somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

তৃতীয় মাত্রা (২৪ নভেম্বর) ট্রান্সক্রিপশান-১, নুরুল কবির এবং ড. এম জহির

২৫ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

তৃতীয় মাত্রা : ২৪ নভেম্বর ২০০৮ (প্রথম অংশের ট্রান্সক্রিপশান)
আলোচক: নিউ এজ সম্পাদক নুরুল কবির এবং আইনজীবি ড. এম জহির

উপস্থাপক:
জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৯ ডিসেম্বর এবং ২২ জানুয়ারি উপজেলা নির্বাচন। গতকাল, সন্ধ্যায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার এই ঘোষণা দিয়েছেন। নির্বাচনী তফসিলও পূণঃনির্ধারণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত যে টি জানা গেছে, বিএনপি ও চারদলীয় জোটের যে দাবি ছিল উপজেলা নির্বাচন পেছানোর (১মাস), মোটামুটি কাছাকাছি সময় পর্যন্ত পেছানো হয়েছে। কিন্তু প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানিয়েছেন যে, চারদলীয় জোটের দাবি অনুযায়ী আর ৯১ এর ‘ই’ ধারা বাতিল করা সম্ভব নয়। জরুরি অবস্থার বিষয়ে বলেছেন, তাঁরা সরকারকে অনুরোধ করবেন- জরুরি অবস্থা যেন প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। কিন্তু সরকার বক্তব্য এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। এ পর্যন্ত চারদলীয় জোটের নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলে যেটুকু জানতে পেরেছি যে, তাঁরা জরুরি অবস্থা এবং এ বিষয়ে সরকারের সুস্পষ্ট ঘোষণার অপেক্ষায় রয়েছেন। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন যে, এখনও নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র চলছে। হবে হচ্ছে করেও এখন পর্যন্ত নির্বাচনটি নিয়ে অনিশ্চয়তা থেকেই যাচ্ছে।
এ রকম মুহুর্তে কথা বলবার জন্য স্টুডিওতে রয়েছেন, নিউ এজ সম্পাদক নুরুল কবির এবং আইনজীবি ড. এম জহির।
নতুন নির্বাচনের তারিখ, আবারো পুণঃনির্ধারত হয়েছে নির্বাচনী তফসিল। অনিশ্চয়তাটা কাটছে কি’না?

নুরুল কবির -
নতুন নির্বাচনের তারিখের মধ্য দিয়ে একটি জিনিস বোঝা যায় যে, নির্বাচন কমিশন শেষ বেলায় হলেও একটা চেষ্টা করছে দুই গ্র“পকেই একোমেডেট করে একটা সমঝোতা করে একটা নির্বাচন দেবার। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলোর দিক থেকে যে দাবি, কেউ উচ্চস্বরে-কেউ একটু নিম্নস্বরে, যে দাবিটা করে আসছে সবাই- সেটা হচ্ছে যে জরুরি অবস্থা বিরাজিত থাকলে (১) নির্বাচনে যে সুষ্ঠ পরিবেশ, অর্থাৎ একটা স্বাধীনভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবার মনস্তাত্বিক এবং যেটাকে বলে ফিজিক্যাল... এইটা থাকে না। এটা আওয়ামী লীগও বলে আসছে, বিএনপিও বলে আসছে। সেই ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনার, দেখলাম আমরা যে, কোন দায় নিলেন না। তিনি বললেন যে এটা সরকারের ব্যাপার। এখানে জহির ভাই আছেন, উনি আরো ভাল করে বলতে পারবেন। নির্বাচন কমিশন সংক্রান্ত যে... তাঁর অধিকার সংক্রান্ত পার্টিকুলার নির্বাচনের সময় আমাদের রাষ্ট্রীয় সংবিধানের একটা মেনডেক্ট হল এই যে, নির্বাচনকে সুষ্ঠভাবে পরিচালনা করবার জন্য নির্বাহী বিভাগ রাষ্ট্রের, তাকে সহায়তা করবে। সেক্ষেত্রে যদি আমরা আরেকটু ইন্ট্রাপেট করে বিষয়টা এগিয়ে নেই, নির্বাচন কমিশন যদি বলে দেশে একটা মানুষের মৌলিক অধিকারগুলো যদি সাসপেন্ডেড থাকে, তার অপারেশন যদি সাসপেন্ডেড থাকে সেইটা সুষ্ঠভাবে কিংবা চিন্তাশীলতাকে এক্সারসাইজ করবার জন্যে, ভোটিং রাইট প্রয়োগ করবার জন্যে, একটা মনোস্তাত্বিক এবং আইনগত সুস্থ্য পরিবেশ থাকে না। এটা, যদি নির্বাচন কমিশন মনে করেন, তাহলে নির্বাহী বিভাগকে তিনি বলতে পারেন, যে আমার নির্বাচন ঠিকভাবে করবার সহায়তা করা তোমার দায়িত্ব ফলে এটা তুমি তুলে নাও। কিন্তু সেটা অবশ্য তিনি বলেন নি, বলেছেন, এটা আমার দায়িত্ব না এটা সরকাররের ব্যাপার। সরকারকে রি-কমেন্ট করবার কথা বলেছেন। সুতরাং সরকার এ বিষয়ে, কি বলেন সেটা হয়তো রাজনৈতিক দলগুলো অপেক্ষ করবে।


