আওয়ামীলীগ যে বিগত নির্বাচনে বিপুল ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে তার প্রধান কারণ ছিল তাদের দেয়া যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রতিশ্রুতি।আমি নিজেও আওয়ামীলীগকে এই কারণেই ভোট দিয়েছিলাম। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখন গণ মানুষের দাবি।কট্টর জামাত সমর্থক ছাড়া আর সবাই এটা এক বাক্যে স্বীকার করবেন।কিন্তু আমাদের প্রত্যাশার তুলনায় অনেক অনেক ধীর গতিতে চলছে এই বিচার।আওয়ামীলীগের অনেকেই এখন এই ধীর প্রক্রিয়ায় আস্থা রাখতে পারছেন না।আর সাধারণ জনগণ তো বিচারের আশা অনেকটা ছেরেই দিয়েছেন।অনেকে বলছেন, লীগ ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য জনগণের সামনে এই যুদ্ধাপরাধের বিচারকে মূলো হিসেবে ঝুলিয়ে দিবে।বাজারে লীগ-জামাত গোপন চুক্তির কথাও শুনা যাচ্ছে।তাছাড়া অন্যান্য জাতীয় ও অর্থনৈতিক বিষয়েও লীগের কাজে মানুষ চরমভাবে বিরক্ত।

অন্যদিকে বিএনপি মুখে যাই বলুক, তারা যে এই বিচারের বিরুদ্ধে সেটা এখন ওপেন সিক্রেট।বিএনপি পুনরায় ক্ষমতায় গেলে অনেকটা নিশ্চিতভাবেই নিজামী, মুজাহিদ আর গোলাম আজমেরা মুক্তি পাবে।আবার জাতীয় পতাকা উড়বে রাজাকারদের গাড়ীতে।যুদ্ধাপরাধের বিচার মুখ থুবড়ে পড়বে।তাছাড়া, দেশের মানুষ এখনও তারেক জিয়া আর হাওয়া ভবনের কথা ভুলে যায় নি।ভুলে যায়নি ৫ বার দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সেই রেকর্ডের কথা, দেশব্যাপি বোমা বাজি আর সন্ত্রাসের কথা।

সব মিলিয়ে আগামী নির্বাচনে দেশের সাধারণ মানুষকে এক কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে।আমি ব্যক্তিগতভাবে এখনও সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছি , কাকে ভোট দিব।এখন আপনাদের কাছে আমার জিজ্ঞাসাঃ

আপনি আওয়ামীলীগ বিএনপি অথবা যেই দলের সমর্থক হোন না কেন, অথবা নিরপেক্ষ হোন , দেশের একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আপনি কাকে ভোট দিবেন??আমি আসলে আপনাদের কাছে একটা সাজেশন চাচ্ছি।দয়া করে, দলীয় চিন্তার বাইরে এসে একটু ভেবে উত্তর দিবেন।
(জামাত সমর্থকেরা উত্তর না দিলেও হবে।কারণ আমি জানি আপনারা দলীয় স্বার্থের বাইরে কোন কিছু ভাবতে পারেন না।)

সব শেষে আর একটা কথা, ব্লগে কিছু লোক আছে যারা তাদের মতের সাথে অন্যের মতের মিল না হলে কোন কারণ ছাড়াই গালাগালি শুরু করে।তাদের বলতে চাই, আমার ব্লগে যুক্তিহীন, তালগাছবাদী, অদ্ভুত, উদ্ভট কিংবা আমার মতের সাথে ১৮০ ডিগ্রি কোণে যা ইচ্ছা তাই বলেন।আমার কোন সমস্যা নাই।বরং আপনাকে আন্তরিকভাবে স্বাগতম।কিন্তু গালাগালি বা অশ্লীল মন্তব্য সহ্য করা হবে না।