somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নূরের তৈরী, না মাটির তৈরী?

১৪ ই মে, ২০১১ দুপুর ১২:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিদআতীদের নিকট আমার আরেকটি প্রশ্নঃ নবী মুহাম্মাদ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আদম সন্তানের বাইরে না ভিতরে? যদি বলে বাইরে তবে তো তার সাথে কথা বলা অনর্থক। আর যদি বলে যে, তিনিও আদম সন্তানের মধ্যে গণ্য, তখন আমরা বলব আদম (আলাইহিস্ সালাম) কিসের তৈরী, নুরের না মাটির?

যদি বলে ‘মাটির তৈরী’ আর এটা বলতে তারা বাধ্য- তাহলে তাদের নিকট প্রশ্নঃ মাটির তৈরী পিতার সন্তান কিভাবে নূরের তৈরী হল?

তাদের নিকট আরেকটি প্রশ্নঃ আমাদের নবী মুহাম্মাদ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মহান আল্লাহর নিম্ন বর্ণিত বাণীর বাইরে না ভিতরেঃ ‘এ মাটি থেকেই আমি তোমাদেরকে সৃজন করেছি, এতেই তোমাদেরকে ফিরিয়ে দিব এবং পুনরায় এ থেকেই আমি তোমাদেরকে উত্থিত করব। (সূরা ত্বো-হা: ৫৫)

যদি তারা স্বীকার করে যে, নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)ও উক্ত আয়াতের আওতাভুক্ত তাহলে তো তারা স্বীকার করেই নিল যে নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)ও মাটির তৈরী, আর তা স্বীকার করাই ঈমানের দাবী। আর যদি বলে যে, না তিনি উক্ত আয়াতের আওতাভুক্ত নন তবে তো তাদের সাথে আর কোন কথাই নেই। কারণ তারা কুরআন ও হাদীছ অস্বীকারকারী বলে গণ্য হবে, যার ফলে কুফরী ফাৎওয়ার শিকার হবে।

আসলেই পৃথিবীতে যত বিদআতী রয়েছে, তারা সকলেই স্থূল বিবেকের অধিকারী। তারা সকলেই কুরআন ও ছহীহ হাদীছের সঠিক মর্মবাণী অনুধাবন করতে ব্যর্থ, তাই তাদের এ অবস্থা যে, তারা কুরআন ও হাদীছের বিরোধিতায় লিপ্ত রয়েছে। তারা কুরআন ও ছহীহ হাদীছ দেখেও আমল করে না। বরং ইহুদীদের মত তার বিকৃত ব্যাখ্যা দিয়ে থাকে।

তাদেরকে আরেকটি প্রশ্নঃ নূরের তৈরী ব্যক্তির সন্তান-সন্তনি কিসের তৈরী? যেমন আমাদের নবী যদি নূরের তৈরী হন, তবে তার সন্তান-সন্ততি যেমন-ফাতেমা, যায়নাব, রুকাআইয়া, উম্মুকুলছুম এবং ক্বাসেম ও ইবরাহীম (রাযিয়াল্লাহু আনহুম) তাঁরা তাহলে কিসের তৈরী? তাদের যারা সন্তান যেমন ফাতিমা (রাযিয়াল্লাহু আনাহা)-এর সন্তান হাসান ও হুসাইন-তারা কিসের তৈরী?

