somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মুভি: যেটা দেখে কষ্ট পেতে হবে !

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আজকে মনের এক অতি বেদনা দায়ক স্মৃতি না লিখে পারতেছি না ! এই স্মৃতিটা আমি বহন করতেছি সেই স্কুল লাইফে পড়া এক উপন্যাসের মাধ্যমে ! সেই উপন্যাসের কথায়ই এইখানে ফুটে উঠবে ধীরে ধীরে ! উপন্যাসের এক রূঢ় বাস্তবতা আমাকে ঘীরে রেখেছে খুব ক্লোজ ভাবে ! উপন্যাসের মেসেজ গুলা তখন হয়তবা সব বুঝি নাই বাট ধীরে ধীরে বয়স বাড়তে থাকল, খুলতে থাকল চোখ বুঝতে থাকলাম অনেক কিছুই ! সেই মেসেজগুলা ধীরে ধীরে আমার সামনে অবমুক্ত হতে থাকল খুব কঠিন বাস্তব রুপে !
কাহিনী শুরুঃ-

নামঃ Requiem for a Dream (2000)
(বলা যায় স্বপ্নের দুর্বিষহ মৃত্যু :( )
রেটিংঃ আইএমডিবি ৮.৪/১০ ! পচা টমেটোসঃ ৭৪% (বিস্মিত)
পারসোনালঃ ৯.৭৫ !

পটভূমিঃ মুভির পরিচালক Darren Aronofsky। লেখক Hubert Selby, Jr. এর একই নামের নোভেল থেকে তিনি গল্পটাকে ফিল্মে রুপ দিয়েছেন। হু, এই সেই আমার পড়া নোভেল ও তার লেখক !এবং অবশ্যই এটা ড্রাগ ও তার কুফল এর উপরে ভিত্তি করে নির্মান করা হয়েছে।এই মুভিতে দেখা যাবে মূল চরিত্রগুলো বিভিন্ন ধরনের নেশায় আক্রান্ত হয়ে পড়বে যা তাদের বাস্তব জীবন থেকে আলাদা করে দিবে ওজীবনে ডেকে আনবে চরম বঞ্চনা, এবং একটি মর্মান্তিক,করুণ পরিনতি।

সংক্ষেপঃ ৪ টা চরিত্রের উপরে ড্রাগের প্রভাব নিয়ে ফিল্ম শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আলোচনা করে। শুরুতেই নায়ক তার স্বামীহীন বৃদ্ধা মায়ের খুব পছন্দের টেলিভিশন বিক্রি করে দেয় এবং অবশ্যই ড্রাগের নেশায়। নায়কের সাথে ড্রাগে জড়িয়ে পড়ে তার বন্ধু ও প্রেমিকা। একটু একটু করে তারা নেশার গভীরে ঢুকতে থাকে। তারা প্লানও করে, তারা ড্রাগের ব্যাবসা করবে এবং প্রতিষ্ঠিত হবে। পরে তাদের কোমল ভালোবাসাটাকে পরিপূর্ণ রূপ দিবে বিয়ের মাধ্যমে। কিন্তু আমরা যা চিন্তা করি সব কি আর আমাদের ইচ্ছা অনুযায়ী হয়? আর এতো আরো একটা সর্বনাশা রাস্তা যেখানে প্রতিনিয়ত ঝামেলা লেগেই আছে ! ফলে ব্যাবসায় নিজেদের সর্বস্য হারিয়ে নিস্ব হয়ে পড়ে তারা। এখন কি হবে? জীবন তো চালাতে হবে নাকি নেশা আর তাইতো দরকার টাকার,ড্রাগের নেশায় কারোরই চিন্তা শক্তি কাজ করছে না। এদিকে নায়িকা টাকার জন্য এক পয়সাওয়ালার কাছে নিজের দেহ তুলে দেয়। এর পর ঘটতে থাকে একের পর এক নারকিয়তা (যেগুলো আসলেই গায়ের লোম খাঁড়া করে দিবে, মনকে নিমজ্জিত করে দিবে এক গভীর বেদনা দায়ক অন্ধকার সুড়ঙ্গে) ! যতদিন যায় টাকার প্রয়োজন আরও বাড়ে। আর নিত্যদিন নিজেকে বিক্রি করতে থাকে নায়িকা। একদল যৌনপ্রিয় লোকদের সামনেও লাইভ সেক্স করতে দ্বিধা করে না (পরিস্থিতির ব্যাপকতা বোঝাতে এইটুকুই যথেষ্ট), হয়তো আগামীতে এসব করেই টিকে থাকবে। এদিকে নায়কের ড্রাগ নিতে নিয়ে এক হাতে কনুয়ের কাছে পচে গেছে,সেটা কেটে ফেলতে হয়। নায়কের বন্ধুকে জেলে দেওয়া হয়। এদিকে নায়কের মা একা থাকতে থাকতে কল্পনার আশ্রয়ে সময় কাটায়, সেখান থেকে তিনি রিয়েলিটি শোতে ডাক পান। কাল্পনিক চিন্তা ভাবনা নিজেকে আরও আকর্ষণীয় করার জন্য তিনি ওষুধ সেবন শুরু করেন। দিন দিন পরিমান বাড়িয়ে দেন। তিনিও আক্রান্ত হয়ে যান ড্রাগের ভয়াবহতায়। এভাবেই শেষ হতে থাকে অতি কষ্টের এক অধ্যায়, অতি বাস্তব কিছু দৃশ্যের সেলুলয়েডের কাজ !

