আমার একটা প্রশ্ন, কেন কভিড-১৯ ভাইরাস স্ক্রিন করে পজিটিভ বা নেগেটিভ বুঝার ব্যাবস্থা এখনও সব জায়গায় নেয়া হচ্ছে না? ভিটামিন এ ক্যাপসুল যেমন সহজলভ্য, অলি গলি চিপায় পাওয়া যায়, এই স্ক্রিনিং কিটও অতি সত্ত্বর সব জায়গায় পৌঁছানো উচিৎ। অন্তত মানুষ জানতে পারবে তার অবস্থা কী।
কেন এটা করা হচ্ছে না? মানুষ পজিটিভ দেখতে পারলে আতঙ্কিত হয়ে পরবে তাই? পর্যাপ্ত চিকিৎসা দেবার সক্ষমতা আমাদের নেই তাই? তাই আমরা চুপচাপ "কিচ্ছুটি হবে না" ভেবে মনে মনে মনকলা খেতে থাকব?
ইতিমধ্যে অ্যাটিপিকাল নিউমোনিয়া বেশ কয়েকটি জায়গায় ধরা পরছে। আমার ক্ষুদ্র মস্তিষ্কের হিসাব অনুযায়ী এই মাসের পর খুব খারাপ অবস্থা যদি শুরু হয়, তখন আমরা কী করব? স্ক্রিনিং কিট তখনও আলাদা করে রেখে দিব? জানতেই দিব না আসলে কী হচ্ছে?
এত বড় বড় উন্নত দেশে যা অবস্থা হচ্ছে সেখানে আমরা নিশ্চিন্তে বসে আছি, কিচ্ছুটি হবে না চিন্তা করে। আমি মনে প্রানে চাই আমার দেশ সুস্থ থাকুক, মানুষ গুলো সুস্থ থাকুক, কিন্তু চাইলেই তো হবে না, চাওয়া পূর্ণ না হলে তখন কী করব আমরা সে ব্যাপারে কি একটুও ভাবব না?
সবচেয়ে বেশি ভুগবে নার্স এবং ডাক্তাররা, সবাই হাত গুটিয়ে বসে থাকলেও আমাদের সেটা করার উপায় থাকবেনা। মরতে মরতে হলেও চিকিৎসা দিয়ে যেতে হবে। তা আমরা করব কিন্তু সামগ্রিক অবস্থা চিন্তা করে "কিচ্ছুটি হবে না" ভাব করে বসে থাকলে চলবে?
কভিড-১৯ নিয়ে আমরা অনেক কনফিডেন্ট ... আমাদের কিছু হবে না, এটা নাস্তিকদের অসুখ, শুধু বয়স্ক মানুষ মারা যাচ্ছে ইত্যাদি ইত্যাদি...কি সুন্দর ট্রল করছি, মিম বানাচ্ছি। মানে এত আত্মবিশ্বাস কোথা থেকে আসে? স্টুপিডিটির লিমিট নাই কোন যাকে বলে আর কি!!!!
খরগোস বিপদ আসতে দেখলে চোখ বন্ধ করে বসে পরে ভাবে সে যেহেতু কিছু দেখতে পাচ্ছে না তাই ওকেও কেউ দেখতে পাচ্ছে না, আমরাও কি ঠিক একই কাজ করে যাচ্ছি না?
নাকি আমরা ভিতরে ভিতরে আসলে বুঝতে পারছি কিছুই করার নেই, তাই বুঝ দিয়ে যাচ্ছি কিছু হবে না হবে না বলে? আমরা কি ভিতরে ভিতরে হাল ছেড়ে দিয়েছি আর বুঝ দিয়ে যাচ্ছি নিজেদের?
সত্যি কথা হল, আমাদের আসলেই কিচ্ছুটি করার নেই। মানেন বা না মানেন এই বিপুল ঘনবসতি সম্পন্ন দেশে এই ভাইরাস আসার পর "কিছু না হলে" সেটা বিশাল এক মিরাকল হবে, আর কিছু যদি হয়, অবস্থা এতটা খারাপ হবে হয়ত আমিও থাকব না সেটার ব্যাপারে কথা বলতে বা স্ট্যাটাস লিখতে আর আপনিও থাকবেন না সেটা পড়তে। তখন?
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১২:৫৫