রামপাল প্রকল্পের বিরোধিতায় যা বলা হচ্ছে বাস্তবের সঙ্গে তার মিল নেই। ক’দিন আগে বড়পুকুরিয়া পরিদর্শনের একটা সুযোগ আসে। নির্দিষ্ট দিন অমি অসুস্থ হয়ে পড়ি। জ্বর ঠান্ডায় সফর বাতিলের চিন্তা করি। কিন্তু সংশ্লিষ্টের পরামর্শে পরিদর্শনে যাই। কিন্তু বড়পুকুরিয়ার দূষিত পরিবেশ নিয়ে যত কথা শুনেছি, পত্রিকায় পড়েছি তাই ভয়ে ছিলাম অসুখ আরো বাড়ে নাকি। পর্যাপ্ত ওষুধ সাথে নিয়ে গেছি। কিন্তু যাওয়ার পর আমার বন্ধ নাক খুলে যায়। আমি সুস্থবোধ করি। আপনারও যেতে পারেন সুস্থ হবেন!
না,না ,কথা গুলো আমার নয়। কথাগুলো বলেছেন মাননীয় সংসদ সদস্য মো. তাজুল ইসলাম।
কয়লাখনি দর্শনে স্বাস্থ্য ফিরলো সাংসদের!
তারমানে আপনারা যারা সুস্বাস্থের জন্য সমুদ্র সৈকত অথবা সবুজঘেরা পাহাড়ে ঘুরতে যেতে চাচ্ছেন,তার আর দরকার নাই।এখন থেকে ঘুরে আসবেন কয়লাখনিতে।আপনার সকল অসুখ ভালো হয়ে যাবে।পর্যটন মন্ত্রণালয় বিষয়টি প্রচার করে মানুষকে বেশী বেশী কয়লা খনি এলাকায় ভ্রমনে উৎসাহিত করতে পারে।
এদিকে কয়েকদিন আগে , কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে বিরোধীতাকারীদের সমালোচনা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, উদ্ভট চিন্তা-ভাবনা এদেশের মানুষের আছে। জানি না এটা কীভাবে আসে! কয়লার ট্রলার ডুবে গেছে নদীতে, বলছে, পানি নাকি সব দূষিত হয়ে গেছে! আমি জানি না এটা কতটা সার্টিফাইড। অথচ কয়লা দিয়ে পানি দূষণমুক্ত হয়। আমরা কয়লা দিয়ে দূষণমুক্ত করে পানি খেতাম।
অপরাধীদের সুষ্ঠু জীবনে ফিরিয়ে আনতে হবে : প্রধানমন্ত্রী
যেহেতু কয়লা দিয়ে পানি দূষণমুক্ত হয়, সুতরাং আশা করি আমাদের সকল মন্ত্রী-এমপি গ্লাসে এক টুকরা কয়লা দিয়ে পানি খাবেন।এতে তারা দূষণমুক্ত পানি পান করে পানিবাহিত সকল রোগ বালাই থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন। এছাড়া সবচেয়ে দূষিত বুড়িগংগা নদীতে কয়েকটি কয়লার ট্রলার ডুবিয়ে নদী দূষণমুক্ত করার উদ্যোগ নেবেন।
আশ্চর্য হবো না, যদি দু চারদিনের মধ্যে আমাদের কোনো বিজ্ঞ মন্ত্রী/এমপি এরকম বক্তব্য দেন, 'আমার ৩০ বছরের পুরোনো রোগ কোনো ক্রমেই ভালো হচ্ছিলো না।দেশ-বিদেশের অনেক ডাক্তার দেখিয়েছি।কিন্তু লাভ হয়নি।পরে তিন বেলা এক টুকরা করে কয়লা নিয়মিত খেয়েছি।এখন আমি সম্পুর্ন ভালো। সুতরাং রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের বিরোধিতায় যা বলা হচ্ছে বাস্তবের সঙ্গে তার মিল নেই।কয়লা কোনোই ক্ষতি করে না।বরং মানব শরীরে কয়লা অনেক উপকারী জিনিস।'
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:৪২