যদি বলেঃ তারা মাটির তৈরী, নূরের তৈরী নন, তাহলে আমরা বলবঃ নূরের তৈরী ব্যক্তির সন্তান মাটির তৈরী কোন্ যুক্তিতে হবে? যিনি নূরের তৈরী হবেন (তার সন্তান-সন্ততি হলে)তার সন্তান-সন্ততিও নূরের তৈরী হবে এটাইতো স্বাভাবিক, তাহলে তারা নূরের তৈরী হলেন না কেন? আর যদি তারা বলে যে, নবীর মত তার সন্তান-সন্ততি যেমন-ফাতেমা, যায়নাব, রুকাআইয়া, উম্মুকুলছুম এবং ক্বাসেম ও ইবরাহীম (রাযিয়াল্লাহু আনহুম) তাঁরাও নূরের তৈরী! তাদের যারা সন্তান যেমন ফাতেমা (রাযিয়াল্লাহু আনহা)-এর সন্তান হাসান ও হুসাইন-তাঁরাও নূরের তৈরী? যদি এমনটি তারা বলে তাহলে তো তাদের সঙ্গে আর কথাই নেই, কারণ তারা এমনই একটা কথা বলেছে যার মিথ্যাচারিতা ও ভিত্তিহীনতা একটা পাগলের নিকটও সুস্পষ্ট। ঐরূপ কথাতে বিবেকবান তো দূরের কথা পাগলরাই অট্টহাসি দিবে। কারণ একথা সর্বজন বিদিত যে বনী আদমের প্রজন্ম হিসাবে তাঁরাও সৃষ্টিগত দিক থেকে মাটির তৈরী।

তাই বলি বন্ধুগণ! বিদআতী দর্শন পরিত্যাগ করে কুরআন ও ছহীহ হাদীছের দিকে ফিরে আসুন, এখনও সময় আছে হেদায়াত লাভ করার। আল্লাহ আপনাদেরকে সুমতি দিন। কুরআন ও ছহীহ হাদীছের রাজ পথে পরিচালিত করুন।

(খ) ‘নবী সৃষ্টিগত দিক থেকে আমাদের মত মানুষ’ মর্মে হাদীছ থেকে প্রমাণঃ

১নং হাদীছঃ নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াছাল্লাম) বলেনঃ তোমরা সকলেই আদমের সন্তান, আর আদম মাটি থেকে সৃষ্টি। (বায্ যার প্রভৃতি, হাদীছ ছহীহ, দ্রঃ ছহীহুল জামে’ হা/৪৫৬৮)।

২নং হাদীছঃ ‘তিনি আরো বলেনঃ আমি তো একজন মানুষ, আমিও তোমাদের মত ভুলে যাই, কাজেই আমি ভুলে গেলে আমাকে তোমরা স্মরণ করিয়ে দিবে। (বুখারী, ছালাত অধ্যায়, হা/৩৮৬, মুসলিম মসজিদ ও ছালাতের স্থান অধ্যায়, হা/৮৮৯)

৩নং হাদীছঃ ‘তিনি আরো বলেনঃ আমি তো একজন মানুষ, আমার নিকট বাদী আসে, সম্ভবত তোমাদের একজন অপর জন অপেক্ষা বেশি বাকপটু হবে, তাই আমি ধারণা করে নিতে পারি যে সে সত্য বলেছে কাজেই সে মতে আমি তার পক্ষে ফায়ছালা দিয়ে দিতে পারি। তাই আমি যদি তার জন্য কোন মুসলিমের হক ফায়ছালা হিসাবে দিয়ে থাকি, তাহলে সেটা একটা জাহান্নামের টুকরা মাত্র। অতএব সে তা গ্রহণ করুক বা বর্জন করুক। (বুখারী, মাযালিম অধ্যায়, হা/২২৭৮)।

‘মা আয়েশাকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াছাল্লাম) বাড়িতে থাকাকালীন কী কাজ করতেন? তদুত্তরে তিনি বলেছিলেনঃ তিনি তো অন্যান্য মানুষের মত একজন মানুষ ছিলেন। তিনি তার কাপড় সেলাই করতেন, নিজ বকরীর দুধ দোহন করতেন, নিজের সেবা নিজেই করতেন। (আহমাদ,হা/২৪৯৯৮, আল আদাবুল মুফরাদ প্রভৃতি, হাদীছ ছহীহ, দ্রঃ ছহীহুল আদাব আল্ মুফরাদ, হা/৪২০, মুখতাতাছার শামায়েলে তিরমিযী, হা/২৯৩, ছহীহাহ, হা/৬৭১)

