somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বারবনিতা বৃত্তান্ত-২

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

রাস্তার এবং ঘ‌রে থাকা ভদ্রবে‌শের প‌তিতা‌দের নি‌য়ে শুনা, দেখা বা নিজের কিছু প্রচন্ড ব‌্যক্তিগত অভিজ্ঞতা যথা সম্ভব হুবুহু উগরে দিব এই সি‌রি‌জে। সব বাস্তব চরীত্রের ছদ্ম নাম দি‌য়ে‌ছি। বর্ণনায় এডাল্ট ‌কনটেন্ট থাক‌তে পা‌রে।
২.
নিশি কর্মী


.
২০০৮। তখন বাসা ছি‌লো সাম‌রিক জাদুঘরের পা‌শে। রাতে খাওয়ার পর নিয়মিতই হাঁটতে বের হই এক কাজিন সহ। এমনই এক রা‌তে জাদুঘরের সামনে ফুটপাথের থামে বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম। একটু বেশি রাত হয়ে গিয়েছিলো, প্রায় বারোটা পার।
.
হঠাৎ এক মহিলা এসে বললো – ”আপনারা একটু দূরে সরে গিয়ে বসেন। আমরা কাজ করমু।"
.
ভাবলাম সিটি কর্পোরেশান রাতের বেলা যে রাস্তা পরিচর্যা করে সেই কাজ। কিন্তু তার গায়ে হলুদ এপ্রন নেই। তাকিয়ে দেখি তার পেছনে একটু দূরেই আরো দুজন মহিলা আর তিন চারটা রিক্সাওয়ালা শ্রেনীর লুঙ্গীপরা লোক ইতস্ততভাবে দাঁড়িয়ে আছে। কেমন যেন সন্দেহ হলো। ধমকের সুরে জিজ্ঞেস করলাম -কি কাজ?” প্রথমে একটু অবাক হলো, চ‌কি‌তে সাম‌লে নি‌য়ে মুচকি একটা হাসি দিয়ে মহিলা বললো –”ও! আপনারা বুঝেননা কি কাম! দূরে গিয়া বন যান।” আমার কাজিন বললো-’যাও তো, বিরক্ত করবানা, আমরা সরবোনা।” মহিলা ক্ষেপে গেলো, বললো-”ঠিক আছে, আপনারা তাইলে বইয়া থান। আমরা কাম করি। বইয়া বইয়া দেহেন।” বলেই ফুটপাতে পাড়ে জাদুঘরের দেয়াল ঘেঁসা একটা বড় গাছের আড়ালে সর‌লো। গিয়ে সে মনে হলো কাপড় খোলার চেষ্টা করতে ছিলো।
.
অকল্পনীয়, অবিশ্বাস্য ঘটনাটায় আমরা দুজনই স্তম্ভিত হয়ে হঠাৎ যেন নড়াচাড়ারও শক্তি হারিয়ে ফেললাম। পাথরের মত নির্বাক বসে রইলাম। এর মাঝে বুঝলাম ছেলে গুলার দল ঐ জায়গায় কিছু করতে রাজি না। টাকা নিয়েও তাদের বনিবনা হচ্ছিলোনা।
.
সৌভাগ্যবসত, আমাদের মাফ করে দিয়ে তারা চলে গেলো। আমরা উঠেই হন হন করে বাসার দিকে ছুট দিলাম। তখন দেখি, ঐ দলটা বিজয় স্মরণী মোড়ে ফুলের দোকানের প্লাষ্টিকের বড় ছাপড়ার পেছনে ঢুকতেছে।
.
এর পর থেকে আমাদের রাতের বেলা শখের ঘোরাফেরাটা বন্ধ হয়ে গেলো। কখনো ঘুরতে বেরুলেও পাড়ার বাইরে আর অত রাতে যাইনি।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৪৯
৪টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×