somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মুশাসি কহেন ‘‘Raanjhanaa’’ একটি অতীব শিক্ষনীয় মুভি ;)

২৮ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


‘‘আশিকি টু’’ এর পর চারিদিকে এখন ‘‘Raanjhanaa’’ মুভির জয়জয়কার :D কিছুদিন আগে চারিদিকে আহা উহু শুইনা আশিকি টু দেইখা যারপরনাই হতাশ হইছিলাম। এইবার একটু নিশ্চিত হইতে চাইলাম যে এই মুভিতে আসলেই খাওয়ার মত কিছু আছে কিনা :-/

যাকেই জিজ্ঞেস করলাম সেই দেখি প্রশংসায় পঞ্চমুখ! রুমমেট স্ব উদ্যোগে আশিকি টু দেখাইয়া হতাশ করছিলো। সে কইলো এই মুভি দেখলে তার প্রতি আমার বিশ্বাস সুদে আসলে ফিরে আসবে :-* এই মুভি নাকি যুবক সমাজের জন্য ব্যাপক শিক্ষনীয় তাই দেখা শুরু করলাম সোনাম কাপুর ;) আর কলা ভেরি ডী খ্যাত নায়ক ধানুশের ‘‘Raanjhanaa’’দেখা! দেখার পর মাথায় একটা কথাই ঘুরতেছিলো- এই মুভি দেইখা আমরা কি শিখলাম? প্রথমবার শিক্ষনীয় তেমন কিছু না পাইলেও রুমমেটের সাথে আবার বসলাম খাতাকলম নিয়ে B-) তারই ফসল এই পোষ্ট। খানিকটা স্পয়লার হজমের অভ্যাস থাকলে আসেন দেখি আমরা কি কি শিখলাম ‘‘Raanjhanaa’’ মুভি দেইখা।

১। ‘‘লাভ এট ফার্স্ট সাইট’’ একটি মারনব্যাধি। এই রোগ ল্যাদাকালেও ঘটিতে পারে, এজন্যে আপনার নাকের নিচে গোফের রেখা উঠা জরুরী নয়। ধানুশ এই রোগে আক্রান্ত হয় পাঁচ বছর বয়সে। জীবানু সোনাম কাপুরের বাসায় পুজার চাঁদা তুলতে গিয়ে ;)

২। এই রোগের একমাত্র জীবানু মেয়েরা স্বয়ং আপনাকে এই মারনব্যাধি থেকে বাঁচানোর মহান দায়িত্ব নিজের কাধে তুলে নেন :| সোনাম গোটা মুভিতে চেষ্টা করে গেছেন ধানুশকে সুস্থ করে তোলার :)

৩। রোগের প্রতিষেধক হিসেবে মেয়েরা আপনাকে নানাভাবে ওষুধ দিয়ে বাঁচাতে চাইবেন। যেমন এই মুভিতে নায়িকা দায়িত্ব নিয়ে ষোলোটা থাপ্পর, একটি চুমু ;) এবং অবশেষে শেষ প্রতিষেধক হিসেবে তাহার মুখের বাসি থুথু দিয়ে নায়ককে বাঁচাতে চেষ্টা করেন।

৪। আপনি ব্লেড দিয়ে হাত কাটলে মেয়েরা ক্ষনস্থায়ীভাবে পটে যেতে পারে তবে তা কোনোভাবেই দীর্ঘস্থায়ী নয় :-/

৫। এই ক্ষনস্থাথায়ী প্রভাব ভুলতে মেয়েকে আট বছরের জন্য খালার বাড়ি পাঠায় দিলেই সে আপনাকে ভুলে যাবে X( এমন ভোলা ভুলবে যে তার সামনে রজনীগন্ধার স্টিক ধইরা দাঁড়ায় থাকলেও সে আপনারে চিনবে না !

৬। ‘‘লাভ এট ফার্স্ট সাইট’’ এমন এক ভয়ংকর রোগ,যে রোগে- নির্জন যায়গায় যুবতী নারী আপনার কাছে নিজেকে সমর্পন করলেও আপনি সৎ নীতিবান পুলিশ অফিসার থাকবেন কিন্তু ওদিকে যার জন্য সৎ থাকছেন ঠিকই চুম্বন বিদ্যা প্রয়োগে আরেক পুরুষকে বশীকরন করবে ;) এই মুভিতে এই পরপুরুষের ভূমিকায় ছিলেন অভয় দেওল।

৭। খালার বাড়ি থেকে ফিরে মেয়ে আপনাকে দীর্ঘদিন পর দেখে না চিনলেও ভয় পাওয়ার কিছু নেই। সহজ পন্থা আছে ;) এই মুভিতে সেই শিক্ষাই দেয়া হয়েছে। সোনাম কাপুর আট বছর পর ধানুশকে সামনাসামনি দেখে না চিনলেও সে তার দোতালার বারান্দার নিচে দাঁড়িয়ে দুই মিনিট ইশারা ইঙ্গিত করতেই চিনে ফেলে B-)

