উইকিলিকস। বেশ কিছুদিন ধরে আলোচিত একটি নাম। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক মিশনের গোপন নথি প্রকাশকে কেন্দ্র করে উইকিলিকস এখন সবার কাছে পরিচিত। যুক্তরাষ্ট্র উইকিলিকসের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছে। হিলারির ভাষায়, "এসব তথ্য ‘চুরির’ সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
উইলিকস এর ব্যাপারে সচেতন মানুষেরা এখন দু'ভাগে বিভক্ত,
প্রথম দলের মতে উইলিকস একটি চমতকার কাজ করেছে। ভবিষ্যতে আরো করুক। মার্কিন পরাশক্তি এবার মহা ফ্যাসাদে পড়বে।
দ্বিতীয় দলের মতে এসব আমেরিকার কূটচাল। আমেরিকার মতো তথ্য প্রযুক্তিতে উন্নত এমন একটি রাষ্ট্রের গোপন নথি প্রকাশ অবিশ্বাস্য। উইকিলিকস ব্যবহার করে বিরুদ্ধ শক্তিকে বশীভূত রাখার আমেরিকার চলমান প্রচেষ্টার একটি অংশ মাত্র বলেই তারা মনে করেন।
আমি কিন্তু দু'দলের কোনটিই না। যতটুকু বুঝি আর পড়েছি তাতে মোটামুটি এইটুকু-ই জানলাম উইকিলিকস আড়াই লাখ গোপন নথি প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে আফগান যুদ্ধের প্রায় ৯২ হাজার গোপন নথি রয়েছে।
আজকের পোস্টের উদ্দেশ্য ছিল হোয়াইট হাউজের প্রতিক্রিয়া নিয়ে। হিলারি ক্লিনটন একদিকে যেমন বলছেন‘নথি প্রকাশের ঘটনায় অনেকের জীবন ঝুঁকির মুখে পড়েছে। আমাদের জাতীয় নিরাপত্তাও হুমকির মুখে পড়েছে।' তেমনি এটাও বলছেন যে 'নিজেদের স্বার্থে সব দেশ একে অপরের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করতে পারে বা সম্পর্ক তৈরি করতে পারে। তাই উইকিলিকস যেসব তথ্য প্রকাশ করেছে, তা যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতিতে প্রভাব ফেলবে না।'
এবার আসি প্রেসিডেন্ট ওবামার প্রেস সচিবের কথায়। তিনি বললেন ‘এসব গোপন তথ্য চুরি ও প্রকাশ করা এক ধরনের অপরাধ।’ অপরদিকে তিনিও বলছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতিতে কোন প্রভাব ফেলবেনা।
অন্যদিকে ইরানে হামলা করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি সৌদি আরবের অনুরোধ সম্পর্কে ইরানের প্রেসিডেন্ট আহমেদিনেজাদকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেছেন, এসব কিছুই মুসলিমদের মাঝে বিভেদ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে।
তবে কি উইকিলিকস আমেরিকার ষড়যন্ত্র?
নাকি সত্য সত্যই আমেরিকার আতংক?
সম্মানিত ব্লগারগণের নিকট মতামত জানতে চাচ্ছি। আমি কিন্তু এ নিয়ে দ্বিধায় আছি। আপনার কী মনে হয়?
বাঁধ ভাঙার আওয়াজের সব ব্লগার ভাইয়া ও আপুকে আমাদের সবুজ গাঁয় শীতের পিঠাপুলির আমন্ত্রণ, ফ্রম কোর অব হার্ট।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১০ ভোর ৬:৫৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




