আজকে নাকি আরেকটা পাখির উইকেট পড়ছে? গাইবান্ধায়। এখন গাইবান্ধার নাম কি চেঞ্জ হবে? গাই (গরু) তো মরছে, এখন কি মরা-গাই-বান্ধা রাখবে?
যাই হোক, ভাল হইছে, আসলেই তার বেঁচে থাকার দরকার নাই। মরছে ভাল হইছে। আগে আরেকটা গেছে না -ঐটারেও একই কথা। খুব ভাল হইছে। খুশি হইছি। জাহান্নাম তো কনফার্ম কইরাই গেছে। সহানুভূতি, আফসোস, দুঃখ কিচ্ছু না; রাগ লাগে। মন ভইরা থাপড়াইতে মন চাইতেছে।
কি যে কইতাম, মাথাটা উলাইয়া যাইতেছে...
কাপড়ের জন্য আত্মহত্যা! ছি ছি ছি। এইটা কোন কথা!?! ঘরে কি একটা গায়ে দেয়ার মত কাপড়ও নাই? মোটামোটি ভাল মানের শার্ট প্যান্টের দাম হাজারের উপরে। মেয়েদের কাপড়ের দাম আন্দাজ করে নিলাম। তা, হাজার টাকা কি কম নাকি?!? শার্ট প্যান্টের দাম দেইখা মার্কেট থেইকা পালাইতে মন চায়। মনে হয়, যা আছে তা দিয়া চালায়া দেই। আর, কোথাকার কোন পাখি *****, তার কাপড়ে কি? হ্যা? ঐ কাপড় ছাড়া কি এখন লজ্জা নিবারণ হয় না? ওড়না তো অনেক দিন যাবত গলায় আছে। এইটার নিয়মে কি ওড়না গলা থেকে নামছে? মনে তো হয় না। এরকম হওয়ারও কথা না।
একটা কাপড়, তাও বস্তা পচা সিরিয়ালে দেখা কাপড়, সেটাও দেশি না-বিদেশের সিরিয়াল --ছিহ, আর ভাবতেও পারতেছি না। এতটা নির্বোধ হয় কি করে? বাপ-মার থেকে বড় হয়ে গেল ঐ কাপড়। ধ্বংস তোদের জন্যই।
রীতিমত লজ্জা লাগতেছে আমার, এই সব খবর যদি ইন্ডিয়ার মানুষ জানে, কি ভাববে! তাদের একটা কাপড়ের জন্য আরেক দেশে মানুষ মরতেছে! ছিহ! নিজের লজ্জার কথা লিখতে হচ্ছে!
[মাথা গরম করিস না রে, পাগল, ঠান্ডা হ]
আচ্ছা থাক, একেক জনের এইম ইন লাইফ একেকটা। এইম ইন লাইফ যখন "পাখি ড্রেস" আর, সেটা যখন হচ্ছে না, লাইফ রাখার কোন মানে নাই। দে ডিড দ্য রাইট থিং।
তাদের কাছ থেকে আমাদের এইম ইন লাইফে স্ট্রিকথ থাকার শিক্ষা নিতে হবে।
বি পজিটিভ।