*নবীকে যেসব দলীলের ভিত্তিতে বিদআতীরা নূরের সৃষ্টি প্রমাণ করতে চায় সেগুলি পর্যালোচনাসহ নিম্নে পরিবেশিত হলঃ বিদআতীরা নবীকে নূর প্রমাণ করতে যেয়ে দলীল স্বরূপ কুরআন থেকে কতিপয় আয়াত পেশ করে থাকে। যেমন,

মহান আল্লাহ এরশাদ করেনঃ ‘তোমাদের নিকট নূর-তথা একটি উজ্জ্বল জ্যোতি এবং স্পষ্ট কিতাব এসেছে। এর দ্বারা আল্লাহ যারা তার সন্তুষ্টি কামনা করে, তাদেরকে নিরাপত্তার পথ প্রদর্শন করেন, এবং তাদেরকে স্বীয় নির্দেশ দ্বারা অন্ধকার থেকে বের করে আলোর দিকে আনয়ন করেন এবং সরল পথে পরিচালনা করেন’(সূরাহ আল্ মায়িদাহঃ ১৫-১৬)।

অত্র আয়াতে নবীর গুণ স্বরূপ তাকে নূর বা জ্যোতি বলা হয়েছে, সৃষ্টিগতভাবে তাকে নূরের তৈরী বলা হয়নি। আর কিভাবে তিনি গুণগতভাবে নূর বা জ্যোতি হলেন, তা সাথে সাথে আল্লাহ পরের আয়াতেই ব্যাখ্যা করে দিয়েছেন। কাজেই একথা বলাই বাহুল্য যে, নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াছাল্লাম)সৃষ্টিগতভাবে নয়, বরং গুণগতভাবে ‘নূর’ (সৃষ্টিগতভাবে নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াছাল্লাম) আব্দুল্লাহ ও আমেনার ঔরষজাত সন্তান এটা কে না জানে? এমনকি বিদআতীরাও এই বাস্তব সত্যকে স্বীকার করে থাকে।

তবে যেহেতু তারা ‘নূর পার্টি’ তাই বলে থাকেঃ আব্দুল্লাহ ও আমেনার মিলনের মাধ্যমে তিনি আসেন নি, বরং আব্দুল্লাহর কপালে নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াছাল্লাম) নূর আকারে ছিলেন, তিনি আমেনাকে চুম্বন করলে সেই নূর তার উদরে চলে যায়। এভাবে নূর পার্টিরা আরেকটা আজগুবি কথা বলে থাকে। ঐমর্মে তাদের জনৈক চুক্তিবাদী না যুক্তিবাদী বক্তা একটা লম্বা চওড়া কিচ্ছাও জনগণের সামনে মধুর সূরে কেরাত করে করে বলে থাকেন। অথচ কিচ্ছাটি যে মিথ্যা ও বানাওয়াট তা তারা বেমালুম ভুলে গেছে।

এসব আত্মভুলাদের এগুলি ভুলাই স্বাভাবিক। এভাবে চুক্তিবাদী ছাহেব জনগণকে দীর্ঘ দিন ধরে কুরআন-হাদীছের নামে মিথ্যার ঝুলি উপহার দিয়ে আসছেন। এর পরেও উনিই নাকি সারা বাংলাদেশের দ্বিতীয় বক্তা, মতান্তরে প্রথম বক্তা!? (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজেঊন)
এভাবে মহান আল্লাহ নবীকে অন্যত্রে উজ্জ্বল প্রদীপ বলেও আখ্যা দিয়েছেন।

এরশাদ হচ্ছেঃ ‘হে নবী! আমি আপনাকে সাক্ষী, সুসংবাদ দাতা ও সতর্ককারীরূপে প্রেরণ করেছি। এবং আল্লাহর আদেশক্রমে তাঁর দিকে আহবায়করূপে এবং উজ্জ্বল প্রদীপরূপে। (সূরা আল্ আহযাব: ৪৫-৪৬)

নবীকে উক্ত আয়াতে যে মহান আল্লাহ গুণগত দিক থেকে নূর বা জ্যোতি বলেছেন তা অত্র আয়াতেই স্পষ্ট। নাকি বিদআতীরা বলবে ‘উনি আসলেই সৃষ্টিগত দিক থেকে উজ্জ্বল চেরাগ ছিলেন’! তার থেকে আগুণ নিয়ে মানুষ নিজেদের রান্না-বান্নার কাজ করতেন, তাদের চুলায় আগুণ ধরাতেন, বাড়ির চেরাগ জ্বালাতেন…?

