সময় দুপুর ৩ টার কিছু বেশি হবে। মিরপুর থেকে সৈনিক ক্লাব হয়ে কাকলির দিকে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ দেখি সৈনিক ক্লাবের একটু সামনে বেশ কিছু মানুষের জটলা। কৌতূহল বশত এগিয়ে গিয়ে দেখি ঢাকা সেনানিবাসের একটা জীপ ও তার সামনে একটা প্রাইভেট কার দাঁড়ানো। প্রাইভেটের পেছনের বাম্পার একটু বাঁকানো।
বুঝে নিলাম ধাক্কাখাক্কির কেইস। সাথে সাথেই আমি ব্যাপারটা নিউজের হেড কোয়ার্টার আরিফ ভাইয়ের এর ইনবক্সে জানিয়ে দেই ipvoid(0);
এর পরের বিস্তারিতঃ প্রাইভেটের সামনে গিয়ে দেখি “জাতীয় সংসদ সদস্য” স্তিকার লাগানো। হট্টগোল চলছে তখনও। একটু এগিয়ে একজনকে জিজ্ঞেস করতেই যা পেলাম তার সারমর্ম
“এমপি সাহেব নাকি প্রথমে ধাক্কা খেয়ে গাড়ি থেকে নেমে দৌড় দিয়েছিলেন ভয়ে, পড়ে যখন মনে পরে যে এখন 'গণতান্ত্রিক শাসনআমল' চলছে, তখন তিনি ফিরে আসেন। মাননীয় এমপি সাহেব যে স্পীডে গাড়ি থেকে বের হয়ে দৌড় দিয়েছিলেন, তার থেকে কিছুটা কম স্পীডে ফিরে আসেন স্পটে”
আশেপাশের অবস্থা ছিল কিছুটা এরকমঃ
> দুই পক্ষের দুইজন (একজন সেনাকর্মকর্তা এবং সম্ভবত এমপি সাহেবের প্রোটকল অফিসার) দুই গাড়ির মাঝে দাড়িয়ে কেমন যেন দর কষাকষির মত কথা বলছে।
> সেনানিবাসের জীপ এর দুই পাশ দিয়ে ৪/৫ জন উকি দিয়ে দিয়ে এমপি সাহেবের গাড়ির বাঁকানো বাম্পারের দিকে করুন দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।
> এমপি সাহেবের গাড়ির পেছনের অংশে ব্ল্যাক গ্লাস থাকায় বুঝতে পারিনি কিন্তু সামনে দেখলাম অল্প বয়সি একটা ছেলে চেহারাটা এমন করে রেখেছে যেন গাড়ি থেকে বের হতে পারলে সে এখন দেখিয়ে দিত মুই কার পুলা!!
> আর আমাদের জনগণ! নিজেদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ রেখে তাদের সব কার্যকলাপ সুচিন্তিত মনে দেখছিল!! কয়েকজন আবার বলাবলি করছিল, মজা দেখ, মজা!! কয়েকজন আবার তাদের মোবাইল ফোনে যে ক্যামেরা আছে তা প্রমাণ দিতে ব্যাস্ত!!
োশ্যাল মিডিয়া নিউজ রিপোর্টারঃ