somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হায়রে আমার দুঃখিনী বর্ণমালা

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১০:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ঋতু ভিত্তিক ভাষা প্রেমিকের মত আমাকেও খোলস থেকে বের হয়ে আসতে হল যেমনটা হতে হয় প্রতিবছর। ফেব্রুয়ারি এলে বাংলাভাষা বিষয়ক লেখার ভাল পাঠক পাওয়া যায় অথবা অন্য কোন অদৃশ্য কারণে পত্র-পত্রিকাতেও এসময় এবিষয়ে ধারাবাহিক লেখার পসরা দেখতে পাওয়া যায়। ভাবতে ভালই লাগে। ভালবাসা যখন মুহূর্তে এসে পৌছায় তখন ২৪ ঘণ্টার একটি পুরো দিবস যেমন ভালবাসার জন্য মন্দ নয় তেমনই মন্দ নয় ভাষার জন্য পুরো একটা মাস। মনে আমাদের যাই থাকুক না কেন অথবা বছরের অন্যান্য মাসে আমরা যাই করি না কেন ফেব্রুয়ারি এলে বাংলাভাষার প্রতি ভালবাসার এমন গদগদ একটা ভাব মন্দের ভাল বৈকি! আমি নিজেও এর বাইরে নই। আমিও তো আর আট দশ জনের মতো একজন বাঙ্গালী দুঃখিত বাংলাদেশী।

ইংরেজরা এদেশ থেকে ছয় দশক আগেই বিদায় নিলে কি হবে তাদের আভিজাত্যের রেশ এখনও রয়ে গেছে আমাদের অন্তরে। কি শিক্ষা, কি প্রশাসন, কি আদালত, একটা পর্যায় পর্যন্ত বাংলার ব্যবহার থাকলেও সেই পর্যায়ের পরে অভিজাত এলাকায় প্রবেশ করার পর কি যে হয় বাংলা আর ভাল লাগে না। বাংলায় কথা বললে বা লিখলে যেন ইজ্জত থাকে না। কে চায় নিজের ইজ্জত হারিয়ে খ্যাত হয়ে থাকতে। প্রখ্যাত ভাষা বিজ্ঞানী ও সাহিত্যিক হুমায়ুন আজাদ বলেছেন- "কত টাকা জমলে বাংলাকে ঘৃণা করতে ইচ্ছে হয়।" আর আমি বলি কতটা শিক্ষা অর্জন করলে বাংলাকে ঘৃণা করতে ইচ্ছে হয়! বার ক্লাস পাশ করে অনার্সে ভর্তি হওয়ার পর পরই আমাদের কি যেন হয় আমাদের আর বাংলায় জ্ঞান চর্চা করতে ভাল লাগে না। বাংলায় পর্যাপ্ত বই নেই তাই ইংরেজিতে অর্জিত জ্ঞান বাংলায় নাকি ঠিক মত প্রকাশ করা যায় না। ঠিকমত প্রকাশ করতে ঐ ইংরেজিই নাকি ভরসা। ল্যাটিন, গ্রীক বা আরবি ভাষা থেকে এই সব জ্ঞান ইংরেজিতে অনুবাদ না করা হলে আমাদের যে কি অবস্থা হতো ভাবতেই গায়ে কাটা দিয়ে ওঠে। জাপান, চীন, কোরিয়া, থাইল্যান্ডের মত দেশ নিজেদের ভাষায় জ্ঞানার্জন, চর্চা আর প্রকাশ করতে পারলেও বাংলার মত একটা সমৃদ্ধ ভাষা না কি তা পারে না। অনেকে আবার যুক্তি দেখান জাপান আজ পরাশক্তি না হলেও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগেও তারা পরাশক্তি ছিল। তারা আমাদের চেয়ে উন্নত। তাদের অর্থনীতি শক্তিশালী। এসবই নাকি তাদের মাতৃভাষা ব্যবহারের কারণ। আমার প্রশ্ন তারা কি ভিনদেশী ভাষায় জ্ঞান চর্চা করে উন্নত হয়েছে এবং অতঃপর নিজের ভাষায় জ্ঞানার্জন করা শুরু করেছে, না কি নিজের ভাষায় জ্ঞানার্জনের মাধ্যমেই উন্নত জাতি বা পরাশক্তিতে পরিণত হয়েছে। ইতিহাস কি বলে?

