে আসবে। মনে হবে, কেউ যেন দু-হাতে সর্বশক্তিতে তোর গলাটা টিপে ধরেছে। বোবা আর্তনাদে বুকটা ফেঁটে যাবে তোর। তবুও কাঁদতে পারবি না তুই, চাইলেও কাঁদতে পারবি না। সেদিন তুই বুঝবি, একতরফা ভালবাসা যায় না।
একদিন একটা প্রেমপত্র লিখবো, আসলে ঠিক প্রেমপত্র নয়। চরমপত্র! তোকে দেয়ার জন্য.....
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:৪০