somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একটি সাক্ষাত্‍কার >ঠিকানা ।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

উইং কমান্ডার (অব.) সালাউদ্দিনের
বর্ণনায় ১/১১ ও বিডিআর বিদ্রোহ :
নিউইয়র্কে ‘ঠিকানা’র
সঙ্গে সাক্ষাত্কার
এনা নিউইয়র্ক
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর
অবসরপ্রাপ্ত উইং কমান্ডার
সালাউদ্দিন চৌধুরী নিউইয়র্ক
থেকে প্রকাশিত উত্তর আমেরিকায়
বাংলা ভাষার সর্বাধিক প্রচারিত
‘ঠিকানা’কে দেয়া দীর্ঘ এক
সাক্ষাত্কারে ১/১১ ও বিডিআর
বিদ্রোহ নিয়ে নানা অজানা তথ্য
জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তত্কালীন
সেনাপ্রধান জে. মইন ইউ আহমেদ
পাকিস্তানের সাবেক সামরিক শাসক
জে. পারভেজ মোশাররফের
মতো বাংলাদেশে ক্ষমতা দখল
করতে চেয়েছিলেন।
সাক্ষাত্কারে বিমান বাহিনীর সাবেক
প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল ফখরুল
আজমের সহকারী একান্ত সচিব
অবসরপ্রাপ্ত এই উইং কমান্ডার আরও
বলেছেন,
‘আমি চাকরি ছেড়ে দিয়ে সম্প্রতি ইমিগ্
হয়ে আমেরিকায় এসেছি।
আমি স্বেচ্ছায় অবসর নিয়েছি।
পিলখানার ঘটনার পর আমি ২০০৯
সালের জুনে আবেদন করেছিলাম।
পিলখানায় আমাদের
এতগুলো অফিসারকে অসহায়ের
মতো মৃত্যুবরণ করতে দেখেছি, কেউ
তাদের রক্ষা করতে এগিয়ে আসেনি।
আমি তো ঘটনাটা দেখেছি, মনিটর
করেছি কীভাবে তিলে তিলে তারা মৃত্যু
কোলে ঢলে পড়ল। চাকরিতে ধরে রাখার
চেষ্টা করেছে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু আমার
সিদ্ধান্তে আমি অটল ছিলাম
এবং আবেদনের আড়াই বছর পর
আমি অবসরে যেতে পেরেছি।’
নিউইয়র্কে বসবাসরত উইং কমান্ডার
সালাউদ্দিন চৌধুরীর সাক্ষাত্কারটির
উল্লেখযোগ্য অংশ এখানে উপস্থাপন
করা হলো :
ঠিকানা : সাভারের রানা প্লাজার
ঘটনায় রেশমার পরস্পরবিরোধী বক্তব্য
সম্পর্কে আপনার অভিমত কী?
সালাউদ্দিন চৌধুরী : রেশমার
ঘটনাটি পুরোটাই ধোঁকাবাজি। লন্ডনের
মিরর এবং দেশের কিছু
পত্রিকা রেশমার
ঘটনাটিকে যে সাজানো নাটক বলেছে,
এটা সত্য। সাভারের রানা প্লাজায়
যেদিন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে,
সেদিনই রেশমাকে উদ্ধার করা হয়।
তাকে নিয়ে তো নানা প্রশ্ন
দেখা দিয়েছে। ১৭ দিন পর তার
উদ্ধার, তার পোশাক এবং অন্যান্য
বিষয় সন্দেহমুক্ত নয়। এখন আরও
প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে সরকার। আর
সেগুলো হচ্ছে, রেশমাকে কেন
চারটি সিকিউরিটি দেয়া হয়েছে?
সাংবাদিকদের সঙ্গে কেন
কথা বলতে দেয়া হচ্ছে না? তাকে কেন
ওয়েস্টিন হোটেলে জব দেয়া হয়েছে?
ঠিকানা : ১/১১ ঘটনার
কারণটা কী ছিল?