অনেকে বলেন তাদের ভাষায় পর্যাপ্ত বই রয়েছে ফলে তাদের মাতৃভাষায় জ্ঞান অর্জন বা চর্চা করতে অসুবিধা হয় না। তো আমাদের ভাষায় বই নেই কেন? জাপানের বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রফেসর ক্লাসে কোন একটি বিষয়ে উদাহরণ দেন তার নিজের গবেষণা থেকে প্রাপ্ত তথ্য থেকে এবং যথারীতি তা সেদেশেরই। আমরা কি করছি? আমরা বিদেশী বই পড়ছি এবং সেখান থেকে ভিনদেশী উদাহরণ পড়ছি যা পরবর্তীতে আমাদের দেশের মাঠ পর্যায়ে কোন কাজে আসছে না। যে দেশের সবচেয়ে বড় নদীটি আমাদের দেশের সবচেয়ে ছোট নদীটির চেয়েও ছোট সেই দেশের বই থেকে প্রাপ্ত নদী ব্যবস্থাপনা যে আমাদের দেশে অচল এই সহজ সরল কথাটিও আমরা বুঝতে অক্ষম কেবলমাত্র বিদেশী বই, বিদেশী ভাষা, বিদেশী জ্ঞান আর বিদেশী উদাহরণের উপর বেশি নির্ভরশীল হয়ে থাকার জন্য। ফলে ভিনদেশ সম্পর্কে অনেক জানলেও নিজের দেশ মানুষ, সমাজ, সংস্কৃতি, সনাতন জ্ঞান ইত্যাদি সম্পর্কে আমাদের শিক্ষিত প্রজন্ম জানছে না কিছুই। তাহলে এদেশে নতুন জ্ঞান সৃষ্টির ভবিষ্যৎ কি? ভিনদেশীরা কি এদেশে গবেষণা করে আমাদের ভাষায় বই লিখে দেবে? তবেই আমরা আমাদের ভাষায় শিক্ষার্থীদের শেখাবো?

বাংলায় নাকি বৈজ্ঞানিক নিবন্ধ লেখা যায় না, লেখা গেলেও কেমন জানি একটা খাপছাড়া লাগে। আমার এক শিক্ষককে ভিনদেশী একটা জার্নাল তাঁর বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধের এবস্ট্রাক্ট বা সারমর্ম যখন তাঁর মাতৃভাষা তথা বাংলায় পাঠাতে বলে তখন তিনি যে কি বিড়ম্বনার মধ্যে পড়েছিলেন তা দেখার সুযোগ আমার হয়েছি। এই সেদিনও কোরিয়ায় পিএইচডি থিসিস জামা দেয়া আমার এক বন্ধুর কাছ থেকে জানলাম থিসিসটি ইংরেজিতে জমা দিতে পারলেও এবস্ট্রাক্ট এর কোরিয়ান ও বাংলা অনুবাদ সেখানে যোগ করতে হয়েছিল। তার মানে হল ঠেলায় পড়লে বাঙ্গালী পারে। আমরা নিজেদের একটা দেশ পাওয়ার পরও সেই ঠেলাটি দিতে পারি নি। এই কথাটিই এসেছে আশির দশকে লেখা-লেখি করা ছেড়ে দেয়া এক লেখকের সাক্ষাতকারে। তাঁর কথার মর্মার্থ হল- এদেশ যখন যারা শাসন করেছে তখন প্রথমেই তারা প্রশাসনের ভাষা হিসেবে তাদের নিজের ভাষাকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। সর্বশেষের ইংরেজ প্রশাসনের উদাহরণ তো একেবারে জলজ্যান্ত। বাঙ্গালী চাকরির আশায় তা শিখেও নিয়েছে। কিন্তু বাঙ্গালীরা যখন তাদের দেশের প্রশাসনের ক্ষমতা পেল তখন ঘটল এর ব্যতিক্রম। ইংরেজিই বহালতবিয়তে চলতে থাকলো। স্বৈরাচার এরশাদ যখন আইন করে প্রশাসনের সর্বস্তরে বাংলার প্রচলন করেন তখন এনিয়ে হাস্য-রসিকতা কম হয় নি। এখনও হয়। অনেক উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা এরশাদের চৌদ্দ গোষ্ঠী উদ্ধার করে ছাড়েন যখন বাধ্য হয়ে বাংলায় প্রতিবেদন করতে হয়। যারা নিজের কন্যা বা পুত্রের বিয়ের কার্ড ইংরেজিতে ছাপেন তাদের পক্ষে একটা পুরো একটা বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ বা প্রশাসনিক প্রতিবেদন বা বিচারের রায় বাংলায় লেখা সহজ কথা নয়।

