somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইয়ে জামিন ইন্ডিয়াকা ইন্ট্রিগাল পার্ট হে , হোয়াট ইজ নোম্যান্স ল্যান্ড ? দেয়ার বিন নো নোম্যান্স ল্যান্ড সিন্স ইন্দ-পাক ওয়্যার ইন ৭১ !! B:-) B:-) X(( X((

২১ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ৮:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কিছুদিন আগে জাফলং গিয়েছিলাম স্টাডি টুরে। কুয়েট থেকে ইলেকট্রিকাল ৪র্থ বর্ষের আমরা ৪৫ জন , ২ জন শিক্ষক সহ। হই হই রই রই করে নেমে পড়লাম নদীতে , পানি ছোঁড়াছুড়ি আর ছবি তোলা। আর সানগ্লাসের ভিতর দিয়ে আড়চোখে স্বল্প বসনা ললনাদের অবলোকন করা। :P
জায়গা টা ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন , তাই বি জি বি আর বি এস এফ ২ দলের অবস্থান ই বেশ সতর্ক ! একটা ব্যাপার দেখে কেমন কেমন লাগল আর তা হল , বি এস এফ এর অন্তত এক ডজন সদস্য উপস্থিত আর বি জি বির মাত্র ২/৩ জন উপস্থিত। বি এস এফ এর যেখানে একজন ক্যাপ্টেন সেখানে সর্বচ্চ কর্মকর্তা , বি জি বির শুধু ২/৩ জন সৈনিক বাদে কোন অফিসার নেই। মাঝে মাঝে বি এস এফের ক্যাপ্টেন বি জি বির সৈনিক গুলারে কি যেন বলতেছে আর সৈনিক গুলা গোলামের মত শুনে যাচ্ছে, যেন নিজেদের ক্যাপ্টেন!

যাই হোক , গোসল সেরে উঠছি এমন সময় বি এস এফের সেই ক্যাপ্টেন আমার আর আমার এক বন্ধুর দিকে এগিয়ে এলেন সদলবলে। প্রত্যেকের হাতে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল, এমন একটা ভাব যেন যুদ্ধে যাচ্ছে। :-*

ক্যাপ্টেন বেটা বলে উঠল - তুম লোগ কাহাসে আ রাহে হ ?
হিন্দিতে কথা শুনে মেজাজ গরম হয়ে গেল। যেন আন্তর্জাতিক ভাষা বলে কিছু নেই বা হিন্দি শিখে রাখতে আমরা বাধ্য।

-- উই আর কামিং ফ্রম খুলনা ইউনিভার্সিটি অভ ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি।

ব্যাটা প্রথমে ভেবেছিল আমরা ও সেই সব গ্রামের সহজ সরল মানুষ যাদেরকে তারা নিত্য গুলি করে মারে। 'ইউনিভার্সিটি' কথাটা শুনে একটু দমে গেল মনে হল। আসছিল ভাব নিতে , কিন্তু আমাদের সাথে সুবিধা করে উঠতে পারবে না - এটা ভেবেই মনে হয়।

একটু নরম সুরে বলল , বাংলাদেশ ছে আয়ে হ অউর ইন্ডিয়া মে ঘুম রাহে হ ? ( হালায় এখনও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যাতে আমরা হিন্দি তে উত্তর দিই আর হিন্দিকে একটু যাতে উঠিয়ে দিই )

-- লুক ক্যাপ্টেন , উই সি নো বর্ডার পিলার অর ফেন্স হিয়ার , সো উই জাস্ট থট দ্যা বর্ডার লাইজ এহেড অভ আস আপন দ্যা হিলস। উই থট দিস ইজ নো ম্যান্স ল্যান্ড। ( বাস্তবিক আমরা জানি ইন্ডিয়ার সব সীমান্তে কাঁটা তারের বেড়া দেয়া , কিন্তু ওখানে কোন বেড়া না দেখে আমরা ভাবলাম বেড়া আরও সামনে , পাহাড়ের উপরে । তাই আমরা যেখানে আছি সেটা বাংলাদেশের অংশ বা সর্বচ্চ নো ম্যান্স ল্যান্ড)
এতক্ষণ সানগ্লাস পরেই ছিলাম , কিন্তু ক্যাপ্টেন কুত্তাটা যা বলল উত্তরে , সানগ্লাস খুলে অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম ! :-*

