নজরবন্দী বই মেলায় আসতে আসতে ফেব্রুয়ারীর তের তারিখ লেগে যায়! অবশ্য প্রকাশকেরও কিছু করবার ছিলনা কারন প্রেসে এত পরিমান চাপ চলছিল যে তিনিও রীতিমত হিমশিম খাচ্ছিলেন। যাই হোক তবু আমি তার প্রতি কৃতজ্ঞ কারন হয়তোবা তার কারনেই নজরবন্দী তার বন্দী অবস্থা হতে মুক্তি লাভ করেছে। আমি আরেকজন মানুষের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চাই, যিনি হলেন জাদিদ ভাই। নজরবন্দীর সাথে তার সম্পর্কটা হল প্রচ্ছদের! প্রচ্ছদ নিয়ে যে কথাটা আমি বারংবার বলতে চাই- আমি পুরো গল্পটি লিখেছি ১৩৪ পৃষ্ঠায় আর জাদিদ ভাই সেই পুরো ১৩৪ পৃষ্ঠার মহা বয়ানকে মাত্র একটা পৃষ্ঠায় বলে ফেলেছেন, কোন রকম আর্থিক লাভালাভ ছাড়াই!
নজরবন্দী তার ভার্চুয়াল অবস্থা থেকে একটা মলাটের ভেতরে আসবে এটাই আমার জন্য বেশ বড় একটা পাওনা ছিল কিন্তু আপনারা সহব্লগারগন এটিকে এমন একটা উচ্চতায় নিয়ে গেলেন যে আমি সত্যিই ধন্য, আমার কৃতজ্ঞতা জানাবার ভাষা নেই।
যাই হোক চলেন, নজরবন্দী সংশ্লিষ্ট বই মেলার ছবি দেখি!
মোড়ক উন্মোচনের মত ঝামেলায় যাই নাই! ছবিতে আছেন জাদিদ ভাই, ব্লগার নীল সাধু দাদা, ব্লগার হামিদ আহসান, এক রঙ্গা এক ঘুড়ি প্রকাশনীর প্রকাশক শিমুল আহমেদ, এক রঙ্গা এক ঘুড়ি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সভাপতি শ্রদ্ধেয় কিবরিয়া ভাই এবং অন্যান্য!
নজরবন্দী তুই একটা ভালোবাসা! এ ভালোবাসা প্রকাশযোগ্য নয়!
প্রচ্ছদ করবার পরেও নজরবন্দীর প্রথম কপিটি তিনি কিনে নিলেন! নির্বাক আমি হতবাক!
ব্লগার শিখা রহমানের সাথে
কামরুন নাহার লিলিয়ানের সাথে ঘুড়ি স্টলের সামনে
ঘুড়ি স্টলের সামনে আড্ডা!
ব্লগার নীল সাধু দাদা! যে মানুষটা প্রথম নজরবন্দী পড়বার পর আমাকে শক্তিমান লেখক হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন যদিও আমি সেটা নই বরং এটা আমার প্রতি তার স্নেহ-বাৎসল্যতা
বইয়ের মান চেক করবার সময়
কবি এবং পুলিশের এস পি ফারহাত ভাইয়ের সাথে
বই মেলায় এসে কেউ খাওয়াতে চাইলে আমরা অবশ্য না করি না
আমি, শিখা আপা, নীল দা আর কিবরিয়া ভাই
বই মেলায় নেটওয়ার্ক নাই!
এসেছিলেন বড় ভাই সমতুল্য নেক্সাস ভাই এবং বন্ধু প্রতিম সুমন কর দা
দুবাই থেকে উড়ে এসেছেন মনিরাপা! যদিও তিনি স্বীকার-ই করেন না যে তিনি শুধু নজরবন্দীর জন্য ছুটে এসেছেন।
তাসলিমা আপা! তিনিও ছুটে এসেছেন শুধু তার ছোট ভাই এবং ছোট ভাইয়ের সৃষ্টিকে উদ্দেশ্য করে।
শক্তিশালী লেখক মূলত তিনি-ই! বায়োস্কপের লেখক প্রিয় কাওসার ভাই!
আছেন মাহবুবুল আজাদ এবং জাহিদ অনিক
ব্লগার তারেক_মাহমুদের সাথে
আছেন কবি রেজওয়ান তানিম ভাই!
ব্লগার ছাড়াও প্রতিদিন আরো অনেকে আসছেন।
প্রিয় সহব্লগারগন,
নজরবন্দীর প্রতি আপনাদের এমন রেসপন্সে আমি সত্যিই ধন্য এবং আমি আশা করছি অনেকের হাতেই নজরবন্দী পৌছে গিয়েছে। অনেকের সাথে ছবি তোলার সৌভাগ্য আমার হয় নাই কিন্তু তারা নিয়ে গিয়েছেন। তাদের প্রতিও আমার কৃতজ্ঞতা।
প্রিয় বন্ধু! আমি এখন শুনতে চাই। নজরবন্দী পড়তে গিয়ে আপনাদের ভালো লাগা এবং খারাপ লাগার জায়গাগুলো! নির্দ্বিধায় আপনারা শেয়ার করতে পারেন। আমি অধীর আগ্রহে আপনাদের শোনার অপেক্ষায় রয়েছি।
আর যারা এখনো নজরবন্দী সংগ্রহ করেন নাই কিন্তু করতে চান তবে চলে আসুন একুশে গ্রন্থ মেলায়, এক রঙ্গা এক ঘুড়ির ৪৩৪ নম্বর স্টলে। সেখানে আমরা আছি, সহ-ব্লগারগন আছেন।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:১০