আমার দেখা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক কম্পিউটার ব্যবহার করলেও তাদের সিংহভাগই বাংলা ব্যবহার করতে পারেন না (বাংলার এই দশা শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য)। কারণ আর কিছুই নয় কারণ তাদের বাংলার প্রয়োজন হয় না। তারা গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করেন ইংরেজিতে, পড়েন এবং পড়ান ইংরেজিতে। শ্রেণীকক্ষে বাংলা বললেও তা ঐ ক্রিয়া পদ পর্যন্ত, টার্ম গুলো ইংরেজিতেই থাকে। টার্মগুলোর ব্যাখ্যা বাংলায় কি হতে পারে তা নিয়ে নেই কোন মনোযোগ। উচ্চশিক্ষা স্তরে বাংলায় লিখা পাঠ্য বই নেই বললেই চলে। যা আছে তাও নাকি নানা দোষে পুষ্ট। দোষ দিতেই আমাদের বেশি ভাল লাগে। বাংলায় ভাল বই নেই বিধায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী বাংলাকে দূরে রাখতে পছন্দ করেন আবার পাঠক নেই বলে লেখকগণ (বিশেষত বিজ্ঞানের) বাংলায় লিখতে আগ্রহী নয়। আবার অনেকের কাছেই বিশ্ববিদ্যালয় অর্থ বিশ্বমানের জ্ঞান সৃষ্টির প্রতিষ্ঠান নয় বরং বিশ্ববিদ্যালয় অর্থ বিশ্ব পর্যায়ের শিক্ষা প্রদানের প্রতিষ্ঠান। ফলাফল এই যে সেখানে স্থানীয় অর্থাৎ দেশী ভাষা বাংলা ব্যবহার শুধু অনুচিতই নয় হাস্যকরও বটে যদিও সেখানে বাংলা ভাষা জানে না এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর (কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া)। এমন অনেক সেমিনারে উপস্থিত হবার সুযোগ আমার হয়েছে যেখানে আলোচক, সমালোচক, দর্শক সবাই বাংলা জানে। আলোচনার প্রেক্ষাপট বা গবেষণার ক্ষেত্রও বাংলাদেশ অথচ আলোচনা গুরু-গম্ভীরভাবে বাংলায় না হয়ে ভিনদেশী ইংরেজিতে চলে। বাংলা ভাষার জন্য এর চেয়ে মর্মান্তিক আর কি হতে পারে?

নোকিয়া মোবাইল ফোন তাদের সেটে বাংলা যোগ করার পর আগ্রহ-বসে আমার সেটে বাংলা যোগ করে নিলাম। কেন জানি না নিজের মধ্যে একটা উচ্ছলতা বোধ করছিলাম এটা ভেবে যে আমার সেটে আমার ভাষা। একদিন সেটে ইন্টারনেট সেটআপ দিতে সেটটিকে নিয়ে গেলাম দেশের বিখ্যাত একটি ফোন কোম্পানির কাস্টমর কেয়ারে। তিন একবার আমার দিকে তাকান তো আর একবার সেটের দিকে তাকান। তারপর বিরক্তি নিয়ে সেটটিতে ইংরেজিভাষা সেটআপ দেয়ার অনুমতি চান। এই হল অবস্থা। একই অবস্থা মাইক্রোসফট উইন্ডোজের ক্ষেত্রে। ইংরেজির চেয়ে বাংলাটাই নাকি বেশি কঠিন। বাংলা-ভাষাভাষীর এই বিশাল বাজার ধরে রাখতে তারা তাদের অপারেটিং সিস্টেমে পৃথিবীর অন্যান্য বহুল ব্যবহৃত ভাষার মত বাংলা যোগ করেছে আর আমরা করছি তাকে অবহেলা। হাতের লক্ষ্মী পায়ে ঠেলা আর কাকে বলে!

