মানুষ একেক জন একেক ক্যাপাসিটি নিয়ে জন্মায়। তাদের সবার জন্যেই দূনিয়ায় ক্যাপাসিটি অনুযায়ি সুযোগ সুবিধা দেয়া আছে। কেউ কেউ তারটা আদায় করে নিতে পারে। কেউ পারে না নিজের নড়াচড়ার অভ্যাস নাই বলে। আবার কখনো হারায় কারন তারটা আরেক জন ভোগ করে বসে থাকে। এক জনের নিজের সামর্থ, তার দলগত সামর্থ, চার পাশের প্রকৃতির উপর তার নিজের আর দলগত জ্ঞান, দখল সব কিছুর কো-ইন্সিডেন্সই ভবিষ্যৎ ঠিক করে। অন্যদের উপর যার প্রভাব বেশি, জ্ঞান বেশি, দখল বেশি সে তত বেশি কোইন্সিডেন্স গুলো নিজে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। মানে ক্ষমতাবান মানুষ দুর্বল মানুষ থেকে বেশি বেশি ভবিষ্যৎ দেখতে পারে। সামনের দিনে কি হবে সে বলতে পারে কারন সে দিনগুলো সে যথা সম্ভব নিজেই তৈরী করে। কোইন্সিডেন্স গুলোর বেশির ভাগই সে নিয়ন্ত্রণ করে বলে।
.
ব্যপারটা যেন এমন - ১০০ নাম্বারের (অসীম বা অজানা নাম্বার) কেস স্টাডি জাতীয় পরীক্ষায় বসলো দশ জন এক সাথে। নাম্বার পাবে ইন্ডিভিজুয়াল আবার দলগত ভাবে। এখানে যে যত নাম্বার পাবে তা তাদের টিচার দিচ্ছে। আবার যে যত নাম্বার হারাবে তাও তার জন্যে টিচার দিয়ে রেখেছিলো, তারা নস্ট করেছে। আবার এক জনের করা সমাধান আরেক জন নিজের বলে চুরি করে নিজের নামে নাম্বার নিয়ে নিচ্ছে। যেহেতু খেলাটা দলগত, টিচার তাই চুরির ব্যপারে শুধু সতর্ক করেই সারা। দায়টা আমাদের নিজেেদের।
.
এভাবে এক জনেরটা আরেক জন নিয়ে যাওয়ার সিস্টেমটা কিছু মানুষ নিজেরা বানায়। আর দুর্বলদের মাঝে এই বিশ্বাস ছড়ায় যে তোমাদের যত দুর্ভোগ সব তোমাদের কপালের দোষ, অদৃষ্টের লিখন, যা উপরওয়ালা লিখে রেখেছে। এতে কিছু না করতে পারা দুর্বল শ্রেণী মানষিক ভাবে একটা স্কেইপ পয়েন্ট পায়। এক ধরনের রিলিফ বোধ করে। তাই তারাও এই থিওরী লুফে নেয়। আর বলে বেড়ায় আমার কপালে লিখা ছিলোনা তাই পাই নাই। কিংবা উপরওয়ালা কপালে এমনই মরা লিখে রাখছিলো, কি আর করা।
.
আর এই ভাবে হালাল হয়ে যায় যত চুরি, চামারি, জোচ্ছুরি, ভন্ডামি, খুন, রাহাজানি, ব্যাভিচার, অত্যাচার ...
.
Afnan_Abdullah
07032020