মতামতঃ প্রত্যেকের অভিনয় অসম্ভব সুন্দর হয়েছে। বিশেষ করে Jennifer Connelly। একদম চোখে তাক লাগিয়ে দেবার মতো। প্রত্যেকটা ফলাফল নাড়া দিলেও নায়িকার ফলাফলটাতে চোখ দিয়ে অঝোড়ে পানি পড়েছে । চিৎকার করে কেঁদেছি (হায়রে টাকা, হায়রে নেশা, হায়রে বুক ফাটা অনুভূতি)। এই ফিল্মের মিউজিক এবং ক্যামেরার কাজ প্রচুর ব্রেনে প্রেশার ফেলবে (সো এক্সপার্ট উপদেশ হইল নবরত্ন ইউজ কইরেন :P )। অটোমেটিক্যালি ভিতর থেকে একটা অদ্ভুদ শিহরন সৃষ্টি হয়।
#* সবথেকে বড় কথা হইল জনসচেতনা মূলক ফিল্মের লিষ্ট করলে এটা অবশ্যই উসাইন বোল্ট (অলওয়েজ নাম্বার ওয়ান) !
আমি #বাংলাদেশ_সরকারকে স্ট্রংলি রিকমেন্ড করব এই মুভিটা প্রচারের জন্য ব্যাপক ভাবে *#

বি ভেরি প্রিপিয়ারড টু ওয়াচঃhttp://yify-torrents.com/movie/Requiem_for_a_Dream_DIRECTORS_CUT_2000
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামাত কি দেশটাকে আবার পূর্ব পাকিস্তান বানাতে চায়? পারবে?

লিখেছেন ঋণাত্মক শূণ্য, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:২৮

অন্য যে কোন সময়ে জামাতকে নিয়ে মানুষ যতটা চিন্তিত ছিলো, বর্তমানে তার থেকে অনেক বেশী চিন্তিত বলেই মনে করি।



১৯৭১ এ জামাতের যে অবস্থান, তা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯


দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা গান্ধীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক: ওরিয়ানা ফলাচির সাক্ষাৎকার

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৫


১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইতালীয় সাংবাদিক ওরিয়ানা ফলাচি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাক্ষাৎকার নেন। এই সাক্ষাৎকারে মুক্তিযুদ্ধ, শরনার্থী সমস্যা, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক, আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী পররাষ্ট্রনীতি এবং পাকিস্তানে তাদের সামরিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

=যাচ্ছি হেঁটে, সঙ্গে যাবি?=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৬


যাচ্ছি হেঁটে দূরের বনে
তুই কি আমার সঙ্গি হবি?
পাশাপাশি হেঁটে কি তুই
দুঃখ সুখের কথা ক'বি?

যাচ্ছি একা অন্য কোথাও,
যেখানটাতে সবুজ আলো
এই শহরে পেরেশানি
আর লাগে না আমার ভালো!

যাবি কি তুই সঙ্গে আমার
যেথায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগামী নির্বাচন কি জাতিকে সাহায্য করবে, নাকি আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিবে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১২



আগামী নির্বচন জাতিকে আরো কমপ্লেক্স সমস্যার মাঝে ঠেলে দিবে; জাতির সমস্যাগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। এই নির্বাচনটা মুলত করা হচ্ছে আমেরিকান দুতাবাসের প্রয়োজনে, আমাদের দেশের কি হবে, সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×