এই একুশ শতকে এসেও পৃথিবী ব্যাপী চলছে এক নব্য দাস প্রথা। আজ থেকে প্রায় দুই হাজার বছর আগে আফ্রিকা থেকে মানুষ ধরে প্রথমে গারদে পুরে পরবর্তীতে গলায় লোহার শিকল পরিয়ে সভ্য (!) ইংরেজরা অসভ্য (!) আফ্রিকানদের কিছুটা পোষ মানানোর পর নিজের দেশে দাস হিসেবে বিক্রি করত। তারপর পোষ মেনে গেলে নিজেদের সুবিধার জন্য ইংরেজি ভাষাটাও শিখিয়ে দিত। তখন দাস ব্যবসায়ীদের ছিল পেশী শক্তি তারা সেটিই ব্যবহার করেছে। আর আজ একুশ শতকে এসে নব্য দাস-ব্যবসায়ীরা ব্যবহার করছে অর্থ আর বুদ্ধি শক্তি। গবেষণা শেখানোর নামে, জ্ঞান অর্জনের নামে, বৈদেশিক অর্থ উপার্জনের নামে তারা আজ ডলারের গন্ধ শুকিয়ে শুকিয়ে পাচার করে নিয়ে যাচ্ছে এদেশের উদ্যমী কর্মীদের (যেহেতু তাদের শ্রমজীবী শ্রেণীর জন্য ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে ) আর উদ্যমী মেধাবীদের (যেহেতু তারা দ্রুত আরও দ্রুত আরও নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করতে চায়, নতুন প্রযুক্তি মানেই নতুন ব্যবসার সূচনা আর উন্নতি)। তাই তারা কখনও ডিভি লটারির নামে কখনো স্কলারশিপের নামে এদেশে খেটে খাওয়া অথবা উদ্যমী মেধাবীদের অদৃশ্য ডলারের শিকলে বেঁধে হ্যামিলনের বাঁশিয়ালার মত মহনীয় ডলারের মূর্ছনায় মোহিত করে নিয়ে যাচ্ছে। সে দেশে যেয়ে আমাদের মেধাবীরা তার সেরা মেধাটি দিয়ে জ্ঞান সৃষ্টি করলেও সর্বোচ্চ কর্ম উদ্যমের সময়টা তারা বিদেশে ব্যয় করার পর দেশে ফিরে উপযুক্ত পরিবেশ না পাওয়ায় কর্ম উদ্যম হারিয়ে ফেলায় সেই জ্ঞান আর কোন কাজে আসছে না। এই কর্মীরা অথবা মেধাবীরা ইংরেজি জানলে বা ইংরেজিতে পড়াশোনা করলে তাদের অনেক অনেক সুবিধা। তাই আমাদের কানে প্রতিনিয়ত শোনানো হচ্ছে ইংরেজি না জানলে তুমি মূর্খ, তুমি আন্তর্জাতিক নও। ইংরেজি শেখানোর জন্য তাদের কত মায়া। কেউ ইংরেজি শেখাতে বাণিজ্যকেন্দ্র খুলে বসেছে, কেউবা আপনি কতটা শিখেছেন তার প্রমাণের সনদ দিতে ব্যস্ত। এভাবেই সারা বিশ্বে আজ ইংরেজি ভাষা বিপণন কেন্দ্র গুলো চলছে রমরমা ভাবেই।