-- ইয়ে জামিন ইন্ডিয়াকা ইন্ট্রিগাল পার্ট হে , হোয়াট ইজ নোম্যান্স ল্যান্ড ? দেয়ার বিন নো নোম্যান্স ল্যান্ড সিন্স ইন্দ-পাক ওয়্যার ইন 71 !! (বেটা পুরা খেপে গেছে , কিন্তু খেপার কি হল তাই বুঝালাম না )

আসে পাশে তাকিয়ে দেখলাম আমাগো বলদ বি জি বি গুলা কি করছে , দেখি ওরা দূরে দাঁড়িয়ে অসহায় চোখে আমাদের কথোপকথন দেখছে। এই দেখে নিজেকে আর সিকিউরড মনে হল না , তাই কথা বাড়ালাম না। বি জি বির চোখের সামনে ধরে নিয়ে গেলেও ওরা কিছুই বলবে না , এই আশঙ্কায়।
বি জি বির দিক থেকে একটু সাহস পেলে ওর "ইন্ডিয়াকা ইন্ট্রিগাল পার্ট" ধুয়ে দিতাম। স্বল্প শিক্ষিত বা অশিক্ষিত বাংলাদেশী দের মেরে মেরে স্পর্ধা বেড়ে গেছে শুয়োরদের।
কিন্তু আমাদের নতজানু পররাষ্ট্র নীতির জন্য আমাদের ও মনের ক্ষোভ মনে চেপে বলতে হল , ওকে ক্যাপ্টেন , উই আর লিভিং দিস প্লেস। X(X(

এই ঘটনায় ২ তা জিনিস খেয়াল করুন।

১। ইন্ডিয়ান দের দাম্ভিকতা ( ওরা আমাদের পিঁপড়া মনে করে )
২। বি জি বির নিস্ক্রিয়তা ( ওরা দাঁড়িয়ে দেখছিল আমাদের অহেতুক হয়রানী করছে বি এস এফ , কিন্তু ওরা একটু এগিয়ে ও এল না। পরে মনে হয়েছিল , আমরা এ কোন দেশে বাস করি ? যে রাষ্ট্র আমাদের বিদেশি রাষ্ট্রের হাত থেকে নিরাপত্তা ও দিতে পারে না। আজ এ দেশে একজন আমেরিকান নাগরিক মারা যাক , কাল ড্রওন হামলা হবে । এই হল না দেশ , দেশের মাটিতে এবং বিদেশে সব সময় বন্ধুর মত পাশে থাকবে ! )
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ৮:২৭
৩২টি মন্তব্য ৩০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগটা তো ছ্যাড়াব্যাড়া হয়ে গেলো :(

লিখেছেন সাখাওয়াত হোসেন বাবন, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৫৭



আমি আমার ব্লগিং শুরু করি প্রথম আলো ব্লগে লেখালেখির মাধ্যমে। ব্লগটির প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। কারণ প্রথম আলো ব্লগ আমায় লেখালেখিতে মনোযোগী হতে শিখিয়েছে । সে এক যুগ আগের কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

লুঙ্গিসুট

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:২৪



ছোটবেলায় হরেক রঙের খেলা খেলেছি। লাটিম,চেঙ্গু পান্টি, ঘুড়ি,মার্বেল,আরো কত কি। আমার মতো আপনারাও খেলেছেন এগুলো।রোদ ঝড় বৃষ্টি কোনো বাধাই মানতাম না। আগে খেলা তারপর সব কিছু।
ছোটবেলায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

লিখেছেন নতুন নকিব, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:২৫

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

ছবি কৃতজ্ঞতা: অন্তর্জাল।

একবার শাইখুল হাদিস মুফতি তাকি উসমানী দামাত বারাকাতুহুম সাহেবকে জিজ্ঞেস করা হল, জীবনের সারকথা কী? উত্তরে তিনি এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

=মৃত্যু কাছে, অথবা দূরেও নয়=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



©কাজী ফাতেমা ছবি
দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে দিয়ে বলি, আমারও সময় হবে যাবার
কি করে চলে যায় মানুষ হুটহাট, না বলে কয়ে,
মৃত্যু কী খুব কাছে নয়, অথবা খুব দূরে!
দূরে তবু ধরে নেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

সবুজ চোখের মানুষের ধাঁধা

লিখেছেন করুণাধারা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৯



এই ধাঁধার নাম সবুজ চোখের মানুষের ধাঁধা; নিচের লিংকে এটার ভিডিও আছে।

স্বৈরশাসকের বন্দী

এই ধাঁধাটি আমার ভালো লেগেছিল, তাই অনেক আগে আমার একটা পোস্টে এই ধাঁধাটি দিয়েছিলাম। কিন্তু সেই পোস্টে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×