somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হযরত উসমানের রাঃ(*) হত্যার প্রকৃ্ত ঘটনা প্রকাশ করে আমিরুল মু’মিনিন হযরত আলী(আঃ)বলেন(নাহাজুল বালাগাহ থেকে খোৎবা নং-৩০)-১

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


" আমি যদি তাকে হত্যা করার আদেশ দিয়ে থাকি তা হলে আমিই তার হত্যাকারী।আর আমি যদি হত্যাকান্ডে বাধ দিয়ে থাকি তবে আমি তার সাহায্যকারী ছিলাম।অবস্থা এমন দাড়িয়েছে,যে ব্যাক্তি তাকে সাহায্য করেছে সে এখন আর বলতে পারেনা যে,সে ঐ ব্যাক্তি অপেক্ষা উত্তম যে তাকে পরিত্যাগ করে চলে গিয়েছিল।আবার যে তাকে পরিত্যাগ করেছিল সেও বলতে পারেনা যে,সে তার সাহায্যকারী অপেক্ষা উত্তম।আমি তার বিষয়াবলী তোমাদের কাছে খুলে বলছি।সে (হযরত উসমান)ক্ষমতা কুক্ষিগত করেছে এবং সম্পদ আত্নসাৎ করেছে।এ কাজগুলো সে অত্যন্ত ন্যাককারজনক ভাবে করেছিল।তোমরা তার এসব করমকান্ডের প্রতিবাদ করেছো কিন্তু তাতে অনেক বাড়াবাড়ি করে ফেলেছো।সম্পদ আত্নসাতকারী ও প্রতিবাদীদের মধ্যে যা ঘটেছে তার প্রকৃত সত্য আল্লাহই জানেন"।
--------------------------------------------------------------------------------------------

(*) উসমান ইবনে আফফান উমাইয়া বংশের ১ম খলিফা।তিনি ৭০ বছর বয়সে ১লা মুহাররাম,২৪ হিজরী সনে খেলাফতে আরহন করেন।১২ বছর শাসঙ্কারয পরিচালনার পর ৩৫ হিজরি সনের ১৮ই জিলহজ তারিখে জনগনের হাতে নিহত হন।ইহুদী গোরস্থান ‘হাশশ কাওকাবে’ তাকে দাফন করা হয়(পরে এই ইহুদী গোরস্থানকে ‘জান্নাতুল বাকীর’ সাথে মিলিয়ে দেয়া হয়)।
এ সত্য অস্বীকার করার জো নেই যে,উসমানের দুরবলতা এবং তার অফিসারগনের(যাদের সবাই ছিল উমাইয়া গোত্রের)কুকরম মুলত তার হত্যার কারন।উসমানকে হত্যা করার জন্য মুসলিমগনের সরবসম্মত ঐক্যমতের পিছনে আর কোন কারন ছিলনা।মুসলিমগনের মধ্যে তার ঘরের মুষ্টিমেয় কয়েকজন ছাড়া আর কেউ তাকে রক্ষারথে এগিয়ে আসেনি।তাকে হত্যার সিধ্বান্তের কালে মুসলিমগন তার বয়স,তার জ্যোষ্ঠতা,তার মান-সম্ভ্রম এমনকি রাসুলের(সাঃ) বিশিষ্ট সাহাবা হওয়ার বিষয়টিও বিবেচনা করেছিল।কিন্তু তার করমকান্ড পরিস্থিতিকে এমনভাবে ঘোলাটে করেছিল যে,তার প্রতি সহানুভুতিশীল হয়ে একটা লোকও তার পক্ষে মত প্রকাশ করেনি।রাসুলের(সাঃ) উচ্চ মরযাদাসম্পন্ন সাহাবাগনের প্রতি যে হারে নিরযাতন আর বাড়াবাড়ি করা হয়েছিল তা বরননাতীত এবং তাতেই আরব গোত্রগুলোর মধ্যে শোক ও ক্রোধের উত্তাল উরমি বয়ে চলছিল।প্রত্যেককেই ক্রুদ্ব করা হয়েছিল এবং সকলেই ঘৃ্নাভরে তার ঔধ্বত্য ও ভ্রান্ত ক্রিয়াকলাপ দেখে যাচ্ছিল।আবুজর গিফারীকে(রঃ) নিরমমভাবে অপমান করা হয়েছিল(তাকে উসমান মরুভুমিতে নিরবাসনে পাঠালে সেখানেই তার মৃত্যু হয়) এবং গিফার গোত্রকে বহিস্কার করায় হুজায়েল গোত্র তাদের বন্ধুগোত্রগুলো রুষ্ট ছিল।