৮। সেই আদিকাল থেকে মেয়েরা কার্যসিদ্ধিতে পুরুষদের ব্যবহার করে। এই মুভিতেও এর ব্যাতিক্রম হয় না। নায়িকা ছলে বলে কৌশলে নায়ককে তার নতুন প্রেমিক হাসিলে কাজে লাগায় X( অনেকটা পরীক্ষার আগে ভালো ছাত্রের সাথে ফ্রেন্ডশিপ করে নোটপাতি সংগ্রহের মতো, পরীক্ষা ফুরাইলেই প্রয়োজন শেষ ;)

৯। এই রোগে আক্রান্ত হলে স্মৃতিভস্ম ঘটতে পারে। যেমন মুভির মতো আপনি আপনার নিজের বিয়ের দিনও ভুলে যেতে পারেন ! এটা এই রোগে আক্রান্তদের জন্য খুবই স্বাভাবিক ঘটনা এবং রোগের চূড়ান্ত লক্ষন :|

১০। এমতাস্থায় মেয়েরা আপনাকে এই রোগ থেকে মুক্তি দিতে সর্বস্ব নিয়োগ করবে :-/ যেমন এই মুভিতে ধানুশের বেহাল অবস্থায় সোনাম কাপুর দয়াপরবশ হয়ে তাকে দুনিয়া ছাড়া করবার প্ল্যান করে-এবং সেই প্ল্যান গোপনে জেনে যাওয়ার পরেও ধানুশ হাসিমুখে মরতে চলে যান :(

১১। অবশেষে আপনি হোয়াই দিস কলাভেরি ডি এর হিসেব মেলাইতে বসবেন। লাভক্ষতির হিসাব মিলিয়ে ভাববেন এই জীবন অর্থহীন /:) আপনার মনে হবে অর্থহীন জীবন বাঁচিয়ে রেখে লাভ নেই। যেমন এই মুভিতে ধানুশ যখন গুলি খেয়ে হাসপাতালে মৃত্যুশয্যায় তখন নায়িকা হাসপাতালে আসেন। তার পাশে বসেন। কিন্তু তখন আর নায়কের মুড থাকে না বেঁচে উঠার X( কারন ততক্ষনে সিনেমার আড়াই ঘন্টা শেষ! বেঁচে উঠলেও পরিচালক আর মুখ দেখানোর চান্স দিবেন না।
৪৪টি মন্তব্য ৪৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মানুষের জন্য নিয়ম নয়, নিয়মের জন্য মানুষ?

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৭



কুমিল্লা থেকে বাসযোগে (রূপান্তর পরিবহণ) ঢাকায় আসছিলাম। সাইনবোর্ড এলাকায় আসার পর ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি আটকালেন। ঘটনা কী জানতে চাইলে বললেন, আপনাদের অন্য গাড়িতে তুলে দেওয়া হবে। আপনারা নামুন।

এটা তো... ...বাকিটুকু পড়ুন

একটা গাছ কাঠ হলো, কার কী তাতে আসে গেলো!

লিখেছেন নয়ন বড়ুয়া, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:০৬



ছবিঃ একটি ফেসবুক পেইজ থেকে

একটা গাছ আমাকে যতটা আগলে রাখতে চাই, ভালো রাখতে চাই, আমি ততটা সেই গাছের জন্য কিছুই করতে পারিনা...
তাকে কেউ হত্যা করতে চাইলে বাঁধাও দিতে পারিনা...
অথচ... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। কালবৈশাখী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:২৪



গত পরশু এমনটি ঘটেছিল , আজও ঘটলো । ৩৮ / ৩৯ সে, গরমে পুড়ে বিকেলে হটাৎ কালবৈশাখী রুদ্র বেশে হানা দিল । খুশি হলাম বেদম । রূপনগর... ...বাকিটুকু পড়ুন

একজন খাঁটি ব্যবসায়ী ও তার গ্রাহক ভিক্ষুকের গল্প!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৪


ভারতের রাজস্থানী ও মাড়ওয়ার সম্প্রদায়ের লোকজনকে মূলত মাড়ওয়ারি বলে আমরা জানি। এরা মূলত ভারতবর্ষের সবচাইতে সফল ব্যবসায়িক সম্প্রদায়- মাড়ওয়ারি ব্যবসায়ীরা ঐতিহাসিকভাবে অভ্যাসগতভাবে পরিযায়ী। বাংলাদেশ-ভারত নেপাল পাকিস্তান থেকে শুরু করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×