সালাউদ্দিন : বিগত বিএনপি সরকারের
কিছু ভুলভ্রান্তি হয়তো ছিল। সেই
ভুলভ্রান্তির সুযোগ নিয়ে তত্কালীন
সেনাপ্রধান তার উচ্চাভিলাষী স্বপ্ন
চরিতার্থ করার চেষ্টা করেন।
২০০৬ সালের অক্টোবর
মাসে বিএনপি সরকার যখন
ক্ষমতা হস্তান্তর করল, তার
আগে থেকেই আমাদের দেশের সুশীল
সমাজের কিছু সদস্য এবং কিছু
বুদ্ধিজীবী বিভিন্ন
টিভি চ্যানেলে একটি শব্দ বার বার
উচ্চারণ করল, আর সেটি হলো তৃতীয়
শক্তি। একজন সামরিক অফিসার
হিসেবে আমি ব্যথিত হতাম এজন্য যে,
তৃতীয়
শক্তি বলতে উনারা জেনেশুনে বোঝাতে
আসলে তৃতীয় শক্তিটা কী?
বাংলাদেশের বাস্তবতা হচ্ছে,
আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির
বাইরে রাতারাতি কোনো তৃতীয়
রাজনৈতিক শক্তির উত্থান
ঘটতে পারে না। এটা সময়সাপেক্ষ
ব্যাপার। সে যা-ই হোক, আমি তখন
বিমান বাহিনীর প্রধানের এপিএস
হিসেবে কর্মরত ছিলাম।
কাছে থেকে অনেক কিছু ফিসফাস
শুনতাম। সন্দেহ হতো, যেহেতু
সেনাপ্রধানের
উচ্চাভিলাষী একটা স্বপ্ন ছিল,
যেটা তার কলিগদের মধ্যে অনেকেই
জানতেন। আপনারা হয়তো জানেন যে,
সেনাবাহিনী যদি কোনো অভ্যুত্থান
ঘটাতে যায় বা কিছু করতে যায়,
তাহলে তার মূল সাপোর্ট
আসতে হবে নবম পদাতিক ডিভিশন
থেকে, যেটা সাভারে অবস্থিত।
সাভারের জিওসি ছিলেন তত্কালীন
মেজর জেনারেল মাসুদউদ্দিন চৌধুরী।
উনি বেগম খালেদা জিয়ার
নিকটআত্মীয়। উনার
দিকে তাকিয়ে আমরা আমাদের
সন্দেহগুলোকে খুব একটা আমলে নিতাম
না। কারণ উনি তো বেগম জিয়ার
নিকটআত্মীয়। এটা কোনোভাবেই সম্ভব
নয়। কিন্তু ৮ জানুয়ারি ২০০৭
সালে বিমান বাহিনী প্রধানের
বাসভবনের স্টাডি রুমের
টেবিলে জেনারেল পারভেজ
মোশাররফের লেখা ‘ইন দ্যা লাইন অব
ফায়ার’ বইটি দেখে আমি এয়ার
চিফকে জিজ্ঞেস করি—স্যার
বইটি পড়েছেন? কেমন লেখা?
উনি বললেন, কিছুটা পড়েছি।
আর্মি চিফ জেনারেল মইন পাঠিয়েছেন
এবং অনুরোধ করেছেন পড়ার জন্য।
বাইরে নানান গুজব শোনা যাচ্ছে,
তাহলে কি উনি জেনারেল পারভেজ
হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন স্যার? আমার
প্রশ্ন ছিল। তিনি প্রতিউত্তরে বললেন,
‘এমন স্বপ্ন দেখা তার জন্য (জেনারেল
মইন) মারাত্মক ভুল হবে। কারণ
এটা বাংলাদেশ। তাছাড়া এমন
পরিকল্পনা থাকলেও সেটা আমার
সামনে কখনো প্রকাশ করবেন না।
এছাড়া নবম পদাতিক ডিভিশনের
জিওসি মেজর জেনারেল মাসুদউদ্দিন
চৌধুরীর সাপোর্ট তিনি পাবেন
না এবং আমার তো নয়ই। তবে এসব
চিন্তা করা বা আলোচনা করা ঠিক নয়।’
তবু আমার ভেতর একটা শঙ্কা কেন
জানি উঁকিঝুঁকি মারতো প্রায়ই।
ঠিকানা : বিমান বাহিনীর প্রধান
তখন কে ছিলেন?