আম্মার ইবনে ইয়াসিরের পাজরের হাড় ভেঙ্গে দেয়ায় বনি মখযুম ও তাদের বন্ধু বনি জুহরাহ ক্রোধে বারুদ হয়েছিল।মুঃ ইবনে আবিবকরকে হত্যার ষড়যন্ত্র করায় বনি তায়েম ক্ষিপ্ত ছিল।এসব গোত্রের অন্তরে সরবদা প্রতিশোধের ঝড় বইতো।অন্যান্য শহরে মুসলিমগন উসমানের অফিসারদের হাতে নিগৃহিত হয়ে অসংখ্য অভিযোগ করেছিল কিন্তু অভিযোগগুলোকে পাত্তা দেয়া হয়নি।অফিসারগন সম্পদ আর জাঁকজমকের নেশায় যা ইচ্ছে তাই করে বসতো।এমনকি যাকে খুশী যখন তখন অপমানিত,লান্সিত ও ধ্বংস করে দিত।রাষ্ট্রের কেন্দ্র থেকে কোন প্রকার তদন্ত বা শাস্তির ভয় তাদের ছিলনা।তাদের অত্যাচারের যাতাকল থেকে নিষ্ক্রিতি পাবার জন্য মানুষ চিৎকার করে কেঁদেছিল কিন্রু তাদের কান্না শোনার মত কেউ ছিলনা। মানুষের মাঝে ঘৃ্না আর অসন্তোষ ধুমায়িত হয়ে উঠেছিল কিন্তু এ রোষানল প্রশমিত করার মতো কেউ ছিলনা।রাসুলের(সাঃ)সাহাবীরা যখন দেখলেন শান্তি বিনষ্ট হয়ে গেছে,প্রশাসনে মারাত্নক বিশৃংখলা দেখা দিয়েছে এবং ইসলামের মুল বৈশিষ্ট পরিবরতিত হয়ে যাচ্ছে তখন তারা ক্ষোভে সুঃখে দারুন বিরক্ত হয়ে পড়লেন।দীনহীন ও বুভুক্ষ লোকেরা যখন এক টুকরো রুটির জন্য হাহাকার করছিল,উমাইয়া গোত্রের লোকেরা তখন সম্পদের স্তুপে গড়াগড়ি যাচ্ছিল।খেলাফত পরিনত হয়েছিল উদরপুরতি আর সম্পদ স্তুপিকরনের হাতিয়ার। ফলে এসব অত্যচারিত,নিরযাতিতম নিগৃহীত ও বুভুক্ষু জনগন উসমানের হত্যার ক্ষেত্র তৈ্রী করতে পিছে পড়ে থাকেনি।খলিফার বিভিন্ন পত্র ও বারতায় দেখা যায় যে,কুফা,বসরা ও মিশর থেকে বহু মানুষ তাদের সমস্যা নিয়ে মদিনায় জড় হইয়েছিল এবং মদিনাবাসীদের সহানুভুতি অরজনে সমরথ হয়েছিল।মদিনাবাসিদের এহেন আচরন দেখে উসমান মুয়াবিয়াকে লিখেছিলঃ
‘মদিনার জনগন মতবিরোধী হয়ে গেছে;আমার অনুগত থাকার বিশ্বাস ভঙ্গ করেছে।কাজেই তুমি আমাকে দ্রুতগামী বলিষ্ট অশ্বারোহী সৈন্য পাঠাও’।
এ পত্র পেয়ে মুয়াবিয়াহ যে কারযক্রম গ্রহন করেছে তা থেকে সাহাবাগনের অবস্থা অনেকটা অনুমেয়।ঐতিহাসিক তাবারী লিখেছেনঃ
‘যখন মুয়াবিয়ার হাতে উসমানের পত্রখানা পৌছালো তখন সে বিষয়টি গভীরভাবে চিন্তা করে দেখলো এবং রাসুলের(সাঃ)সাহাবাগনের বিরোধিতা প্রকাশ্যে করা সঠিক পদক্ষেপ বলে বিবেচনা করেনি।কারন মদিনায় সাহাবাগনের ঐকমত্য সম্পরকে সে ভালভাবে অবগত ছিল’।
এ সকল অবস্থার বিবেচনায় উসমানের হত্যাকে কতিপয় অতি উৎসাহী লোকেরা তাৎক্ষনিক অনুভুতির ফল মনে করে মুষ্টিমেয় বিদ্রোহীর উপর দায়িত্ব চাপিয়ে দিলে সত্য অবগুন্ঠিত করা হবে মাত্র।উসমানের বিরোধিতা করার নতো ক্ষেত্রসমুহ মদিনাতেই তিনি সৃষ্টি করেছিলেন।যারা বাইরে থেকে এসেছিল তারা শুধু তাদের দুরদশা লাঘবের দাবী নিয়েই মদিনায় জড়ো হয়েছিল।তাদের উদ্দেশ্য ছিল অবস্থার উন্নতি সাধন করা-রক্তপাত বা হত্যা করা নয়।যদি তাদের অভিযোগ শোনা হতো তাহলে হয়তো রক্তপাত ঘটতো না।