উপস্থাপক-
আরেকটি জিনিস হচ্ছে, রাজনৈতিক দলগুলোর গত কয়েকদিনের কার্যক্রমে, কথা বার্তায় কি মনে হয়েছে বা তাঁদের আচরণে যে নতুন তারিখটি নির্ধারিত হল সেটি নিয়ে শেষ পর্যন্ত তাঁদের প্রতিক্রিয়াটা কি?

নুরুল কবির-
শেষ পর্যন্ত প্রতিক্রিয়া, তাদের এক ধরণের সম্যতা থাকবার কথা। কারণ হচ্ছে, আওয়ামী লীগ বলেছে যে, তাঁরা ১৮ তারিখ নির্বাচন চায়। বাকীটা আপনারা অন্য পার্টি যারা আছে সেটা আপনাদের ব্যাপার। গতকালও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন। তাদের নির্বাচন প্রস্তুতি অনেকদুর এগিয়েছে। এদিকে ঢাকা শহরে অনেক বড় বড় জোটের নেতারা নির্বাচনী প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে তাঁরা নমিনেশন পেপার সাবমিট করেছেন। বিএনপিরও খবর পাচ্ছি আমরা পত্র পত্রিকায় এসছে, তারা প্রায় ভেতরে ভেতরে নমিনেশন প্রক্রিয়াটা চূড়ান্ত করে ফেলেছে। এই দুটো দিক থেকে এটা একটা ভৌত অর্থে, তাঁরা এক ধরনের প্রস্তুতি তারা নিচ্ছেন। অন্যদিক থেকে, তাত্ত্বিক অর্থে বলতে হয়, সেটা হচ্ছে সব রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষমতা লড়াইয়ে পরস্পরের সঙ্গে জিতবার মাধ্যম হিসেবে নির্বাচন ছাড়া তাঁদের কোন পথ। তাঁরা কোন চরমপন্থী রাজনৈতিক দল নয় যে, তারা নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতা দখল করবেন। তবে তাঁদের দিক থেকে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যাবার আকাঙ্খা এবং প্রয়োজন দুটোই মেলালে যে রকম একটা পরিবেশ তাঁর দরকার, সেই পরিবেশ যদি নিশ্চিত হয়; তখন তাঁদের আসলে নির্বাচনে না যাবার কোন কারন নেই।

উপস্থাপক-
শঙ্কাটা কি কাটল?