সালাউদ্দিন : বিমান বাহিনী প্রধান
ছিলেন এয়ার ভাইস মার্শাল ফখরুল
আজম। আমি ভাবতে লাগলাম, দেয়ার
মাস্ট বি সামথিং রং। সামরিক
অফিসার হিসেবে আমি চিন্তা করলাম,
বাংলাদেশের গণতন্ত্র
খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটলেও একটা গণতন্ত্র
আছে। সেটা যেন বাধাগ্রস্ত না হয়
কোনো সামরিক অফিসারের
উচ্চাভিলাষী অভিলাষের জন্য।
আমি আমার মাথা থেকে এই
দুশ্চিন্তা ঝেড়ে ফেলতে চেয়েছি বার
বার মেজর জেনারেল মাসুদউদ্দিন
চৌধুরীর কথা স্মরণ করে। কেননা তার
প্রতি অবিচল আস্থা ছিল
বিএনপি সরকারের। ঘটনাটি যখন ঘটল,
তখন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ
হাসিনা বেশ দৃঢ়তার সঙ্গে বললেন,
এটা আমাদের আন্দোলনের ফসল।
আমি নিশ্চিত হলাম, ১/১১-র
পেছনে আওয়ামী লীগের নীরব সমর্থন
ছিল। আমরা যদি বাংলাদেশের অতীত
ইতিহাস বিশ্লেষণ করি, দেখব যতবারই
সেনা অভ্যুত্থান বা সেনাবাহিনীর
হস্তক্ষেপ হয়েছে, ততবারই
কোনো না কোনো রাজনৈতিক দলের
সমর্থন ছিল। রাজনৈতিক দলের সমর্থন
ছাড়া সেনা অভ্যুত্থান করা সম্ভব নয়।
আমার চোখে দেখা ১/১১ ঘটার
পরে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ
হাসিনাকে বলা হলো তিনি যেন
কিছুদিন দেশের বাইরে থাকেন।
বিএনপির যেসব কার্যক্রমে মানুষের
মনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছিল,
সে ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার
পরে গণতান্ত্রিক পরিবেশ
তৈরি করে একটি নির্বাচন দেয়া। এই
বক্তব্যটি আমি কীভাবে জানলাম—
বিমান বাহিনী প্রধান আমাকে বললেন,
সেনাপ্রধান উনাকে বলেছেন,
তারা ভোটার আইডি কার্ড করবেন,
পরিবেশ তৈরি করে তিন থেকে ছয়
মাসের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের
ব্যবস্থা করবেন।
যেটা প্রথমে বিশ্বাসযোগ্য ছিল কিন্তু
পরে সেনাপ্রধানের কর্মকাণ্ডে তার
কথার বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়ে ফেলে।
ইতোমধ্যে ২০০৭ সালের এপ্রিল
মাসে বিমান বাহিনী প্রধান এভিএম
ফখরুল আজম অবসরে গেলে সেনাপ্রধান
জেনারেল মইন যেন কিছুটা স্বস্তির
নিঃশ্বাস ফেললেন।
কেননা উনি সেনাপ্রধানের অনেক
পরিকল্পনা ও কর্মকাণ্ডের
সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করতেন।
সেনাপ্রধান মইন ইউ আহমেদের
কর্মকাণ্ডে পরিষ্কারভাবে বোঝা গেল,
পাকিস্তানের সেনাশাসক পারভেজ
মোশাররফের মতো তিনি দেশের
শাসনভার গ্রহণ করতে চাচ্ছেন।
পারভেজ মোশাররফ কিন্তু সেই দেশের
বিরোধী দলের নেতা নওয়াজ
শরীফকে প্রথমে আটক ও
পরে বিদেশে পাঠিয়ে দিয়ে দেশের
শাসনভার গ্রহণ করেছিলেন।
আওয়ামী লীগের
সভানেত্রী সেনাসমর্থিত সরকারের
কথামত দেশ ছাড়লেন। তখন কথা উঠল
বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম
খালেদা জিয়াকেও দেশ ছাড়তে হবে।
বেগম জিয়া কোনোভাবেই
বিদেশে যেতে চাইলেন না।
তিনি দেশত্যাগে রাজি হননি।
এখানে একটি কথা বলে রাখি,
সেনাপ্রধানের সঙ্গে সেনাবাহিনীর
জ্যেষ্ঠ
কর্মকর্তারা যারা সহযোগী হিসেবে ছি
তাদের দু-একজন বলেছেন, বেগম
খালেদা জিয়ার
মধ্যে একটা আপসহীনতা কাজ করে, তাই
উনাকে কি দেশত্যাগে বাধ্য
করানো সম্ভব হবে?