প্রকৃতপক্ষে যা ঘটেছিল তা হলো_উসমানের বৈমাত্রেয় ভাই আব্দুল্লাহ ইবনে সা’দ ইবনে আবি সারাহর(মিশরের গভরনর) অত্যচারে মিশরের জনগন অতিষ্ট হয়ে মদিনায় এসে শহরের জ্যাকুশুব এলাকায় অবস্থান নিয়েছিল।তাদের স্মারকলিপিসহ তারা একজন নেতৃস্থানীয় লোককে উসমানের নিকট প্রেরন করে সা’দের অত্যাচার বন্ধ্বের দাবি জানিয়েছিল।কিন্তু উসমান মিশরবাসীর প্রেরিত লোকটিকে কোন জবাব না দিয়ে ঘর থেকে বের করে দেয় এবং এসব বিষয় দেখার যোগ্য নয় বলে মনে করে। এঘটনার পর মিশরবাসীগন চিৎকার করতে করতে মদিনা শহরে ঢুকে পড়েছিল এবং উসমানের অহংকার,ঔধ্বত্ব আচরন ও দুরব্যাবহারের কথা মদিনাবাসীকে জানিয়ে প্রতিকার চাইতে লাগলো।অপরদিকে বসরা ও কুফার যেসমস্ত লোক অভিযোগ নিয়ে মদিনায় এসেছিল তারাও মিশরবাসীদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিল।এমনিতেই মদিনার জনগন ক্ষুব্দ্ব ছিল।ফলে মদিনাবাসীদের সহায়তায় বহিরাগতগন উসমানের ঘরের দিকে অগ্রসর হয়ে অবরোধ করে ফেলেছিল।
অবশ্য এ অবরোধে খলিফার মসজিদে আসা যাওয়ার ব্যাপারে কোন বাধা ছিল না।এ অবরোধের ১ম শুক্রবারে উসমান তার খুৎবায় অবরোধকারীদের সাংঘাতিকভাবে তিরস্কার করে তাদের সন্ত্রাসী ও অপরাধীচক্র বলে আখ্যায়িত করেছিলেন।এতে জনগন ক্ষিপ্ত হয়ে তার প্রতি নুড়ি-ঢিল নিক্ষেপ করেছিল যাতে তিনি মিম্বর থেকে পড়ে গিয়েছিল।কয়েকদিন পর অবরোধকারীরা তার মসজিদে আসা-যাওয়া বন্ধ্ব করে দিয়েছিল।
পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে দেখে,যেভাবে পারা যায়,অবরোধকারীদের সরিয়ে দিয়ে তাকে উধ্বার করার জন্য উসমান আমিরুল মু’মিনিনকে আলী(আঃ)কে সনিরব্ধ্ব অনুরোধ করেছিলেন।

আমিরুল মু’মিনিন বললেন, “যেখানে দেখা যাচ্ছে তাদের দাবী-দাওয়া ন্যায়সঙ্গত সেখানে কি শরতে তাদেরকে সরে যেতে বলবো”।
উসমান বললেন,“এবিষয়ে আমি আপনাকে সরবময় ক্ষমতা অরপন করলাম।আপনি যে শরতে নিষ্পত্তি করবেন আমি তা-ই মেনে নিতে বাধ্য থাকবো”।
ফলে আমিরুল মু’মিনিন মিশরীয়দের সাথে সাক্ষাত করে বিস্তারিত আলোচনা করলেন।আলোচনায় স্থির হলো-মিশরে স্বেচ্ছাচারিতা বন্ধ্বের লক্ষ্যে আব্দুল্লাহ ইবনে সা’দের পরিবরতে মুহাম্মাদ ইবনে আবিবকরকে মিশরের গভরনর করা হলে তারা মিশরে ফিরে যাবে।আমিরুল মু’মিনিন উসমানের কাছে এসে তাদের দাবীর কথা জানালেন।উসমান নিরদিধায় তাদের দাবী মেনে নিতে স্বীকৃত হলেন এবং বললেন, “এসব বাড়াবাড়ি ও ঝক্কি-ঝামেলা সামলে উঠতে কয়েকদিন সময় লাগবে”।
আমিরুল মু’মিনিন বললেন, “ মদিনাবাসীদের দাবী-দাওয়া সংক্রান্ত বিষয়ে সময় চাওয়া অবান্তর হবে;তবে অন্যান্য বিষয়ে খলিফার নিরদেশ পৌঁছানো পরযন্ত সময় নেয়া যাবে”।