ড. এম জহির-
আমার মনের মধ্যে কোন শঙ্কা নেই। কারন আমি যা বুঝছি এখানে, সরকারই এখন বিপদে আছে। তাঁরা যদি ইলেকশন না করে এই দুই বছর যে আমাদের, বচন শুনলাম আমরা। দুই বছর ধরে এতো ডিসিপ্লিন কথাবার্তা, কার বাড়িতে হরিণ, কার বাড়িতে দুই ফিট বেড়ে আছে এসব শুনলাম আমরা। কি হল- কারন They have to meet one mended, , যে আমরা একটা শঙ্কামুক্ত একটা ভাল ইলেকশন করবো। এবং তাঁরা করেছেও একটা ভাল কাজ- মোটামুটি একটা ভোটার লিষ্ট তৈরি করেছে, যেটা সম্পর্কে খুব বেশি আপত্তিকর কথা শোনা যাচ্ছে না, আগে যেমন গিয়েছিল। কিন্তু ইলেকশন যদি না করতে পারে ডিসেম্বরের মধ্যে তাহলে তাদেরই বিপদ, তাদেরই লজ্জা। এ আওয়ামীলীগ আর বিএনপির তারা তো, এমনিই তাঁদের অ্যারেস্ট করেছে তাদের আর কি আছে। এবং তাদের অ্যারেস্ট করার পরে এখন তারা প্যারোলে দেখা যাচ্ছে তাদের নেত্রীরা খুব আরামসে সেলুট খাচ্ছে। প্যারোলে জামিনে তারা তো স্যালুট খাচ্ছে এবং তারা বহু ফুর্তিতে মহানন্দে ঘুড়ে বেড়াচ্ছে। তো, সুতরাং আবার নির্বাচন বন্ধ করে তাদেরকে তো আর ভেতরে ঢোকানো যাবে না। তাদের, তাদের নেতাদের ইত্যাদি। তো এখন এদেরকে নির্বাচন করতেই হবে, এখন সেই অবস্থা যদি ইমার্জেন্সি থাকে, তা তো দুই দলেরই এটা কিন্তু কথা যে ইমার্জেন্সি ওঠাও। তো ইমার্জেন্সি থাকলে ফান্ডামেন্টাল রাইট থাকে না। আমি এজ এ কন্সটিটিউশনাল ল'য়ার, এজ এ সিটিজেন, আমি সবসময়ই এরকম, এরকম একটু আরষ্ট থাকি যখন আমি বুঝি যে, আমার ফান্ডামেন্টাল রাইটের জন্য আমি কোর্টে গিয়ে চেচামেচি করতে পারব না। করলেই যে কিছু হবে তার কোন মানে নেই, কিন্তু আমার মনের ভেতর একটা সাইকোলজিক্যাল থিঙ্ক আছে যে, আই এম নট ফ্রি, আমার একটা কথা মনে পড়লো যেটা আমি একটু আগেই বলছিলাম আপনাদের, Freedom is something you can't explain, what makes the sunshine, what causes the rain. যখনি মার্শাল ল’ আসে এদেশে। এই দু বছরে কিছুটি আমরা এই ফ্রিডমের অভাবটা ফিল করেছি। এখনও করছি। আমরা ঘ্রান পাচ্ছি হয়তো সামনে ইমারজেন্সি উঠে যাবে। ইলেকশন আসবে। এখন যদি পাড়ে এসে তরী ডোবে, তাহলে এর দোষটা কিন্তু আর কারো হবে না, তিন জনই; আ-লীগ, বিএনপি ও সরকার তিন জনের উপরই দোষটা বর্তাবে। কিন্তু দুর্ভাগ্য জাতির হবে, যদি ইলেকশন না হয় ডিসেম্বরের মধ্যে। যদি ইমার্জেন্সি চালু রাখে, রাখার কি কারণটা আছে আমি তা এখনও বুঝলাম না। ইলেকশন করতে যাচ্ছেন, ইলেকশন করতে... যেমন আজকে মতিন সাহেব বলেছেন, ইমার্জেন্সি উঠালেই যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি তার তো কোন মানে নেই।

উপস্থাপক-
কিন্তু জেনারেল মতিনের কথার সাথে আমরা অন্য উপদেষ্টার কথা, এর আগেও বেশ পার্থক্য দেখেছি...

ড. এম জহির-
মতিন হচ্ছে যে লেটেস্ট এবং he is a home minister, don't forget এবং উনি একটা...

উপস্থাপক-
রাজনৈতিক সমঝোতার সঙ্গে যারা যুক্ত, কিংবা সমঝোতা প্রক্রিয়ায় সঙ্গে তাঁরা কিন্তু এক সুরে কথা বলেন না।

ড. এম জহির-
এখন একটা কথা বলল, এখন দেখা যাক ঐ সুরটা... মতিন সাহেবের যে কথা এটা তো খুব এনকারেজিং কথা, এর সাথে মিল নাও থাকতে পারে।

উপস্থাপক-
বিএনপি এবং চারদলীয় জোট এখন পর্যন্ত যেটি মনে হচ্ছে যে, তারা জরুরি অবস্থার ব্যাপারে একটা শক্ত অবস্থান নিয়ে আছে কিন্তু আওয়ামী লীগের অবস্থানটা যে জরুরি অবস্থা না তুললে নির্বাচনের যাবে না, কিন্তু অলরেডি তারা নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মধ্যে

ড. এম জহির-
তারাও কিন্তু ইমার্জেন্সি উঠাতে চাচ্ছে, বলেছে তারা। এবং তারা একবারও বলছেনা যে, এমার্জেন্সির আন্ডারে আমরা ইলেকশন করবো। তাঁরা ভাবছে যে, বিএনপি বলছে বলুক। এবং তারা কিন্তু, তাদের সার্পোট আছে। এমার্জেন্সি উঠালে আওয়ামী লীগের কোন আপত্তি থাকবে বলে আমার মনে হয় না। আমার কথা হচ্ছে এই ছোটখাট ব্যাপারে যদি ইলেকশন পিছিয়ে যায়, এটা কি উচিৎ? এখানে বিএনপিরও দেখা উচিৎ, আরেকটা বিষয় আছে আপনি দেখেন, এই আরপিও সেকশন ৯১-ই...