বলা হয় কোন জাতি চেনা যায় তার গ্রন্থাগার দেখে। বলা হয় কোন জাতিকে ধ্বংস করতে চাইলে তার গ্রন্থাগার ধ্বংস করে দাও। পেশীশক্তির প্রাধান্য ছিল যে যুগে এসব সে যুগের কথা। আধুনিক যুগে বলা হয় কোন জাতিকে যদি ধ্বংস করতে চাও তো তার ভাষা ব্যবহারে ক্ষেত্র ধ্বংস করে দাও। ঠিক সেই কাজটিই এদেশে করেছে ফরাসীরা, ইংরেজরা আর চেয়েছে পাকিস্তানীরা। ফরাসীরা যখন তাদের ভাষা প্রশাসনে চালু করেছে তখন এদেশের মুসলমানেরা অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের চেয়ে দ্রুত তা শিখে নিয়ে চাকরী প্রাপ্ত হয়ে আয়েশি জীবনযাপন করেছে। ইংরেজরা যখন তাদের ভাষা প্রশাসনে চালু করেছে এদেশের অমুসলমানেরা অন্যান্যদের চেয়ে দ্রুতই তা শিখে নিয়ে চাকরী প্রাপ্ত হয়ে আয়েশি জীবনযাপন করেছে। পাকিস্তানীরা তাদের ভাষা চালু করতে পারেনি বটে কিন্তু ইংরেজির বৃত্ত থেকে তারা কখনও বেরও হতে পারে নি। পারার কথাও নয়। কিন্তু আজ ভাষার নামে নাম যে দেশের সে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, অফিস-আদালতে, বাণিজ্যকেন্দ্রে বাংলা ভাষা অবহেলিত এবং বিলুপ্তির পথে ভাবা যায়?

এপর্যন্ত পড়ার পর যারা ভাবছেন আমি ইংরেজি বিদ্বেষী তাদের বলি আমি নিজেও ইংরেজি জানার পক্ষে কিন্তু তা কেবলমাত্র ভিন্ন-ভাষাভাষীদের সাথে তথ্য আদান প্রদানের জন্য এবং তা কোন ভাবেই বাংলাকে অবহেলা করে বা বাদ দিয়ে নয়। বর্তমানে যারা মনে করেন ইংরেজি ছাড়া জীবন অর্থহীন তাদের জন্য সতর্কবার্তা- পরিসংখ্যান বলছে আমেরিকাকে টপকে চিন হতে যাচ্ছে পরবর্তী পরাশক্তি। এর ধারাবাহিকতায় আছে ভারত আর ব্রাজিল। ফলে ইংরেজি শিখিয়ে এবং শিখে বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যের আর আয়েশি জীবনযাপনের দিন অস্তমিত হতে যাচ্ছে। ইউরোপ আমেরিকায় দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে চিনা ভাষার প্রসার বাড়ছে। ভবিষ্যতে আমরা কি সেই নব্য পরাশক্তির ভাষা শিখতে শুরু করবো না কি আমাদের দুঃখিনী বাংলাকে আরও ভালভাবে আকরে ধরবো সে সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় আসতে আর বেশি দেরি নেই এবং বিষয়টি আমারা যতটা তাড়াতাড়ি অনুধাবন করতে পারবো ততই মঙ্গল।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:০২



ইউটিউব হুজুর বললেন, মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে। তখন নাকি নিজ যোগ্যতায় ঈমান রক্ষা করতে হয়। আল্লাহ নাকি তখন মুমিনের সহায়তায় এগিয়ে আসেন না। তাই শুনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯



গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

জানা আপুর আপডেট

লিখেছেন আরাফআহনাফ, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।



বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ধুর বউ কে শাড়ি উপহার দিলেন ব্যারিস্টার সুমন। বাটার প্লাই এফেক্ট এর সুন্দর উদাহারন।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



এক দেশে ছিলো এক ছেলে। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার। তার নাম ব্যারিস্টার সুমন। তিনি একজন সম্মানিত আইনসভার সদস্য। তিনি সরকার কতৃক কিছু শাড়ি পায়, তার জনগণের মাঝে বিলি করার জন্য।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×