উসমান বললেন, “মদিনার বিষয়ে অন্তত ৩ দিন সময়ের প্রয়োজন”।
যা হোক,মিশরীয়দের সাথে আলাপ-আলোচনা করে আমিরুল মু’মিনিন সকল শরতের দায়-দায়িত্ব নিজেই গ্রহন করলেন এবং তাঁর নিরদেশে তারা অবরোধ তুলে নিয়ে জাকুশুব এলাকায় ফিরে গেল,তাদের মধ্যে কিছু সংখ্যক লোক মুহান্নাদ ইবনে আবিবকরকে সঙ্গে নিয়ে মিশরের উদ্দেশ্যে চলে গেল।বিষয়টি এখানেই নিষ্পত্তি হয়ে গেল।
অবরোধ তুলে নেয়ার ২য় দিনে মারওয়ান ইবনে হাকাম উসমানকে বললেন,আপদ দূর হয়ে গেছে,ভালোই হলো।কিন্তু অন্যান্য শহর থেকে লোকজন আসা বন্ধের জন্য আপনাকে একটা বিবৃতি দিতে হবে যে-কিছু অবান্তর কথা শুনে কতিপয় লোক মদিনায় জড়ো হয়েছিল।যখন তারা জানতে পারলো তারা যা শুনেছে তা সম্পুরন ভুল তখন তারা সন্তুষ্ট হয়ে ফিরে চলে গেছে”।উসমান প্রথমত এমন ডাহা মিথ্যা বলতে রাজী হননি কিন্তু মারোয়ানের প্ররোচনায় শেষ পরযন্ত তিনি মসজিদে নববীতে গিয়ে বললেনঃ
“মিশরীয়গন তাদের খলিফা সম্পরকে কতিপয় সংবাদ পেয়েছিল এবং যখন তারা সন্তোষজনকভাবে জানতে পারলো যে,এসব কথা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তখন তারা নিজ শহরে ফিরে চলে গেছে”।।

উসমানের বক্তব্য শোনা মাত্র মসজিদে হৈচৈ পড়ে গেল এবং মানুষ চিৎকার করে উসমানকে বলতে লাগলো,তওবা করুন;আল্লাহকে ভয় করুন,একি ডাহা মিথ্যা আপনার মুখ দিয়ে বেরোচ্ছে”।
জনগনের চাপের মুখে সেদিন উসমান কাবা ঘরের দিকে মুখ ফিরিয়ে বিলাপ করে আল্লাহর দরবারে কান্না-কাটি করে ঘরে ফিরে গেলেন।
এঘটনার পর আমিরুল মু’মিনিন উসমানকে উপদেশ দিয়ে বললেন, “তোমার অতীত কুকরমের জন্য সরবসমক্ষে তওবা করা উচিৎ।তাতে এহেন বিদ্রোহ চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে।নচেৎ আগামীতে অন্য কোন এলাকায় জনগন বিদ্রোহি হয়ে উঠলে তোমাকে উধ্বার করার জন্য তুমি আমার ঘাড়ে চেপে বসবে”।ফলত উসমান মসজিদে একটা খোতবা প্রদান করে নিজের ভুল স্বীকার করলেন ও তওবা করলেন এবং ভবিষ্যতে সতরক থাকার প্রতিশ্রুতি দিলেন।তিনি জনগনের প্রতিনিধিকে তার সাথে দেখা করার পরামরশ দিলেন এবং জনগনের দাবীপুরন ও তাদের দুঃখ-দুরদশা দূর করার অঙ্গীকার করলেন।এতে জনগন সন্তুষ্ট হয়ে তাদের মনের খারাপ অনুভুতিগুলো মুছে ফেলে উসমানের একাজের প্রশংসা করতে লাগলো।মসজিদ থেকে বের হবার সঙ্গে সঙ্গে মারওয়ান উসমানকে কিছু বলার জন্য এগিয়ে গেলে উসমানের স্ত্রী নাইলাহ বিনতে ফারাফিসাহ বাধা দিয়ে দিয়ে বললো,”আল্লাহর দোহাই তুমি চুপ করো।তুমি এমন সব কথা বলবে যা ওনার মৃত্যু ডেকে আনবে”।
