আব্দুল কাদের জিলানী কি ছিলেন তা আপনাকে আল্লাহ প্রশ্ন করবেন না। আল্লাহ আপনাকে প্রশ্ন করবেন রাসুলুল্লাহ সাঃ সম্পর্কে। আব্দুল কাদের জিলানী সম্পর্কে জা জানেন সেগুলো কিছু অগ্রহনযোগ্য বইয়ের পাতার কথা মাত্র। তিনি কি ছিলেন আল্লাহই ভালো জানেন। আমরা খারাপও বলবো না আবার ভালোও বলবো না। আব্দুল কাদের জিলানীকে অনেক বড় বুজুর্গ হিসেবে চিহ্নিত করার জন্য তাকে অনেক সম্মান দেওয়ার জন্য তার নামে অনেক বই মার্কেটে ছাড়া হয়, অনেক আধ্যাতিকতার কাহিনী শুনানো হয়। ্এগুলো এক ধরনের ব্যবসা। আর আপনি যদি কোন একক ব্যক্তিকে অনুসরন করেন আল্লাহর রাসুল কে বাদ দিয়ে তাহলে পথভ্রষ্ট হবেন। কারণ এটাই স্বাভাবিক।
যেমন ধরেন ফাযায়েলে আমল এর ফাযায়েলে হজ্জ বইয়ের ১৫৮ নং পৃষ্ঠাতে হযরত রেফায়ী (রহঃ) একবার মদিনাতে গেলেন এবং রাসুলুল্লাহ সাঃ এর রওজার নিকট যেয়ে বললেন "বহুদিন যাবত এই খাদেম তার রুহ কে আপনাকে খেদমতে পাঠিয়ে দিয়েছে। আজ খাদেম শশরীরে উপস্থিত। ইয়া রাসুলুল্লাহ আপনি আপনার হস্ত মুবারক বাহির করুন। আমি তাহা চুম্বন করিয়া তৃপ্তি হাসিল করিব। তার পরই আল্লাহর রাসুল কবর থেকে তাহার নিকট হাত বাহির করিয়া দিলেন আর তিনি চুম্বন করিলেন। তখন মদীনাতে ৯০০০০ লোকের সমাগম ছিল। সকলেই হাতের জ্বলকানি দেখিতে পাইলো। অনেকে বলেন "মাহবুবে ছোবহানি আব্দুল কাদের জিলানীও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।"
এই হইল কাহিনী। এখন বলতে পারেন শাইখুল হাদিস মাওলানা জাকারিয়া সাহেব ফাযায়েলে আমল লিখছেন তিনি কি না জাইনা লিখছেন। তার ভূল হতেই পারে না। তবে ব্যাপার হলো ইসলাম চলে দলিল প্রমাণে। মক্কার ইমামও যদি কোন কথা বলে যা কোরআন ও সুন্নাহ এর বিপরীত আমরা তার কথা মানবো না। এই গল্পে নবী প্রেম টা অনেক বৃদ্ধি করা হইছে। নবীর নামে একটা মিথ্যারোপ করা হইছে যে উনি কবর থেকে হাত উঠাইছেন। আর এগুলো যেন মানুষ বিশ্বাস করে তাই নব্বই হাজার মানুষের রেফারেন্স সাথে মাহবুব ছোবহানি দিয়া আব্দুল কাদের জিলানীর না ব্যবহার করা হইছে।
সূরা আরাফ-৩> তোমার নিকট তোমার রবের পক্ষ থেকে যা যা অবতীর্ণ হইছে (কোরআন ও সহীহ হাদিস) তুমি শুধূ সেগুলোর অনুসরণ কর। অন্য কোন আউলিয়ার (পীর, ফকীর, বুজুর্গ, আলেম, কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তির মতামত যেমন আব্দুল কাদের জিলানী, শাহপরান শাহ জালাল) অনুসরণ করো না।
তারা কি ছিলেন আল্লাই জানেন। আমরা যেহেতু দেখি নাই। তাই তাদের ব্যপারে মন্তব্য করার প্রয়োজন নেই। আমরা আব্দুল কাদের জিলানীসহ অনেক ব্যক্তির জীবনী পড়ি। কখনো কি রাসুলুল্লাহ সাঃ এর জীবনী পড়তে চেষ্টা করছি।
মাওলানা জাকারিয়া, শাহজালাল, শাহপরান, আব্দুল কাদের জিলানী অনেক মানুষের অনেক কথা ভালো মনে করে আমরা পড়ি। কিন্তু ভালো আলেম এর বাণী মনে করে উপরের গল্পের মতো অনেকে রাসুলুল্লাহ সাঃ সম্পর্কে ভিন্ন ধারণা পোষন করবে। যেমন তিনি কবর থেকে হাত তুলেন, কবরে বসে মানুষ কি করে দেখেন। তার পর রুহ কে খাদেম হিসেবে পাঠাইয়া দেওয়া ইত্যাদি।
Allah give us the right path.
Allah Know the best.