উপস্থাপক-
এটি সম্ভব না বলেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কালকে।

ড. এম জহির-
আনফরচুনেটলি এত ছোট জিনিসের জন্য যদি আটকে যায়...

উপস্থাপক-
আপনার অবস্থান কি আপনি কি মনে করেন আরপিও রাখা উচিৎ কি না?

ড. এম জহির-
যেটা আছে, যদি আপনারা পড়ে থাকেন। না পড়ে থাকলে আমি বলি, ওটা একটা নতুন পাওয়ার দিচ্ছে ইলেকশন কমিশনকে। যদি তার কাছে কোন সংবাদ আসে, ইনফরমেশন আসে। আগে ছিল ওরালি এখন তা কেটে দিয়েছে রিটেনে যদি আসে যে কোন প্রার্থী কোন ইলিগ্যাল এ্যাক্টিভিটি করছে, কিংবা করতে যাচ্ছে, এটেন্ড করছে কিংবা এমন একটা কাজ করছে যেটা কিনা নির্বাচন বিধির বহির্ভূত তাহলে তাকে সোকজ দিয়ে তাকে বাদ করে দিতে পারে। এবং তাহলে বাকি লোকেরা ফুর্তিসে ইলেকশন করবে। এই জিনিসটা দুইদিকে কাটছে। আমি ফিল করছি, যদি কেউ এসে আমাকে বলে, আমাকে বাদ দিয়ে দিয়েছে। আমি বলব, শো-কজ দিয়েছিল? শো-কজ দিলেই যখন শুনানিতে চলে যাচ্ছে। শুনানি হবে সময়টা কোথায়? ২৯ তারিখ ইলেকশন। যদি কাউকে এর মধ্যে বাদ দিতেও হয়। তাকে বলতে হবে যে, তোমার বিরুদ্ধে এই কথাটা শোনা গেছে, শো-কজ! সে শো-কজের জবার দেবে হেয়ারিং হবে তারপরে সেটা; তার ওপরও তো রিট আছে। আমি গেলাম, আমাকে বাদ দিয়ে দিল। একটা আলতু ফালতু কথা বলে যে যাও, বাদ। এটা এমন কিছু সিরিয়াস ম্যাটার না আমার কাছে সে জন্য ঐ সরকার এবং বিএনপি’র যে অনড়বস্থা থেকে যদি ইলেকশনটা বন্ধ করে এখানে এটা হবে সত্যিকারের একটা অসস্তিকর, অস্বাস্থ্যকর এবং সত্যিকার দূভার্গ্যজনক।

নুরুল কবির-
এ ব্যাপারে আমি জহির ভাইয়ের সাথে একটু যুক্ত করতে চাই। উনি বলেছেন যে, এ সরকারের বিপদ হবে। তো সরকারের আমার মনে হয় যে, ইতোমধ্যেই...

