ছোটবেলায় আমি আরো বেশি বোকা ছিলাম । তখন কিছু খেতে না চাইলে যদি আমাকে জানালা দিয়ে দূরের মুরগী দেখিয়ে বলা হতো “খাও আব্বু নাহলে মুরগীটা কামড় দিবে আর পুরোটা খেতে পারলে তোমাকে চিপস দিবে ( চিকেন ফ্লেভারের ভালো পটেটো চিপস পাওয়া যেত তখন) ” তখন মুরগীর কামড়ের ভয়ে কিংবা চিপসের আশায় আমি খেতাম সবকিছু আর বিকেলে জানালার পাশে চিপস চকলেট ইত্যাদি দেখে খুশিও হতাম। মুরগীকে মনে মনে ধন্যবাদও দিতাম।
বিকেলে ছাদে গিয়ে বাচ্চারা সবাই মিলে অনেক কিছু খেলতাম। কি খেলতাম নিজেও বুঝতাম না একজন আরেক জনকে থাপ্পর মেরে দৌড় দিতাম খিল খিল করে হাসতাম। কখনো গোল্লাছুট কখনো বরফপানি কত শত খেলা, কিছুই নির্দিষ্ট ছিলো না। অদ্ভুত কিছু বিশ্বাস ও ছিলো আমাদের যেমন নীল আকাশে যখন চিল দের উড়তে দেখতাম তখন আমরা একে অপরের কাইন্না আঙ্গুল (Little finger) ধরে টেনে রাখতাম আর ভাবতাম এতে চিল গুলো মাথা ঘুড়িয়ে নিচে পরে যাবে , চিল শিকারের আনন্দে আমরা লাফাতাম। যদিও কখনো আকাশ থেকে চিল পরতে দেখিনি আর এই ধারনা কোথা থেকে আসলো সেটাও জানি না ... এখন ধীরে ধীরে বড় হতে হতে কেমন যেন ছোট হচ্ছি নিজের কাছেই ।
আলোর বিচ্ছুরনের আকাশটা আর আগের মত নীল দেখায় না কেমন যেন ধুসর হয়ে গেছে , চিল ও খুব একটা দেখি না এখন ... প্রকৃতি কেমন যেন অভিমান করে আছে । আমার ইচ্ছে করে মনের ক্যনভাসে আঁকা কল্পনার সব রঙ প্রকৃতিকে দিয়ে দেই। পরে দেখলাম কল্পনায় কেন ? বাস্তবেও তো এটা সম্ভব।
প্রথমে আমাদের সবুজ রঙ দিয়ে শুরু করতে হবে । প্রত্যেকে একটা করে গাছ লাগিয়ে দেখুন কোটি কোটি সবুজ গাছ কেমন করে তার বন্ধু অন্যন্য রং দের ডেকে আনবে , সেটা দেখেই শুধু অবাক হবেন না প্রকৃতির হাসি মুখ দেখেও তৃপ্তি পাবেন তখন। আপনাদের চারপাশে মাঠে ঘাটে, রাস্তার পাশে ,বারান্দায় , ছাদে ... যেখানে সেখানে গাছ লাগিয়ে সবুজ করে ফেলুন সব। আমি কথা দিচ্ছি এই গাছই আপনাকে আনন্দের রংধনু উপহার দিবে, লিখে রাখেন।
( স্ট্যাটাসে লাইক কমেন্ট এর দরকার নাই , পারলে শেয়ার করে পৃথিবীকে রঙ্গিন করার এই আহবান সবার কছে পঠিয়ে দিন )
ধন্যবাদ ।
৮ই বৈশাখ , ১৪২১