প্রথম আলোর তিন আগের রিপোর্ট অনুযায়ী ১৪ ‘চাপাতি’ হামলায় তিন বছরে নিহত ১৪।গতকাল আরেকজন খুন হয়েছে। এঁদের মধ্যে ব্লগার, প্রকাশক, অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্র, পুলিশ ও ভিন্নমতের ব্যক্তিরা রয়েছেন। কিন্তু দু:খের বিষয় কেবল তেজগাঁওয়ে ওয়াশিকুর রহমানকে হত্যার পর এক হত্যাকারীকে ধরে ফেলেন লাবণ্য হিজড়া। এ ছাড়া আর কাউকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা যায়নি।পরবর্তিতে তার কি হলো,সে কাদের দলের,দলের নেতা কে,কিছুই বের করা সম্ভব হয়নি। অথচ এসব হামলার পর সরকার এবং পুলিশ কখনো বিএনপি-জামাত,কখনো আনসারুল্লাহ বাংলা টিম,কখনো জেএমবি,কখনো অন্য নামের জংগি সংগঠন দায়ী বলে বক্তব্য দিয়েছে।আর এসব হামলা হওয়ার পর রিটা খাজের থেকে বানী শুনি,আই এস নাকি দায় স্বীকার করেছে।আবার এক শ্রেনীর চুলকানিওয়ালদের কাছে শুনি,এগুলো ধর্মের নামে,বেহেশতের হুরের আশায় নাকি এসব হামলা করা হয়।অথচ দিনদুপুরে,সিসি ক্যামেরার সামনে হত্যা করা হলেও,কাউকেই যেখানে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি, সুতরাং খামাখা জংগিদের কাজ চোখ বুজে বলা মানে বাংলাদেশের মানুষদের ছোটো করা।এদেশের মানুষ ধর্ম প্রান।কিন্তু এরকম উগ্র নয় যে,ভিন্নমত হলেই তাকে হত্যা করবে।দুয়েকটা ব্যতিক্রম থাকলেও থাকতে পারে।তবে তা প্রমান সাপেক্ষে হতে হবে।
এখন প্রশ্ন হলো,উপরে যাদের ছবি দেখছেন,তাদের এই ছবি দিয়েই প্রমান করা যায়,এরা চাপাতিওয়ালা এবং একটি বিশেষ ছাত্র সংগঠনের কর্মী। এরা কোন বেহেশতী হুরের আশায় চাপাতি হাতেনিছে?অথবা কোন বেহেশতী দালানের কথা বলে,এদের মগজ ধোলাই করছে এদের নেতারা।