হে বালিকা, আমি তো অসহায়। কেন মোরে দাস বানালে?
কেন বাধিলে মোরে এই রুপের জালে ? কেন মোরে পাগল করিলে?
কেন মোরে মাতাল করিলে? কেন মোরে বশ করিলে?
তুমি দাসের কর্তা, আমি দাস; কেন মোরে দাস বানালে?
আমি পূজারী স্বাধীনতার, অধীনতা আমার দাস-
নিজেকে রেখেছি মুক্ত- হইতে সকল মিছে ভ্রান্তি মায়াজাল লালসার গ্রাস।
বহুবার করেছি শপথ নিজেরে রাখিব মুক্ত, করিব মায়ার নিকুচি।
আজ আমি বৃথা মায়ার পদতলে বন্দী, করি বন্দনা তারে, তার অধরে চুমি।
আজ আমি সেচ্ছাদাসত্বে তোমার নিগড়ে বন্দী, তবু মোর আত্মা আরো বন্দীত্ব চায়।
আমি অবাক হয়ে দেখি, সে চায় চিরবন্দীত্ব, সে যাবজ্জীবন কারাদন্ড চায়-
সে চিরকাল বন্দী থাকতে চায় কারাগারে, যে কারাগার তোমার সর্বস্ব -
সে কারাগার হল তোমার শরীর, তোমার কেশ থেকে যার শুরু -
সে কারাগার হল তোমার চোখ, যে চোখে তুমি কাজল দাও।
সে কারাগার হল তোমার আঁখির গভীর কাল অন্ধকার।
সে কারাগার হল তোমার অধর, চিবুক, বক্ষ, ঊরু, নখ।
তোমার দোহাই লাগে, তুমি আমায় বন্দী করো- তোমার কারাগারে বন্দী করো-
আমি কোনদিন মুক্তি চাইব না; ডুবে থাকব তোমার চোখের প্রকোষ্ঠে-
বিশ্বাস করো আমায়, আমি সেরা আসামী হব। কোনদিন তোমার কায়া- মাংসের এই কারাগারের বাইরে দৃষ্টি দেবে না আমার চোখ - সেও তোমার বন্দী হবে।
দৃষ্টিকে বন্দী করতে পারে- এমনই মাহাত্ম তোমার তনুর কারাগারের।
হে বালিকা, একটু দয়া করো; বন্দী করো এই অধম তরুনকে তোমার কারাগারে ।
সে সত্য বলছে, সে কেবল বন্দী হতে চাই তোমার, তোমার কারাগারের। আসামী আজ নিজে এসেছে কারাগারের সামনে, দয়া করে বন্দী করো।