ওখানে যারা ছিলেন—জেনারেল
আমিন, ব্রিগেডিয়ার বারীসহ অনেকেই
বলেছিলেন, বিএনপি এখন মনোবলের
দিক থেকে দুর্বল তাদের বিগত দিনের
কর্মকাণ্ডের কারণে।
সুতরাং তাকে দেশত্যাগ করানো অসম্ভব
কিছু নয়। তাকে দেশত্যাগে বাধ্য
করা হবে। আলটিমেটলি হয়নি।
এভাবে রাজি করাতে না পেরে তারেক
রহমানকে গ্রেফতার করা হয় এবং বেগম
জিয়াকে নানা ধরনের
ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হয়। এর পরেও
বেগম খালেদা জিয়া তার
সিদ্ধান্তে অটল। মাঝে-
মধ্যে নিমরাজি ছিলেন, আবার মনের
দিক থেকে তিনি মোটেও রাজি ছিলেন
না। সোজা কথা, তিনি দেশত্যাগ
করবেন না। তিনি বার বার বলতেন,
বিদেশে আমার কোনো ঘরবাড়ি নেই,
ঠিকানা নেই, বাংলাদেশই আমার
ঠিকানা। বেগম খালেদা জিয়ার এই দৃঢ়
মনোভাব উচ্চাভিলাষী সেনাপ্রধানের
সমর্থনকারীদের জন্য বিরাট
বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ১/ ১১
যেদিন হলো, সেদিন সন্ধ্যায়
আমাকে আমার বিমান বাহিনীর প্রধান
তার বাসায় ডেকে পাঠালেন। তার
বাসায় যে অফিস,
সেখানে বসে আমরা কথা বলছিলাম।
আমি তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম—
স্যার, এটা কি ঠিক হলো?
উনি প্রতিউত্তরে আমাকে বলেছিলেন,
জাস্ট প্রে ফর দ্যা নেশন। তার একটু
পরেই দেখলাম তার বাসার রেড
টেলিফোন বাজলো। তিনি ফোন ধরলেন,
সেনাবাহিনীর প্রধান ফোন করেছেন।
সেনাপ্রধান উনাকে বলছেন, স্যার
আপনি একটু ড. মুহাম্মদ ইউনূসের
সঙ্গে কথা বলেন। উনাকে বলেন,
উনি যেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের
প্রধান হন। বিমান বাহিনীর প্রধান
সেনাপ্রধানকে বললেন, ঠিক
আছে আমি ফোন করব। উনি ফোন রেখেই
বললেন, ড. ইউনূসের ফোন নম্বর তার
জানা নেই। আমি তখন উনার বাসার
যে রিসিপশনিস্ট, তাকে বললাম ড.
ইউনূসের ফোন নম্বর জোগাড় করে দেয়ার
জন্য। আমি নম্বর নিয়ে ড. ইউনূসকে কল
করলাম। উনি সরাসরি ফোন ধরলেন।
আমি ফোনটি বিমান বাহিনীর
প্রধানকে দিলাম। বিমান বাহিনীর
প্রধান পরিস্থিতির
কথা জানিয়ে তাকে দায়িত্ব নেয়ার
কথা বললেন। আমি তখন
কায়মনোবাক্যে চাচ্ছিলাম যে ড. ইউনূস
যেন রাজি হন। কারণ উনার
মতো ব্যক্তিত্বসম্পন ্ন মানুষ
যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান
হন, তাহলে সেনাপ্রধানের
স্বেচ্ছাচারিতা বাধাগ্রস্ত
হবে এবং রাজনৈতিক পরিবেশ
সৃষ্টি হবে। ড. ইউনূস বিমান বাহিনীর
প্রধানকে বললেন—এয়ার চিফ,
এভাবে তো দায়িত্ব নিয়ে কিছুই
করা যাবে না। দেশকে যদি সুন্দর
বাংলাদেশ করতে হয়, তাহলে সময়ের
প্রয়োজন। আমি এই অল্প সময়ের জন্য
দায়িত্ব নিতে চাই না, কিছু
করা যাবে না। সুতরাং দায়িত্ব
নেয়া আমার জন্য ঠিক হবে না।
উনি সেনাপ্রধানকে বিষয়টি জানালেন
২০০৭ সালের জানুয়ারি মাসের ১১
তারিখে আমি যথারীতি সকাল বেলায়
অফিসে গেলাম। বিমান বাহিনীর
প্রধান আমাকে বললেন, আর্মি চিফ
আমাকে কফি খাওয়ার দাওয়াত
দিয়েছেন। কিছুক্ষণ পরে বললেন,
সেনাপ্রধানের অফিসে একজন মেহমান