মারওয়ান বিরক্ত হয়ে বললো, “এসব বিষয়ে আপনার মাথা ঘামানো উচিৎ নয়।তাদের উভয়ের কথাবারতা তিক্ততার দিকে যাচ্ছে দেখে উসমান উভয়কেই থামিয়ে দিয়ে তার কথা বলার অনুমতি দিলেন।মারোয়ান বললো,মসজিদে আপনি এসব কি কথা বললেন আর কিসেরই বা তওবা করলেন?আমার মতে এধরনের তওবা অপেক্ষা পাপে লিপ্ত থাকা অনেক হাজার গুন শ্রেয়।কারন পাপ যত বেশীই হোক না কেন তওবার দরোয়াযা খোলা আছে কিন্তু চাপের মুখে তওবা করা কোন তওবাই না।আপনি সরল বিশ্বাসে কথা বলেছেন কিন্তু আপনি প্রকাশ্য ঘোষনার ফলাফল দেখুন-জনতা আপনার দুয়ারে হাজির হয়েছে।,এখন তাদের দাবী-দাওয়া পুরন করুন”।
উসমান বললেন,আমি যা বলেছি-বলেছিই;এখন তুমি জনগনকে ঠেকাও।তাদের সাথে কথা বলা আমার সাধ্যাতিত”।
মারওয়ান এ সুযোগ হাতছাড়া করলো না।সে বেরিয়ে এসে জনগনকে বললো, “তোমরা কেন এখানে জড়ো হয়েছো?লুটপাট করার জন্য আক্রমন করতে চাও?মনে রেখ তোমরা এত সহজে আমাদের হাত থেকে ক্ষমতা কেড়ে নিতে পারবে না।তোমরা আমাদের পরাভুত করতে পারবে, এধারনা তোমাদের মন থেকে মুছে ফেল।কেউ বল প্রয়োগ করে আমাদের অধীনস্ত করতে পারবে না।তোমাদের কৃষ্ণকায় চেহারা নিয়ে এখান থেকে চলে যাও।আল্লাহ তোমাদেরকে অপমানিত করুন এবং অনুগ্রহ থেকে তোমরা বঞ্চিত হও”।
জনগন এহেন পরিবরতিত রুপ দেখে রোষে ফেটে পড়লো এবং সোজা আমিরুন মুমিনিনের কাছে গিয়ে হাজির হলো।
আমিরুল মু’মিনিন সব কথা শুনে বিরক্ত হলেন এবং তৎক্ষনাৎ উসমানের কাছে গিয়ে বললেন,“ হায় আল্লাহ,তুমি মুসলিমদের সাথে একি দুরব্যাবহার করলে!একজন বেঈমান ও চরিত্রহীনের জন্য তুমি নিজেই ঈমান পরিত্যাগ করলে!তোমার বোধ শক্তি যেন সব হারিয়ে গেছে।অন্ততঃপক্ষে তুমি তোমার প্রতিশ্রুতির মরযাদা রক্ষা করতে।এটা কেমন কথা মারোয়ানের সকল দুস্করম তুমি চোখ বুজে মেনে নিচ্ছ।মনে রেখ,সে তোমাকে এমন অন্ধকার কুপে নিক্ষেপ করবে যেখান থেকে তুমি কোন দিন আর উঠতে পারবে না।তুমি মারোয়ানের বাহনে পরিনত হয়েছ।কাজেই সে তোমাতে চড়ে যেমন খুশী তেমন করছে।তার ইচ্ছানুযায়ী তোমাকে ভুল পথে পরিচালিত করছে।ভবিষ্যতে আমি তোমার এসব কাজ কারবার সম্বন্ধ্বে কোন কথাই বলবো না।এখন তুমি তোমার কাজ সামাল দাও”।
এসব কথা বলে আমিরুল মু’মিনিন চলে এলেন এবং নাইলাহ সুযোগ পেয়ে উসমানকে বললো, “আমি কি তোমাকে মারোয়ানের কাছ থেকে দূরে থাকতে বলিনি?সে তোমাকে এমন ফাঁদে আটকিয়ে দিতে সরবশক্তি প্রয়োগ করছে যেটা থেকে তুমি বেরিয়ে আসতে পারবে না।যে লোকটি সমাজে নিকৃষ্ট ও হীন প্রকৃতির তার পরামরশ গ্রহন করে তোমার কোন কল্যান হতে পারে না।আখনো সময় আছে আলীর শরনাপন্ন হও,তার পরামরশ গ্রহন করো।তা না হলে এ বিশৃংখল অবস্থা সামলানো তোমার অথবা মারোয়ানের ক্ষমতা বহিরভুত”।
