> জার্মানীতে আপন বোনের
সাথে বিয়ে ও
যৌনতাকে বৈধতা দেয়া হয়েছে কিছুদিন
আগে । জাপান , কোরিয়ার অনেক মা-ই
তাদের সন্তানদের সাথে শারীরিক
সম্পর্ক স্থাপন করেন । আর পাশ্চাত্যের
সমাজবিজ্ঞানীরা ইসলামের চার
বিয়ে নীতিকে কটাক্ষ করেন !
> ডেনমার্কে পশু জবাই করা নিষিদ্ধ ।
এতে নাকি পশু অধিকার লঙ্ঘিত হয় !
কিন্তু সেই ডেনমার্কেই এনিম্যাল
ব্রোথেল বা পশু পতিতালয় চালু
রয়েছে !
> আরবে বিশ্বে অন্যান্য নাকি ভিন্ন
ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয়
স্বাধীনতা নেই ! আমার প্রশ্ন ,
সৌদি আরব বা আরব
রাষ্ট্রগুলোতে কর্মরত লাখ লাখ
খ্রিস্টান ও হিন্দু কি তাহলে ইসলাম
ধর্ম
পালন করে ? তা কিন্তু করে না । ভিন্ন
ধর্মাবলম্বীরা সৌদি আরবে কতটুকু
ধর্মীয় স্বাধীনতা ভোগ
করবে সেটা আগে থেকেই
বলে দেওয়া হয় । কিন্তু
ফ্রান্সে মহিলাদের হিজাব
করা নিষেধ , ফ্রান্সসহ বেশ
কয়েকটি পাশ্চাত্য দেশে মসজিদের
ভেতর শূকরের
মাথা কেটে ফেলে রাখা হয়েছে!
এটাই পাশ্চাত্য প্রদর্শিত ধর্মীয়
স্বাধীনতার নমুনা !
> আইএস পশ্চিমাদের শিরচ্ছেদ
করছে এটা নৃশংসতা , মানবাধিকার
লঙ্ঘন ! কিন্তু গাজায় ঈদের
দিনে বিমান হামলা চালিয়ে ২৪
জনকে হত্যা করাটা খুব স্বাভাবিক
ব্যপার !
এটাই পাশ্চাত্য প্রদর্শিত সভ্যতা আর
মানবাধিকারের রুপরেখা । এই
রুপরেখায় মুসলিম তদুপরি তৃতীয়
বিশ্বের
দেশগুলোর জন্য কিছুই রাখা হয়নি ।
সন্ত্রাসবাদ দমন ও গণতন্ত্রের
নামে একের পর এক মুসলিম
দেশকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত
করা হয়েছে । আবার কোন জিহাদিস্ট
অর্গানাইজেশন যখন এসবের
প্রতিবাদে পশ্চিমা দেশগুলোতে হামলা চালাচ্ছে ,
তখনই শুরু হচ্ছে কান্নাকাটি ।
একটা কথা অবশ্যই মনে রাখা উচিত ,
সংঘাত কখনোই সমাধান
হতে পারে না ।কিন্তু সবকিছু
নীরবে সঁয়ে যাওয়াটাও কোন সমাধান
নয় । বর্তমান বিশ্ব যতদিন পর্যন্ত
না সবার
জন্য নিরাপদ হচ্ছে , ততদিন পর্যন্ত
এই
ধরণের হামলা বন্ধ হবে না । নতুন
নতুন
অর্গানাইজেশনের উদ্ভব হবে । কেউ
আটকাতে পারবে না । কথিত
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে গত ১৪
বছরের
লড়াইয়ে এই জিনিসটা অন্তত
ভালভাবেই বুঝে যাওয়ার
কথা পশ্চিমা পলিসি মেকারদের ।