মহান আল্লাহ আল কুরআনকেও ‘নূর-জ্যোতি’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।

এরশাদ হচ্ছে: ‘অতএব তোমরা আল্লাহ তাঁর রাসূল এবং অবতীর্ণ নূরের প্রতি ঈমান আনয়ন কর। তোমরা যা কর, সে বিষয়ে আল্লাহ সম্যক অবগত। (সূরাহ আত্ তাগাবুন:৮)

অন্য সূরায় মহান আল্লাহ বলেনঃ ‘সুতরাং যারা তাঁর (মুহাম্মাদ এর) উপর ঈমান এনেছে, তাঁকে সম্মান করেছে, সাহায্য করেছে এবং তার উপর যে নূর অবতীর্ণ করা হয়েছে তার অনুসরণ করেছে তারাই হল প্রকৃত সফলকাম। (সূরা আল্ আরাফ: ১৫৭)

উক্ত আয়াতদ্বয়ে আল্লাহ কুরআনকেও ‘নূর’ বলেছেন। জানিনা নূর পার্টিরা কুরআনের ক্ষেত্রে কী বলবে। নাকি বলবে কুরাআনও নূরের সৃষ্টি! অথচ কুরআন মহান আল্লাহর বাণী ইহাই সকল সুন্নী মুসলিমদের বিশ্বাস। কুরআনকে সৃষ্টবস্তু জ্ঞান করা স্পষ্ট কুফরী, এই জঘণ্য আক্বীদাহ সর্ব প্রথম ইসলামের ঘোরতর বিদআতী দল মুতাযিলারা অবলম্বন করে। আশা করি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে এই বিদআতীরা ঐ বিদআতের সহমত হবে না। বরং তারাও বলবে যে, কুরআন আল্লাহর সৃষ্টি নয়, বরং তা আল্লাহর বাণী..।


অতএব, কুরআনকে নূর বলার পরও যদি নূরের সৃষ্টি না বলা হয়, তবে রাসূলকে নূরের সৃষ্টি কোন্ যুক্তিতে বলা হবে? কারণ মহান আল্লাহ নবীকে যেমন ‘নূর’ বলেছেন, ঠিক তেমনিভাবে পবিত্র আল কুরআনকেও ‘নূর’ বলেছেন। অতএব কুরআনে করীম সম্পর্কে নূর পার্টিদের যা উত্তর আমাদেরও ঠিক সেটিই উত্তর ‘নবী করীম’ সম্পর্কে। আল্লাহ সকল পথভ্রষ্টদেরকে হিদায়াত দান করুন-আমীন।

উল্লেখ্য, নূর পার্টিদের দলীলগুলি সবই এই পর্যায়ের, কুরআনের আয়াতের মন গড়া ব্যাখ্যা, আর হাদীছের নামে বানাওয়াট জাল হাদীছ হল তাদের সম্বল। যে সব ছহীহ হাদীছ তারা তাদের মতের পক্ষে পেশ করে থাকে তারা তার প্রকৃত ব্যাখ্যা অনুধাবন করতে ব্যর্থ হয়েছে। গভীর দৃষ্টিতে দেখলে দিবালোকের ন্যায় প্রমাণ হবে যে, তাদের পেশকৃত ছহীহ হাদীছ তাদের মতের মোটেই সমর্থন করে না। বরং দাবীর সাথে দলীলের কোন মিল নেই।

