এমএ আমিন খান নামের এক ব্যক্তি ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট তারানা হালিমের একটি ফেসবুকে পোস্টের নিচে কমেন্ট করেন, ‘আপা, পর্নোগ্রাফির সাইটগুলো বন্ধ করে দেন। এ বিষয়ে আপনারা আইন করেছেন। এখন এসব সাইটগুলো বন্ধ করাটাও খুব জরুরি। যুব সমাজকে পর্নোগ্রাফির ছোবল থেকে রক্ষা করতে না পারলে তাদের কাছে তথ্য-প্রযুক্তির সুফল পৌঁছাবে না।
আমিনের ওই আবেদনে সাড়া দিয়ে তারানা হালিম উত্তর দেন, ‘আমরা এই সপ্তাহের মধ্যেই সকল পর্নোগ্রাফিক সাইট বন্ধ করে দেব।’
হাসির ইমো দিয়ে এমএ আমিন খান লেখেন, ‘আপনার জন্য দোয়া করতে ১০ রাকাত নামাজ মানত করলাম। আল্লাহ আরো বেশি করে আপনাকে কাজ করার সামর্থ দিক। জয় বাংলা।’
এই কমেন্ট আর কমেন্টের উত্তরের উপর ভিত্তি করে গতকাল অনলাইনে এবং আজকে কয়েকটি পত্রিকায় দেখলাম চলতি সপ্তাহের মধ্যেই বাংলাদেশে সব পর্নো সাইট বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট তারানা হালিম।
‘চলতি সপ্তাহেই সকল পর্নো সাইট বন্ধ করে দেব’
আমার ধারনা,এই ঘোষনা শুনে,বাংলাদেশের বেশীরভাগ সচেতন মানুষই খুশী হয়েছিলো। হয়তো অনেকে ভিপিএন ইউজ করে ব্যবহার করতে পারবে।কিন্তু কিছুটা হলেও পর্ন দেখা থেকে বিরত রাখা যাবে।
কিন্তু আশ্চর্য একদিন যেতে না যেতেই, ঐ পোষ্টের নিচে সেই কমেন্টও নাই,আবার কমেন্টের যেই উত্তর অ্যাডভোকেট তারানা হালিম দিয়েছিলেন,তাও নাই।এ ব্যাপারে আর কোনো কথাও নাই। অনেকেই এই বিষয়ে কমেন্টে প্রশ্ন করলেও আর কোন উত্তর পাওয়া যায় নি।এর মানে কি? আদৌ কি পর্নো সাইট বন্ধ হবে না? উনি কি সিদ্ধান্ত পালটে ফেলেছেন?
তাহলে কি প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট তারানা হালিমের এই ঘোষনা দিয়ে চমক সৃষ্টি করতে চেয়েছেন। পরে অন্য কোথাও থেকে বাধা পেয়েছেন?