আপনি আপনার কম্পিউটারে বা মোবাইলে ঢুকে, ইন্টারনেটের সাথে সংযোগ স্থাপন করলেই, আপনার ইচ্ছানুযায়ী বা অনিচ্ছাসত্ত্বে, প্রত্যক্ষভাবে বা পরোক্ষভাবে, অনুমতিক্রমে বা বিনা অনুমতিতে, আপনার ডিভাইস বা আপনার ডিভাইসের যেকোন এপ্লিকেশন/সফটওয়ার/প্রোগ্রাম, নিজে থেকেই- বিশ্বের যেকোন প্রান্তের, এক বা একাধিক হার্ডওয়ার বা সফটওয়ার বা সংস্থা বা ব্যক্তির সাথে সংযোগ স্থাপন করে যাবেই!
কখনো এটা শিডিউলড/রেগুলার টাস্ক, কখনো এটা আপনার নিজের (ডিভাইস/প্রোগ্রাম) ভালোর জন্য, কখনো অন্যের ভালোর জন্য, কখনো ইন্টারনেটের ভালোর জন্য!
লীগ/দল/পার্টি এসবের মধ্যে যেমন মৌলিক পার্থক্য খুব কম, হোয়াটসএপ এবং এর প্রতিদ্বন্দীদের মধ্যেও একই অবস্থা। বিশ্বজুড়ে আর বাংলাদেশে সম্প্রতি এই ইস্যুতে যে ঝড় বয়ে যাচ্ছে, একে হুজুগে ঝড় ছাড়া আমি আর কিছুই বলি না।
আমেরিকা বা ইউরোপে বসে না হয় সমীকরণ অনেক বদলে যায়; কিন্তু বাঙ্গালজাতির কোটি কোটি মানুষ যা করছে, সেটাতে হয় প্রচণ্ডরকম হাসি পাওয়া উচিত, কিংবা এদের মূর্খামি দেখে প্রচণ্ড রাগ হওয়া উচিত। এরা না করে দেশের কোন সরকারি চাকরি, না করে সামরিক/বেসামরিক গোপনীয় কোন সার্ভিস, না এদের কোন অবৈধ ব্যবসা আছে, না এরা কোন কতৃপক্ষ বা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এদের নিরাপত্তা ও প্রাইভেসির বালাই-ই নাই।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মিডিয়া এই সংক্রান্ত প্রতিবেদন ছাপিয়ে "ফেসবুকে"-ই পোস্ট করার পরে বিশ্বের উজবুকেরা সেই পোস্টের নিচেই মন্তব্যে নিজেদের প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব জাহির করে যাচ্ছে। তাদের উদ্দেশ্যে আমি একটা কথাই বলেছি। এতই যদি সিকিউরিটি ও প্রাইভেসির কনসার্ন থাকে, তবে হয় গুহামানব হয়ে যাওয়া উচিত, নতুবা নিজের স্বয়ংসম্পূর্ণ ও পৃথক তথ্যপ্রযুক্তিব্যবস্থা উদ্ভাবন/চালু করা উচিত, যেখানে নিজের স্যাটেলাইট, নিজের ইন্টারনেট (উত্তর কোরিয়া বা ইরানের মত), সবকিছু নিজের থাকবে।
মানুষ অপ্রয়োজনীয় এবং সুড়সুড়িদায়ী বিষয় নিয়ে বেশি মাতামাতি করে।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৫৮