মোট কথাঃ ‘নবী নূরের তৈরী’ মর্মে না কুরআনের আয়াত আছে, না নবীর ছহীহ হাদীছ আছে, নবীর নূর সংক্রান্ত যেসব হাদীছ নূর পাটিরা বলে থাকে তার সবগুলোই জাল এবং মিথ্যার ঝুলি। নূরপার্টিদের পূর্বসূরীরা ওগুলো নিজেরা তৈরী করে নবীর নামে, আল্লাহর নামে জুড়ে দিয়েছে। এ জন্যই এসব হাদীছের একটি হাদীছও হাদীছের নির্ভরযোগ্য কোন কিতাবে পাওয়া যায় না। ঐমর্মের হাদীছ গুলি জাল বিধায় জাল হাদীছের কিতাবেই পাওয়া যায়, আরো পাওয়া যায় ঐসব সীরাত গ্রন্থে যেগুলি গ্রন্থের লেখকগণ ঐসব বর্ণনা উল্লেখ করেই ক্ষান্ত হয়েছেন, ওগুলির সত্যাসত্যের দায়-দায়িত্ব মোটেই গ্রহণ করেন নি, এ দিক থেকে তাদেরকে সাংবাদিকদের সাথে তুলনা করা যায়। এ সব জাল হাদীছ গ্রন্থ এবং অনির্ভরযোগ্য সীরাত গ্রন্থ থেকেই নূর পার্টিরা ঐ হাদীছ গুলি গ্রহণ করেছে।

আসলে নূরপার্টিদের মধ্যে যোগ্য কোন আলেম নেই যে তাদেরকে কুরআন ও ছহীহ হাদীছের সঠিক ব্যাখ্যা উপহার দিবে, উপরন্তু তারা নিজেরাই কঠিন বিদআতী। সেই বিশ্ব পথভ্রষ্ট কুখ্যাত ভারতীয় বিদআতী আলেম আহমাদ রেযা খান হল এইসব নূর পার্টিদের রাহবার। আর এ কথা সর্বজন বিদিত যে, পথভ্রষ্টের অনুসারী পথভ্রষ্টই হবে। একমাত্র আল্লাহ হিদায়াত দিলে সেটা ভিন্ন কথা।
মনে রাখবেন! বর্তমান বাংলাদেশের ‘চ্যানেল আই’ ঐসব নূর পার্টিদের চ্যানেল, কাজেই তাদের কথা সেই বিশ্ব পথভ্রষ্ট আহমাদ রেযা খানের কথার বাইরে যাবে না এটাই স্বাভাবিক। ঐ বিশ্ব পথভ্রষ্ট যে সব বিদআত ও শির্ক লালন পালন করত, সেগুলিই এই চ্যানেল আই থেকে প্রতিধ্বনিত হয় মাত্র। এদের নিকট কবরে আগরবাতি, মোমবাতি প্রভৃতি দেওয়া ছওয়াবের কাজ, তাদের নিকট নবী নূরের তৈরী, তিনি আসমান জমিনের সব কিছু জানেন, এখনও সব কিছু প্রত্যক্ষ করছেন, তিনি সর্বস্থানে বিরাজমান, তিনি মৃত্যু বরণ না করেও ছাহাবীগণ তাকে কবরস্থ করেছেন ইত্যাদি ইত্যাদি শির্ক ও কুফরী বিশ্বাসের লালন পালনকারী। উরস, মীলাদ-কিয়াম, শবে বরাত, পীর বাবার ওসীলাহসহ যত বিদআত রয়েছে, এগুলি চর্চা করা তাদের নিকট মুস্তাহাব…। আল্লাহ তাদেরকে সুমতি দিন-আমীন

সংকলিত লেখা।
মূল লেখাঃ http://alhudaonline.com/?p=602
৯টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ডালাসবাসীর নিউ ইয়র্ক ভ্রমণ

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:৪৪

গত পাঁচ ছয় বছর ধরেই নানান কারণে প্রতিবছর আমার নিউইয়র্ক যাওয়া হয়। বিশ্ব অর্থনীতির রাজধানী, ব্রডওয়ে থিয়েটারের রাজধানী ইত্যাদি নানান পরিচয় থাকলেও আমার কাছে নিউইয়র্ককে আমার মত করেই ভাল ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×