ড. এম জহির-
আমি বলেছি, এ সরকারই মুশকিলে পড়বে।

নুরুল কবির-
সে অর্থেই বলছি, আমার ধারণা সরকার যেদিন থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে একটা ট্রেইলর ঠিক না করে একটা অসীম ক্ষমতা এবং সসীম সময়ে জন্য যে দিন থেকে এ রাষ্ট্রযন্ত্র চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে থেকে বিপদে আছে। সেই বিপদগুলো কখনো কখনো ভিজিবল হয় কখনো কখনো ভিজিবল হয় না। কারন হচ্ছে যে, এ দেশের মানুষ ইতিহাসের বিভিন্ন বাকে দেখেছে, রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মধ্যে, সারা পৃথিবীতেই রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মধ্যে কিছু গন্ডগোল আছে। কখনো কখনো সাংঘর্ষিক অবস্থা তৈরি হয়। কিন্তু হলেই এক মার্শাল ল’ কিংবা ইমার্জেন্সি দিয়ে জনগণকে তার ক্ষমতা নিয়ে যাবে এবং মৌলিক অধিকার স্থগিত রাখবে যেই জনগণ শতকরা ৯৯ভাগ এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে কোন সাংঘর্ষিক রাজনৈতিক প্রক্রিয়া কিংবা স্থুল ক্ষমতার স্বার্থের সঙ্গে জড়িত নয়। তাদের কারনে হয় সবচেয়ে বড় ক্যাজুয়ালটি। ফলে এই যে দীর্ঘদিনে আবার কিছু সচেতনতাও তৈরি হয়েছে। ফলে এইযে, ইতিহাসের বাকে বাকে এসে এভাবে ক্ষমতা গ্রহণের প্রক্রিয়াটা চিরতরে বন্ধ করবার জন্য কিছু ব্যবস্থা করতে হবে। সে ব্যবস্থা আমি আশা করবো যে, এই একটা নতুন সরকার নির্বাচিত সরকার আসলে সমাজে এরকম নানান দাবি উঠবে। সে অর্থে তার বিপদ এমনকি ইমার্জেন্সি যাওয়ার পড়েও পলম্বিত হবে বলে আমি মনে করি এবং বিশ্বাস করি। আমরাও সক্রিয় থাকবো সে ব্যাপারে। দ্বিতীয়ত হচ্ছে যে, ইমারজেন্সি আপনি যেভাবে বললেন, কেন থাকবে, কেন আছে। যেমন উনি নিজেও একজন লইয়ার। ইমার্জেন্সি জারি করবার জন্যে রাষ্ট্রীয় সংবিধানে একটা প্রভিশন আছে কিন্তু ইমার্জেন্সি জারি করা জন্য কতগুলি নির্দিষ্ট কারণ লাগে সেটা ......করার জন্য, সেই কারনগুলো জারি থাকতে হয়। যেই কারনে তৈরি হয়েছিল সেই কারণগুলি দীর্ঘদিন থেকে উপস্থিত নাই। সেগুলোর একটা পদ্ধতি আছে কিভাবে করতে হয়। সে পদ্ধতি অনুসরন করা হয় নাই। তার পর হচ্ছে তার একটা... সেটাও কন্সটিটিউশন যে, অসীম ক্ষমতা কিংবা অনির্দিষ্টকাল এরকম কোন প্রভিশন তার মধ্যে নাই। যদি মনোযোগ দিয়ে সব পড়া যায় ১২০ দিন কিংবা তারপড়ে ৩০ দিন। এই কন্সটিটিশনের যারা ফ্রেমার ছিলেন। তারা এরকম একটা অবস্থার কথা কখনো... প্রথম যখন কন্সটিটিউশন তৈরি করা হয়েছিল খেয়াল করুন, তখন ইমার্জেন্সি প্রভিশনই ছিল না। কিন্তু তারা কি এটা জানতেন না যে দেশে দেশে ইমার্জেন্সির এ রকম ব্যবস্থা আছে। আছে, ইন্ডিয়ান কন্সটিটিশনে তখনো ছিল। কিন্তু বাংলাদেশে যারা ফাউন্ডার তারা ভেবেছিলেন বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছে, এই দেশে কোনদিন সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার স্থগিত করবার দরকার পড়বে না। তো তারপরে যখন, সেকেন্ড এমেন্ডমেন্টের মধ্য দিয়ে এটা আনা হল সেখানেও কতগুলো যে, যে ভিজ্যুয়ালাইজ করেছিলেন তারা, একটা ৩/৪ মাসের বেশি। তারা এটা খুবই জরুরি অবস্থার মধ্যে ছাড়া ভিজ্যুয়ালাইজ করেন নাই। অথচ তারা ২২ মাস ধরে আমাদের মানুষের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে। এবং তা করে রেখেছে মানুষের অধিকার স¤প্রসারিত করার নামে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া উত্তরণের নামে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে উন্নত করার নামে। এইটা এক ধরনের প্রতারণা। এবং এই প্রতারণার সঙ্গে যারা সংশ্লিষ্ট তাদের বিচার হওয়া দরকার। হওয়া দরকার এবং ভবিষ্যতে আর কোনদিন যাতে এইরকম ব্যবস্থা না হয় সেটা একদিকে এই উচ্চাভিলাষী যারা ক্ষমতা, রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় না থেকে যারা ক্ষমতা ভোগ করতে চান, তাদেরকে রেষ্ট্রেইন করবার দরকার আছে এবং রাজনৈতিক দলগুলো তাদেরও রেষ্ট্রেইন করবার দরকার আছে। এমন কোন নাজুক পরিস্থিতিতে এদেশের মানুষকে (যাদের কথা বলে তারা রাজনীতি করেন) এমন কোথাও নিয়ে না যায় যেখানে এরকম আবার মানুষের অধিকার ছিনিয়ে নেবার একটা ব্যবস্থা তৈরি হয়। (১ম অংশ: চ্যানেল আই ২৪ নভেম্বর রাত ১:১৭:১৮ টা পর্যন্ত)
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×