
১.
শুনশান নিরিবিলি স্টপেজে বাস এসে থামতেই জানালা দিয়ে বাইরে উঁকি দিলাম। দেখলাম, কড়া রঙের শাড়িপরা মাঝবয়সী এক মহিলা আরেক মহিলার দিকে তাকিয়ে ঝাঁঝালো গলায় বলছে—এরপর থেকে কড়া গলায় কিছু বললেই কলার ধরে কষিয়ে একটা থাপ্পড় দিবি। নারীরা আর পিছিয়ে নেই। নারী পুরুষ এখন সমান। আমরা সমান অধিকার চাই। বেশিও না, কমও না—সমান অধিকার।
বাসটা চলতে শুরু করতেই মহিলা এক লাফে বাসে উঠে পড়লেন। আমার সামনে এসে ঝাঁঝালো গলায় বললেন—এই যে! আপনি মহিলা সিটে বসে আছেন কেন? উঠুন। লজ্জা করে না, মহিলা সিটে বসতে?
২.
স্ট্রিট লাইটের আলোয় ঝলমলে সন্ধ্যা। ফুটপাতের কিশোর-বয়সী ডাব বিক্রেতার দিকে মাঝবয়সী টাকপড়া লোকটা এগিয়ে গিয়ে কর্কশ স্বরে বলল—এই! ডাব কতো রে?
—পঞ্চাশ টাকা করে, স্যার!
লোকটা তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠে বলল—কী! এইটুক ডাব পঞ্চাশ টাকা? এইভাবে দিনে-দুপুরে মানুষের পকেট কাটিস! ব্যাটা ছোটোলোকের বাচ্চা!
রেগেমেগে ভদ্রলোক ফুটপাত ধরে সামনের দিকে হাঁটা দিল। ভিড় পেরিয়ে এসে ফুলে-ওঠা পকেটের উপর চাপ দিয়ে ভদ্রলোকের মুখে স্বস্তি ফিরে এলো—না! সমস্যা নেই। ঘুষের টাকাটা ঠিকঠাকমতোই আছে।
—আহমদ মুসা।
৭ ডিসেম্বর, ২০১৮।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৫০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