উসমান এতে প্রভাবিত হলেন এবং আমিরুল মু’মিনিনের কাছে লোক পাঠালেন কিন্তু আমিরুল মু’মিনিন তার সাথে সাক্ষাত করতে রাজী হননি।এসময় কোন অব্রোধ ছিলনা কিন্ত চারিদিক থেকে লোকজন ঘৃ্নায় রি রি করছিল।কোন মুখে উসমান বাইরে আসবে?অথচ বাইরে না এসে তার কোন উপায়ও ছিল না।ফলতঃ গভীর রাতে তিনি চুপি চুপি আমিরুল মু’মিনিনের কাছে এসে কৃতকরমের জন্য ক্ষমা প্রারথনা করে তার সহায়হীনতা ও একাকীত্বের কথা বলে রোদন করতে লাগলেন।আমিরুল মু’মিনিন বললেন, “তুমি মসজিদে নববীতে জনগনের সম্মুখে ওয়াদা করে তা ভঙ্গ করেছ।জনগন তোমার কাছে গেলে তাদেরকে তাড়িয়ে দিয়েছ।এটাই যখন তোমার প্রতিশ্রুতির অবস্থা তখন আমি কি করে তোমার ভবিষ্যৎ কথায় আস্থা রাখতে পারি।আমাকে তুমি বাদ দাও।তোমার কোন দায়-দায়িত্ব গ্রহন করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।তোমার সামনে অনেক পথ খোলা আছে।তোমার ইচ্ছানুযায়ী যে কোন পথ অবলম্বন করতে পার”।আমিরুল মু’মিনিনের এসব কথা শুনে উসমান চলে এলেন এবং তার বিরুদ্বে গোলযোগের জন্য আমিরুল মু’মিনিনকে দোষারোপ করতে লাগলেন।তিনি প্রচার করতে লাগলেন, “সকল গোলযোগ প্রশমিত করার ক্ষমতা থাকা সত্বেও আলী কিছুই করছেন না”।
ওদিকে যারা মুঃইবনে আবি বকরকে নিয়ে মিশর অভিমুখে চলে গিয়েছিল তারা হেজাজ সীমান্ত অতিক্রম করে লোহিত সাগর উপকুলে আয়েলা নামক স্থানে পৌছে দেখতে পেল একজন লোক বহুদুরে এত দ্রুত উট হাকিয়ে যাচ্ছে যেন শত্রু তাকে তাড়া করছে।লোক্টির চালচলন ও হাবভাব দেখে সকলের সন্দেহের উদ্রেক হলো।তারা তাকে কাছে ডেকে পরিচয় জিজ্ঞেস করলো।উত্তরে সে বললো,সে উসমানের দাস।তারা জিজ্ঞেস করলো,কোথায় সে যাচ্ছিল।সে বললো মিশরে।তারা আবার জিজ্ঞেস করলো,কার কাছে যাচ্ছে।সে বললো,মিশরের শাসনকরতার কাছে।তারা বললো, শাসনকরতা তাদের সাথেই রয়েছে;তবু কার কাছে সে যাচ্ছিল।সে বললো,আব্দুল্লাহ ইবনে সা’দের কাছে।তারা জিজ্ঞেস করলো,কোন পত্র আছে কিনা।সে অস্বীকার করলো।তারা জিজ্ঞেস করলো,কি উদ্দেশ্যে সে যাচ্ছিল।সে বললো।তা তার জানা নেই।তারা তার কাপড়-চোপড় তল্লাশী করে কিছুই পেলনা।।তাদের মধ্যে কিনানাহ ইবনে বিশর তুজিবী বললো, “লোকটির মশক দেখ”।
অন্যরা হেসে উঠে বললো, “তাকে ছেড়ে দাও।পানিতে কি করে পত্র রাখবে”।
কিনানাহ বললো, “তোমরা জান না।এরা কত ধুরত চাল চালতে পারে”।
ফলে পানির মশক তালাশ করে তাতে একটা সীসার নল পাওয়া গেল এবং সেই নলে একটা পত্র পাওয়া গেল।এপত্রে খলিফার নিরদেশ লেখা ছিল-“যখন মুঃইবনে আবি বকর ও তার দল তোমার কাছে উপস্থিত হবে তখন তাদের অমুক অমুককে হত্যা করো এবং অমুক অমুককে জেলে রেখো।তুমি তোমার পদে অধিষ্টিত থেকো”।
পত্র পড়ে সবাই হতভম্ব হয়ে গেল এবং তাজ্জব বলে একে অপরের দিকে তাকাতে লাগলো।

