
বৃষ্টিতে ভিজছেন জাফর স্যার, পাশে একটা ছাতা বন্ধ করে রাখা, কয়েকজন মানুষ তাকে দেখছে। স্যার অনেক বড় বিজ্ঞানী। অনেক ভক্ত আছে। তাকে দাড়িয়ে দেখাটা স্বাভাবিক। আর এমন পরিস্তিতিতে সবাই ছবি তুলবেই। তবে ঐ সময়টা আশ্চর্যের ছিল। কারণ এর কিছুক্ষণ আগেই তিনি জগৎ বিখ্যাত একটি কমেন্ট করে বসলেন। তাও কমেন্ট করলেন ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের হতে ধবল ধোলাইয়ের পর। ছাত্রলীগের ভবিষ্যত কি সেটা আমি জানিনা বা বলতেও চাইনা। তবে জাফর স্যারের বিখ্যাত উক্তি ১০ বছর বা ২০ বছর পরে উদাহরণ দিতে পারবে 'এরকম ছাত্র বানিয়েছেন দেখে উনার নাকি গলায় দড়ি দিতে ইচ্ছে করছে'।
ঐ সময় তিনি এক প্রকার আজব বস্তুুতে পরিণত হয়েছিলেন। হয়েছিলেনই! ফেসবুকে ছবি আপলোড করে একটা মজার ক্যাপশন দেওয়া হয়েছিল 'বৃষ্টিতে ভিজলে শরীরের ময়লা যাবে, কিন্তুু লজ্জা যাবে না'। আসলেই বৃষ্টির পানিতে ভিজলে শরীরই পরিষ্কার হয়। লজ্জা পরিষ্কার হবার কথা না। এতো কি লজ্জা জাফর ইকবাল স্যারের? যা কখনই যাবে না।
মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের বাহক জাফর স্যার ও ছাত্রলীগ দুই পক্ষই। যেখানে ছাত্রলীগের সাথে স্যারের দহরম মহরম সম্পর্ক থাকার কথা সেখানে ছাত্রলীগ তার শত্রু। ছাত্রলীগের ছেলেরা শুধু মাত্র একটা সংগঠনের কর্মী না জাফর স্যারের ছাত্রও। ছাত্র কখন তার শিক্ষকের সাথে বেয়াদবী করে? একজন শিক্ষক হিসেবে জাফর স্যার নিশ্চই জানেন। তাকে তো আর বিশ্লেষন করে বুঝানোর কিছু নাই।
তোমরা যারা শিবির করো এমন শিরোনামের একটি কলাম পড়েছিলাম। স্যারের লেখাটা অনেক ভাল লেগেছিল। তবে ছাত্রলীগের কর্মকান্ডে তিনি আদৌ কেন নিশ্চুপ। গণতান্ত্র প্রতিষ্টায় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভূমিকা ছিল জাফর স্যারের। আর মানুষ গড়ায় তো তার ভূমিকা অনস্বীকার্য। যার দ্বারা অন্যায় কোন কাজের সমর্থনই আসেনি তিনি ছাত্রলীগের প্রতি এতো মতত্ববোধ দেখাচ্ছেন কেন? আত্মহত্যার হুমকি ছাড়া তো আর কিছুই দেখলাম না।
জাফর স্যারের সাথে অদ্ভুদ কমেন্ট সহ ছবি ফেসবুকে দেখলাম। ছবিটা দেখে খুব একটা খারাপ লাগেনি আবার মর্মাহতও হইনি।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




