এই পোষ্টটা প্রকাশ হওয়ার পর দুটি ব্যাপার হতে পারে।
১)সামু পোষ্টটা সরিয়ে দিতে পারে।তবে বিশ্বাস করি সামু মানবতার পক্ষে।তাই অনুরোধ থাকবে না সরিয়ে দিতে।
২)অনেকেই আমাকে মনে মনে বা কমেন্টে গালাগালি করতে পারে,নব্য ছাগু,রাজাকারের সহযোগী,লেঞ্জা বেরিয়ে গেছে বলে।
আমি মনে করি জামাত-শিবির দুটো কারনে কখনই সাধারন মানুষের দল হতে পারবে না দুটো কারনে।
১) মউদুদীবাদের কারনে।অধিকাংশ আলেম-ওলামার মনে করেন মউদুদীবাদ একটি ভ্রান্ত মতবাদ।
২) একাত্তরে বিতর্কিত পদক্ষেপের কারনে।
কিন্তু তার মানে তাদের বিনা বিচারে খুন,গুম করা হবে, তাদের জন্য মানবতা ,ন্যায়বিচার থাকতে পারবে না,এটা কোনো সভ্য রাষ্ট্রে হতে পারে না।
যাই হোক,উপরের ছবিতে যে মেয়ে কেক সামনে নিয়ে বসে আছে, সে হলো, ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি ড.মু. শফিকুল ইসলাম মাসুদের মেয়ে নুমাইরার। উনিশ মাস কারাবাসের পর গত পরশুদিন তার মুক্তি পাওয়ার কথা ছিলো। হাইকোট থেকে ‘নো এরেষ্ট এন্ড নো হ্যারেজ’ নির্দেশনা ছিলো। কিন্তু বিচারাধীন সকল মামলায় জামিন ও হাইকোর্ট থেকে হয়রানি না করার নির্দেশ থাকার পরেও এভাবেই ডিবি পুলিশ জামায়াত নেতা ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ কে নম্বরপ্লেটহীন গাড়িতে করে তুলে নিয়ে যায়। রোববার রাত ৮টা ১০ মিনিটে তিনি মুক্তি পাওয়ার পর কেন্দ্রীয় কারাগারের গেট থেকে সাদা পোশাকে পুলিশ একটি নম্বরবিহীন গাড়িতে করে তাকে তুলে নিয়ে গেছে। এসময় আরও দুই আইনজীবী এডভোকেট নুরুজ্জামান ও আশরাফুজ্জামান শাকিল উপস্থিত ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে আরো জানা যায়, মাসুদকে আটকের সময় তার সমর্থকদের সাথে আটককারীদের ধস্তাধস্তি হয়। তবে, কারা মাসুদকে আটক করেছে এ বিষয়ে এখনো পরিস্কার করে কিছু জানা যায়নি।এদিকে ড. মাসুদকে গ্রেফতারের ব্যাপারে ঢাকা মহানগর পুলিশের মুখপাত্র উপ-পুলিশ কমিশনার (জনসংযোগ) মারুফ হাসান সরদার শীর্ষ নিউজকে বলেন, তাকে কারা ধরে নিয়েছে, তা আমার জানা নেই।
অপেক্ষা বাড়ছে নুমাইরার।
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ কি হত্যা বা হত্যার পরিকল্পনার সাথে জড়িত আছেন,নাকি বাস পুড়িয়ে মানুষ মেরেছেন,নাকি চাদাবাজি ,ধর্ষন করেছেন? এগুলোর সাথে জড়িত থাকলে অবশ্যই তার বিচার হতে হবে।এজন্য তাকে রিমান্ডের পর রিমান্ড নেয়া হয়েছে। ১৯ মাস কারবন্দী ছিলেন।কিন্তু হাইকোট থেকে ‘নো এরেষ্ট এন্ড নো হ্যারেজ’ নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও এভাবে নম্বরপ্লেটহীন গাড়িতে করে তুলে নেয়া কি কোনো সভ্য দেশে হতে পারে?
বাবা ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের কোলে নামিরা।
জেলে যাওয়ার কিছুদিন পর তার আরেক সন্তান নুমায়ির জন্মগ্রহন করে।