তারা ভাবলো মিশরের দিকে এগিয়ে যাওয়া মানেই মৃত্যুর মুখোমুখি হওয়া।কাজেই তারা উসমানের দাসলে নিয়ে মদিনায় ফিরে এলো।মদিনায় এসেই তারা সাহাবাগনকে উসমানের পত্রখানা দেখালো।পত্র দেখে সবাই বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গেল এবং এমন কেউ বাকি রইলো না যে উসমানকে গাল-মন্দ না করেছে।এরপর কয়েকজন সাহাবা মিশরিয়দের সাথে নিয়ে উসমানের কাছে গেল।তারা সবাই জানতে চাইলো পত্রের গায়ে সীলটি কার।উসমান নিরদিধায় জবাব দিল ওটা তার নিজের সীল।তারা জানতে চাইলো পত্রখানা কার হাতের লেখা।উসমান জবাব দিল ওটা তার সচিবের হাতের লেখা।তারা জিজ্ঞেস করলো ধৃত লোকটি কার দাস।তিনি জবাব দিলেন দাসটি তার নিজের।তারা জিজ্ঞেস করলো,লোকটিকে বহঙ্কারী উটটি কার।তিনি জবাব দিলেন,উটটি সরকারের।তারা জিজ্ঞেস করলো,কে একে প্রেরন করেছিল।তিনি উত্তর দিলেন তার জানা নেই।উপস্থিত জনগন বললো, “আশ্চরয,সব কিছু আপনার;আর আপনি জানেননা কে তা প্রেরন করেছে।আপনি যদি এতই অসহায় হয়ে থাকেন তবে খেলাফত ছেড়ে বেরিয়ে যান,যাতে করে এমন একজন লোক আসতে পারে যিনি মুসলমানদের বিষয়াদি পরিচালনা করতে পারবেন”।
তিনি বললেন, খেলাফতের এ পোষাক যেখানে আল্লাহ আমাকে পরিয়েছেন সেখানে এটা খুলে ফেলা কোনক্রমেই সম্ভব নয়।অবশ্য,আমি তওবা করবো”।
লোকেরা বললো,“কেন আপনি তওবার কথা বলেন;এইতো সেদিন আপনি অবজ্ঞা ভরে তওবা ভঙ্গ করেছেন,যে দিন আপনার দরজায় উপস্থিত জনগনকে আপনার প্রতিনিধি মারোয়ান গালাগালি দিয়ে অপমান করেছে।আপনি যা চেয়েছেন তা তো আপনার পত্রেই রয়েছে।আমরা আর কোন ধাপ্পাবাজীতে পড়তে চাইনা।আপনি খেলাফত ছেড়ে দিন।আমাদের ভ্রাতাগন যদি আমাদের দাবি সমরথন করে তবে আমরাও তাদেরকে সম্মান ও মরযাদার আসনে বসাবো।আর যদি তারা যুধ্ব করতে চায় আমরাও প্রস্তুত আছি। আমাদের হাত এখনো অচল হয়ে যায়নি,তরবারী ভোতা হয়ে যায়নি।যদি সকল মুসলমানদের প্রতি আপনার সম্মানবোধ থেকে থাকে এবং ন্যায়ের প্রতি যদি আপনার সামান্যতম মনোযোগ থেকে থাকে তবে মারোয়ানকে আমাদের হাতে তুলে দিন।আমরা তাকে জিজ্ঞেস করে দেখি কার শক্তি ও সমরথনে সে মুসলমানদের মুল্যবান জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলে এমন পত্র লিখেছে”।
উসমান তাদের দাবী প্রথ্যাখ্যান করে মারয়ানকে তাদের সম্মুখে হাজির করতে অস্বীকৃতি জানালেন।এতে জনতার মনে বদ্বমুল হলো যে পত্রখানা উসমানের নিরদেশে লেখা হয়েছে।
শান্ত পরিবেশ অশান্ত হয়ে উঠলো।যেসব বহিরাগত জাখুশুব উপত্যকায় অবস্থান করছিলো তারা স্রোতের মত ছুটে এসে মদিনার রাস্তায় ছড়িয়ে পড়লো এবং উসমানের ঘরে প্রবেশের পথ চারদিক থেকে অবরোধ করে ফেললো।এ অবরোধ চলা কালে রাসুলের(সাঃ) সাহাবা নিয়ার ইবনে ইয়াদ উসমানের সাথে কথা বলার ইচ্ছা পোষন করে তার ঘরের সামনে গিয়েছিল।উসমান উপর থেকে উকি দিলে নিয়ার বললো, “ওহে উসমান,আল্লাহর দোহাই খেলাফত ছেড়ে দিয়ে মুসলিমদের রক্তপাত থেকে রক্ষা করুন”।
