সাহস করে নিহিনের সাথে অবশেষে দেখা করেই ফেলল ।
নিহিনের শুভ্র বরফের মত চেহারাটা দেখে শরীরের মধ্যে হিম শীতল ভাব বয়ে গেল আয়ানের।
ঘুরে ঘুরে নিহিন কে দেখছে।
-এই ছেলে, সমস্যা কি তোমার???
-না মানে, একটা কথা জিজ্ঞেস করার ছিল?
-কি? ভ্রু কুচকে জিজ্ঞেস করল নিহিন।
-এতো সুন্দর কেনো তুমি?
-আমি কি জানি! হাসি দিয়ে উঠলো নিহিন!
-প্লিজ, এভাবে করে হেসো না, আমার ঘুম নষ্ট করার জন্য তোমার মুখটাই যথেষ্ট, হাসি দিয়ে বাকি টুকুও কেড়ে নিও না! বলল আয়ান।
-আচ্ছা পাজী ছেলেতো তুমি!
-খুব বেশি না অল্প একটু আমি তোমার বন্ধু হতে পারি?
উত্তর না দিয়েই নিহিন চলা শুরু করলো।
আজ নিহিনের জন্মদিন।
এক সপ্তাহ ধরে ভাবছে কি উপহার দেওয়া যায়।
কিন্তু মাথাই খুলছে না!
-কিরে তোমার এবার কি হল?
-পায়েলটা হারিয়ে ফেলেছি।
-তুমি যেই ভাবে নাচানাচি করো, হারানোইতো স্বাভাবিক!
-মেজাজ খারাপ করিও না বলে দিচ্ছি।
-নিহিন, বিকেলে একটু দেখা করতে পারবে?
-কি শখ তোমার! আচ্ছা, দেখা যাক।
নিহিনের পাশে হেটে চলার সময় টুকু আয়ান অনেক পছন্দ করে, ওর চঞ্চল চোখ দুটো এক মুহূর্তের জন্য স্থির হয়ে না। এত কথা কি করে মেয়েটা বলে ভবে পায় না আয়ান। তবে আয়ান তা উপভোগ করে, কারণ শুধু এই সময়ই তার অতৃপ্ত নয়ন দুটো সুখের দিশা পায়।
-অনেক তো হেঁটেছি, একটু এখানে বসি।
-চোখটা একটু বন্ধ করবে।
-কেনও? চোখ দুটো বড় বড় করে বলল।
-উফফ!
-তুমি কখনো আমাকে কিছু করতে বললে আমি কি তোমাকে কখনো জিজ্ঞেস করেছি????
-আচ্ছা ঠিক আসে।
নিহিন পায়ের মাঝে কিছুর ছোঁয়া অনুভব করলো, সাথে সাথে ভয় পেয়ে চোখ মেলে জা দেখলো, তার জন্য কখনো প্রস্তুত ছিলনা।
-তোমার জন্মদিনের উপহার! আয়ান নিহিনের পায়ে নুতন পায়েল পরিয়ে বলল।
নিহিনের চোখে জল এসে পড়লো।
-পাগলামিই ছাড়া কিছু করতে পারোনা! নিহিন বলল।
-পাগলামি সবার জন্য মানুষ করে না, শুধু যাকে ভালোবাসে, তার জন্যই করে।
-বলছে তোমাকে। একেবারে প্রেম বিশারদ হয়ে গেছে।
উত্তর তো দিলে না!
-ছিঃ তোমার নখ গুলো কত বড়!
-আয়ান,তুমি নখ কাটার আগে আমার হাত ধরবেনা বলে দিচ্ছি!
-কি জামা পরছো এটা!
-আর তুমি মিমির সাথে এত হেসে হেসে কি কথা বলো, হু???
-আমার সাথে থাকলে তো ব্যোম মারলেও মুখ দিয়ে কথা বের হয় না!
-মিটিমিটি হাসছে আর পাগলীটার কাণ্ড কাঁরখানা দেখছে।
-নিহিন, আই লাভ উ!
-বেহায়া ছেলে!
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:২৪