somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একুশে গ্রন্থমেলা এবং নজরবন্দী কথন!

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


নজরবন্দী বই মেলায় আসতে আসতে ফেব্রুয়ারীর তের তারিখ লেগে যায়! অবশ্য প্রকাশকেরও কিছু করবার ছিলনা কারন প্রেসে এত পরিমান চাপ চলছিল যে তিনিও রীতিমত হিমশিম খাচ্ছিলেন। যাই হোক তবু আমি তার প্রতি কৃতজ্ঞ কারন হয়তোবা তার কারনেই নজরবন্দী তার বন্দী অবস্থা হতে মুক্তি লাভ করেছে। আমি আরেকজন মানুষের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চাই, যিনি হলেন জাদিদ ভাই। নজরবন্দীর সাথে তার সম্পর্কটা হল প্রচ্ছদের! প্রচ্ছদ নিয়ে যে কথাটা আমি বারংবার বলতে চাই- আমি পুরো গল্পটি লিখেছি ১৩৪ পৃষ্ঠায় আর জাদিদ ভাই সেই পুরো ১৩৪ পৃষ্ঠার মহা বয়ানকে মাত্র একটা পৃষ্ঠায় বলে ফেলেছেন, কোন রকম আর্থিক লাভালাভ ছাড়াই!

নজরবন্দী তার ভার্চুয়াল অবস্থা থেকে একটা মলাটের ভেতরে আসবে এটাই আমার জন্য বেশ বড় একটা পাওনা ছিল কিন্তু আপনারা সহব্লগারগন এটিকে এমন একটা উচ্চতায় নিয়ে গেলেন যে আমি সত্যিই ধন্য, আমার কৃতজ্ঞতা জানাবার ভাষা নেই।

যাই হোক চলেন, নজরবন্দী সংশ্লিষ্ট বই মেলার ছবি দেখি!


মোড়ক উন্মোচনের মত ঝামেলায় যাই নাই! ছবিতে আছেন জাদিদ ভাই, ব্লগার নীল সাধু দাদা, ব্লগার হামিদ আহসান, এক রঙ্গা এক ঘুড়ি প্রকাশনীর প্রকাশক শিমুল আহমেদ, এক রঙ্গা এক ঘুড়ি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সভাপতি শ্রদ্ধেয় কিবরিয়া ভাই এবং অন্যান্য!


নজরবন্দী তুই একটা ভালোবাসা! এ ভালোবাসা প্রকাশযোগ্য নয়!


প্রচ্ছদ করবার পরেও নজরবন্দীর প্রথম কপিটি তিনি কিনে নিলেন! নির্বাক আমি হতবাক!


ব্লগার শিখা রহমানের সাথে


কামরুন নাহার লিলিয়ানের সাথে ঘুড়ি স্টলের সামনে


ঘুড়ি স্টলের সামনে আড্ডা!


ব্লগার নীল সাধু দাদা! যে মানুষটা প্রথম নজরবন্দী পড়বার পর আমাকে শক্তিমান লেখক হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন যদিও আমি সেটা নই বরং এটা আমার প্রতি তার স্নেহ-বাৎসল্যতা


বইয়ের মান চেক করবার সময়


কবি এবং পুলিশের এস পি ফারহাত ভাইয়ের সাথে


বই মেলায় এসে কেউ খাওয়াতে চাইলে আমরা অবশ্য না করি না


আমি, শিখা আপা, নীল দা আর কিবরিয়া ভাই


বই মেলায় নেটওয়ার্ক নাই!


এসেছিলেন বড় ভাই সমতুল্য নেক্সাস ভাই এবং বন্ধু প্রতিম সুমন কর দা


দুবাই থেকে উড়ে এসেছেন মনিরাপা! যদিও তিনি স্বীকার-ই করেন না যে তিনি শুধু নজরবন্দীর জন্য ছুটে এসেছেন।


তাসলিমা আপা! তিনিও ছুটে এসেছেন শুধু তার ছোট ভাই এবং ছোট ভাইয়ের সৃষ্টিকে উদ্দেশ্য করে।


শক্তিশালী লেখক মূলত তিনি-ই! বায়োস্কপের লেখক প্রিয় কাওসার ভাই!


আছেন মাহবুবুল আজাদ এবং জাহিদ অনিক


ব্লগার তারেক_মাহমুদের সাথে


আছেন কবি রেজওয়ান তানিম ভাই!


ব্লগার ছাড়াও প্রতিদিন আরো অনেকে আসছেন।

প্রিয় সহব্লগারগন,
নজরবন্দীর প্রতি আপনাদের এমন রেসপন্সে আমি সত্যিই ধন্য এবং আমি আশা করছি অনেকের হাতেই নজরবন্দী পৌছে গিয়েছে। অনেকের সাথে ছবি তোলার সৌভাগ্য আমার হয় নাই কিন্তু তারা নিয়ে গিয়েছেন। তাদের প্রতিও আমার কৃতজ্ঞতা।

প্রিয় বন্ধু! আমি এখন শুনতে চাই। নজরবন্দী পড়তে গিয়ে আপনাদের ভালো লাগা এবং খারাপ লাগার জায়গাগুলো! নির্দ্বিধায় আপনারা শেয়ার করতে পারেন। আমি অধীর আগ্রহে আপনাদের শোনার অপেক্ষায় রয়েছি।

আর যারা এখনো নজরবন্দী সংগ্রহ করেন নাই কিন্তু করতে চান তবে চলে আসুন একুশে গ্রন্থ মেলায়, এক রঙ্গা এক ঘুড়ির ৪৩৪ নম্বর স্টলে। সেখানে আমরা আছি, সহ-ব্লগারগন আছেন।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:১০
১৯টি মন্তব্য ১৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×