একথা বলার সঙ্গে সঙ্গে উসমানের লোক তীর নিক্ষেপ করে নিয়ারকে হত্যা করলো।এতে জনতা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলো এবং নিয়ারের হত্যকারীকে তাদের হাতে সোপরদ করার জন্য চিৎকার করতে লাগলো।উসমান সোজা জবাব দিকেন যে,তার নিজের সমরথককে তিনি তাদের হাতে তুলে দিতে পারবেন না।উসমানের এহেন একগুয়েমী আগুনে পাখার বাতাসের মত কাজ করলো এবং প্রচন্ড উত্তেজনায় জনতা তার ঘরে আগুন ধরিয়ে দিল এবং ভেতরে প্রবেশ করার জন্য এগিয়ে যেতে লাগলো।এ অবস্থায় মারয়ান ইবনে হাকাম,সাইদ ইবনে আস ও মুঘিরাহ ইবনে আখনাস তাদের কিভহু সৈন্য নিয়ে অবরোধকারীদের উপর ঝাপিয়ে পড়লো এবং উসমানের দরজায় হত্যা ও রক্তপাত শুরু হয়ে গেল।একদিকে জনতা ঘরে প্রবেশ করার চেষ্টা করছে,অপরদিকে উসমানের সৈন্যরা তাদের পিছনে হটিয়ে দিচ্ছে।উসমানের ঘরসংল্গন ঘরটি ছিল আমর ইবনে হাজম আল-আনসারীর।আমর তার ঘরের দরজা খুলে দয়ে সেদিক দিয়ে অগ্রদর হবার অবরোধকারীদের বললো।তারা সেপথে উসমানের ঘরের ছাদে উঠে গেল এবং উন্মুক্ত তরবারী হাতে ছাঁদ থেকে ভিতরে প্রবেশ করলো।কয়েক মুহুরত বিশৃ্ংখল যুধ্বের পর উসমানের তথাকথিত শুভাকাংখীগন তাকে ফেলে দৌড়ে রাস্তায় পালিয়ে গেল এবং কেউ কেউ উম্মে হাবিবা বিনতে আবু সুফিয়ানের ঘরে আত্নগোপন করলো।উসমানের সাথে যারা ছিল তাদের সকলকে উসমানের সাথে হত্যা করা হয়েছে(সা’দ-১৩৭,৩য় খন্ড,পৃঃ৫০-৫৮,তাবারী-৭৫,১ম খন্ড,পৃঃ১৯৯৮-৩০২৫;হাদীদ-১৫২,২য় খন্ড,পৃঃ১৪৪-১৬১)
এসব ঘটনা থেকে আমিরুল মু’মিনিনের অবস্থান সহজেই অনুমেয়।তিনি হত্যাকারীকে সমরথনও দেন নি আবার উসমানের প্রতিরক্ষার জন্য দন্ডায়মানও হননি।কারন তিনি যখন দেখলেন উসমানের কথা ও কাজ এক নয়,তখন তিনি নিজেকে সম্পুরন পৃ্থক করে রাখলেন।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:০৩
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামের বিধান হতে হলে কোন কথা হাদিসে থাকতেই হবে এটা জরুরী না

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৫



সূরাঃ ৫ মায়িদাহ, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত, রক্ত, শূকরমাংস, আল্লাহ ব্যতীত অপরের নামে যবেহকৃত পশু, আর শ্বাসরোধে মৃত জন্তু, প্রহারে মৃত... ...বাকিটুকু পড়ুন

লবণ্যময়ী হাসি দিয়ে ভাইরাল হওয়া পিয়া জান্নাতুল কে নিয়ে কিছু কথা

লিখেছেন সম্রাট সাদ্দাম, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১:৫৪

ব্যারিস্টার সুমনের পেছনে দাঁড়িয়ে কয়েকদিন আগে মুচকি হাসি দিয়ে রাতারাতি ভাইরাল হয়েছিল শোবিজ অঙ্গনে আলোচিত মুখ পিয়া জান্নাতুল। যিনি একাধারে একজন আইনজীবি, অভিনেত্রী, মডেল ও একজন মা।



মুচকি হাসি ভাইরাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×