এসেছেন, তাই তিনি আমাকে কিছুক্ষণ
পরে যেতে বলেছেন। এরপর তিনি ১০
থেকে ১০টা ৩০ মিনিটের
দিকে সেনাপ্রধানের অফিসে কফির
দাওয়াত রক্ষার জন্য গেলেন।
উনি যাওয়ার পরে সেনাপ্রধান বললেন,
বিদেশি মেহমান এসেছেন।
সেনাপ্রধান বেশ উত্তেজিত। এয়ার
চিফ বললেন, কী হয়েছে? তখন
সেনাপ্রধান বললেন, স্যার এভাবে দেশ
চলতে পারে না, এভাবে সম্ভব নয়। এই
দেখুন জাতিসংঘের চিঠি। এয়ার চিফ
জিজ্ঞেস করলেন—কে দিয়ে গেছেন।
সেনাপ্রধান বললেন,
বাংলাদেশে ইউএনডিপির
স্থায়ী প্রতিনিধি মিস রেনেটা। ওই
চিঠির কপি আমি নিজ চোখে দেখেছি।
দেখে আমার কাছে মনে হলো,
চিঠিটা অথেনটিক নয়। আমি রংও
হতে পারি। তবে আমার
কাছে মনে হয়েছে জাতিসংঘ থেকে এ
ধরনের ভাষার চিঠি প্রেরণ
করা বিশ্বাসযোগ্য নয়।
ঠিকানা : চিঠির বিষয়বস্তু কী ছিল?
সালাউদ্দিন : চিঠির বিষয়বস্তু ছিল,
বাংলাদেশের বর্তমান
পরিস্থিতিতে তোমরা যদি প্রয়োজনীয়
ব্যবস্থা না নাও,
তাহলে জাতিসংঘে নিযুক্ত
বাংলাদেশের সব সৈনিককে ফেরত
পাঠানো হবে। আমার কাছে মনে হলো,
এটা জাতিসংঘের সদর দফতরের
ল্যাঙ্গুয়েজ হতে পারে না।
সেনাপ্রধান যখন
রেগেমেগে কথা বলছিলেন, তখন বিমান
বাহিনীর প্রধান জিজ্ঞেস করলেন,
তাহলে আপনি কী করতে চাচ্ছেন?
সঙ্গে সঙ্গেই জেনারেল মইন বললেন—
স্যার, আপনাকে বঙ্গভবন যেতে হবে।
বিমান বাাহনীর প্রধান বললেন,
আমরা তো এভাবে বঙ্গভবনে যেতে পারি
রাষ্ট্রপতি কল
করলে আমরা যেতে পারি। একথার
পরপরই সেনাপ্রধান বললেন, স্যার
আপনাকে কল করবেন। কফি পর্ব
শেষে এয়ার চিফ বিমান
বাহিনী ঘাঁটি কুর্মিটোলা পরিদর্শনে গ
কিছুক্ষণ পর তত্কালীন
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশি নির্মমতা

লিখেছেন এমজেডএফ, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১১



সমগ্র যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে বিক্ষোভের ঝড় বইছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিক্ষোভ দমনের প্রচেষ্টা চালালেও তেমন সফল... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ ০১

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হিটস্ট্রোক - লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়

লিখেছেন ঢাকার লোক, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:০৭

সাধারণত গরমে পরিশ্রম করার ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এতে দেহের তাপমাত্রা অতি দ্রুত বেড়ে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে।

হিটস্ট্রোক জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহকে অবিশ্বাস করার সংগত কোন কারণ নাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩



সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা নাই। বীগ ব্যাং এ সব কিছু হতে পারলে আল্লাহও হতে পারেন। সব কিছুর প্রথম ঈশ্বর কণা হতে পারলে আল্লাহও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×